সুদীপ্তের বাড়িতে আস্তানা চায় ইডি

ইডি সূত্রের খবর, ২০১০ সালে গুয়াহাটিতে সুদীপ্ত একটি পাঁচতলা বাড়ি কেনেন প্রায় সাড়ে ছ’‌কোটি টাকায়। সেটি ‘সারদা রিয়্যালটি’র নামে কেনা হয়নি।

Advertisement

শুভাশিস ঘটক

শেষ আপডেট: ০৪ অগস্ট ২০১৯ ০৩:৩৯
Share:

—ফাইল চিত্র।

সিবিআই ছাড়াও এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি) এখন অর্থ লগ্নি সংস্থা সারদার আর্থিক কেলেঙ্কারি নিয়ে তদন্ত করছে। সেই সঙ্গে সারদার কর্ণধার সুদীপ্ত সেনের গুয়াহাটির বাড়িতে আস্তানা গাড়তে চাইছে তারা। তার অনুমতি চেয়ে ইতিমধ্যেই বিচারকের দ্বারস্থ হয়েছে ইডি।

Advertisement

ইডি সূত্রের খবর, ২০১০ সালে গুয়াহাটিতে সুদীপ্ত একটি পাঁচতলা বাড়ি কেনেন প্রায় সাড়ে ছ’‌কোটি টাকায়। সেটি ‘সারদা রিয়্যালটি’র নামে কেনা হয়নি। একটি বেসরকারি সংস্থার কাছ থেকে সুদীপ্ত ওই বাড়ি কিনেছিলেন নিজের নামেই। কিন্তু সেই সম্পত্তির ‘মিউটেশন’ বা নামপত্তন করা হয়নি। ২০১৪ সালে সেই বাড়ি বাজেয়াপ্ত করে ইডি।

শুক্রবার বিচার ভবনে বিশেষ সিবিআই আদালতের বিচারক অনুপম মুখোপাধ্যায়ের কাছে ওই বাড়িতে অফিস করার অনুমতি চেয়েছেন সারদা মামলার তদন্তকারী অফিসার। ইডি-কর্তাদের কথায়, ওই বাড়িতে গুয়াহাটির জোনাল অফিস করার পরিকল্পনা আছে। তদন্তকারীরা জানান, সারদার সব সম্পত্তির ঠিকঠাক রক্ষণাবেক্ষণ হচ্ছে না এবং অনেক সম্পত্তি নষ্ট হয়ে যাচ্ছে বলে সুদীপ্ত সম্প্রতি বিচারকের কাছে লিখিত ভাবে অভিযোগ করেছিলেন। তার পরেই ওই বাড়ির বিষয়ে চিন্তাভাবনা শুরু হয়। বাড়িটিতে প্রায় ২৫ হাজার বর্গফুট জায়গা আছে। রক্ষণাবেক্ষণের অভাবে পলেস্তারা খসে পড়ছে। ওই বাড়ি রক্ষণাবেক্ষণ করাটাও খুবই ব্যয়বহুল। সেখানে অফিস তৈরি করলে একসঙ্গে দু’টি কাজ হয়ে যাবে বলে মনে করছেন ইডি-কর্তারা। এক তদন্তকারীর ব্যাখ্যা, দীর্ঘদিন কোনও বাড়িতে কেউ না-থাকলে স্বাভাবিক নিয়মেই তা নষ্ট হয়ে যেতে শুরু করে। তদন্তকারী সংস্থা অফিস করলে রক্ষণাবেক্ষণ করা যাবে। দফতরের জোনাল অফিসও চলবে।

Advertisement

২০১৪-য় ওই বাড়ির হদিস পাওয়ার পরে সেটি বাজেয়াপ্ত করা হয়। এখন বাড়িটি কার্যত ইডি-র হেফাজতে। তদন্তকারীরা জানান, সারদা মামলা এখন বিচারাধীন। মামলার নিষ্পত্তি হওয়ার পরে ওই বাড়ি ফেরত দিয়ে দেওয়া হবে বলে আদালতে জানানো হয়েছে। ইডি-র এক তদন্তকারী বলেন, ‘‘সাধারণত এই ধরনের মামলায় সম্পত্তি বিক্রি করে আমানতকারীদের টাকা ফেরত দেওয়ার ব্যবস্থা হয়। সারদা মামলার রায় ঘোষণার পরেই ওই বাড়ি ছেড়ে দেওয়া হবে। আপাতত ওখানে অফিস করার অনুমতি দেওয়া হোক। ইডি-র আইনজীবী অভিজিৎ ভদ্র বলেন, ‘‘বিচারক ইডি-র লিখিত আবেদন গ্রহণ করেছেন। ৯ সেপ্টেম্বর ওই তার শুনানি হবে বলে জানিয়েছেন।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন