সারদার বাজেয়াপ্ত রিসর্টে পর্যটক, ক্ষোভ ডুয়ার্সে

এনফোর্সমেন্ট ডাইরেক্টরেট বা ইডি অধিগৃহীত সারদার একটি রিসর্টে পর্যটকদের দেখে মঙ্গলবার সকালে অবাক হয়ে যান ডুয়ার্সের লাটাগুড়ি এলাকার বাসিন্দারা।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

মালবাজার শেষ আপডেট: ০১ জুন ২০১৬ ০৪:২৯
Share:

এনফোর্সমেন্ট ডাইরেক্টরেট বা ইডি অধিগৃহীত সারদার একটি রিসর্টে পর্যটকদের দেখে মঙ্গলবার সকালে অবাক হয়ে যান ডুয়ার্সের লাটাগুড়ি এলাকার বাসিন্দারা। সারদায় লগ্নি করা টাকা ফেরত না দিয়ে কেন ওই রিসর্টটি ফের চালু করে দেওয়া হল তা নিয়ে ক্ষোভও দেখান তাঁরা। ইডি সূত্রে অবশ্য জানা গিয়েছে, রিসর্টটি চালু করা হয়নি। যে পর্যটকেরা সেখানে ছিলেন, তাঁরাও টাকার বিনিময়ে থাকেননি। নেহাতই বিপদে পড়ে যাওয়ায় তাঁদের সেখানে এক রাতের জন্য থাকার অনুমতি দেওয়া হয়েছিল।

Advertisement

ঘটনার সূত্রপাত সোমবার। কলকাতার সন্তোষপুরের দুই পরিবার ইডির দখলে থাকা ওই রিসর্টে সে রাতে থাকতে আসেন। রিসর্টের নৈশপ্রহরী রতন রায়কে ইডির এক কর্তা তাঁদের জন্যে ঘর খুলে দিতেও বলেন। বন্ধ রিসর্টে রাতে আলো জ্বলছে দেখেই চাঞ্চল্য ছড়ায় এলাকাতেও। এরপরেই সকালে তাঁরা রিসর্টের গেটের বাইরে ভিড় জমান। আমানতকারীদের সারদায় লগ্নিকরা অর্থ ফেরত না দিয়ে কী ভাবে রিসর্টে ফের পর্যটকদের থাকতে দেওয়া শুরু হল, তা জানতে চান তাঁরা। বাইরে ভিড় জমতেই রিসর্ট ছাড়েন ওই দুই পরিবার। তাঁরাই তখন জানান, ইডির এক কর্তার পরিচিত হিসাবেই এখানে রাত কাটাতে এসেছিলেন। কেন ইডি তাদের দখলে থাকা রিসর্টে পর্যটক পাঠাচ্ছে, তা নিয়ে ক্ষোভ সৃষ্টি হয় এলাকায়। তবে অভিযোগ উড়িয়ে ইডির উত্তরবঙ্গে সারদার সম্পত্তির তদন্তে জড়িত কলকাতার এক শীর্ষকর্তা জানান, ইডি অধিগৃহীত সারদার সম্পত্তির যাবতীয় হিসাব আদালতের কাছে রয়েছে। লাটাগুড়ির রিসর্টও তার ঊর্ধ্বে নয়। যারা এ দিন রাত কাটালেন তাঁরা অর্থের বিনিময়ে রাত্রিবাস করেননি। ওই কর্তা জানান, ‘‘কলকাতা থেকে লাটাগুড়িতে এসে তাঁরা কোন রিসর্টে জায়গা পাননি। ঝড় জলও শুরু হয়ে গিয়েছিল। তাই মানবিকতার কারণেই তাঁদের ওখানে এক রাতের জন্যে আশ্রয় দেওয়া হয়েছিল। এটা নিয়ে কোনও ভুল ব্যাখ্যা করা ঠিক নয়।’’ রিসর্টটি অযত্নে অবহেলায় নষ্ট হতে বসেছিল, ইডি রিসর্টটিকে সংস্কার করে ফের ব্যবহার করার মতো অবস্থায় নিয়ে এসেছে বলেও দাবি করেন তিনি। রিসর্টটির যাবতীয় সম্পদ যাতে সুরক্ষিত থাকে তার দায়িত্বও ইডি পালন করছে বলে তিনি দাবি করেন। কিন্তু নেওড়া বাগানের আদিবাসী শ্রমিক সংগঠনের নেতা উত্তম লোহার, সারদার রিসর্ট নির্মাণ কাজে জড়িত পাওনাদার ঠিকাদার রেজাউল বাকিরা বলেন, ‘‘আমাদের টাকা দীর্ঘ দিন ধরে বকেয়া। তার মধ্যেই ইডি-রই বাজেয়াপ্ত করা রিসর্টে ইডি-র অনুমতি নিয়েই পর্যটকেরা আসছেন দেখে আমরা উদ্বিগ্ন। আমরা চাই, ইডির কর্তারা দ্রুত সমস্যা নিষ্পত্তি করুন।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন