বিধায়ক খুনে ধৃত আরও ২

বিধায়ক সত্যজিৎ বিশ্বাসের খুনের ঘটনায় আরও দু’জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। যদিও প্রধান অভিযুক্ত অভিজিৎ পুণ্ডারী এখনও অধরা।

Advertisement
নিজস্ব প্রতিবেদন শেষ আপডেট: ১৬ ফেব্রুয়ারি ২০১৯ ০৩:২১
Share:

—প্রতীকী ছবি।

বিধায়ক সত্যজিৎ বিশ্বাসের খুনের ঘটনায় আরও দু’জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। যদিও প্রধান অভিযুক্ত অভিজিৎ পুণ্ডারী এখনও অধরা।

Advertisement

পুলিশ জানায়, ধৃতেরা হল হাঁসখালির মজিদপুরের কালিদাস মণ্ডল ও মদনার নির্মল ঘোষ। পুলিশের কাছে লিখিত অভিযোগে কালিদাসের নাম থাকলেও বিজেপির দীর্ঘদিনের সক্রিয় নেতা, ষাট-ছোঁয়া নির্মলের তা ছিল না। নদিয়ার পুলিশ সুপার রূপেশ কুমারের দাবি, “ধৃতদের জেরা করে জানা গিয়েছে, এই খুনের ঘটনার সঙ্গে নির্মল ঘোষ জড়িত।” তবে তা কী ভাবে ‘তদন্তের স্বার্থে’ তিনি তা বলতে চাননি।

শুক্রবার কালিদাসকে রানাঘাট আদালতে হাজির করা হলে বিচারক তাকে নয় দিন পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ দেন। তবে অসুস্থ হয়ে পড়ায় নির্মলকে কোর্টে নিয়ে যাওয়া যায়নি, শক্তিনগর জেলা হাসপাতালে তিনি ভর্তি। জেলা পুলিশের একটি সূত্রের দাবি, আগ্নেয়াস্ত্র সংগ্রহের ক্ষেত্রে তিনি অভিজিৎকে সাহায্য করেছিলেন।

Advertisement

পুলিশের দাবি, ঘটনার পর থেকে কালিদাস শান্তিপুরে এক আত্মীয়ের বাড়িতে গা ঢাকা দিয়ে ছিল। বৃহস্পতিবার রাতে সেখানে হানা দিয়ে তাকে ধরা হয়। নির্মল লুকিয়ে ছিলেন চাকদহে ভাইঝির বাড়িতে। সেখান থেকেই তাকে গ্রেফতার করা হয়েছে। মাস সাতেক আগে পড়ে গিয়ে ডান পায়ের হাড় ভেঙেছিল নির্মলের। এখনও ক্রাচে ভর দিয়ে হাঁটাচলা করতে হয়। বছর দুই আগেও তৃণমূল নেতা খুনে তাকে গ্রেফতার করা হয়েছিল। পরে জামিনে ছাড়া পায়।

এ দিন নির্মলের তার বাড়িতে গিয়ে দেখা যায় ভিড় করে আছেন কয়েক জন প্রতিবেশী। তাঁদেরই মধ্যে এক জন নিজেকে তৃণমূলের সক্রিয় কর্মী বলে পরিচয় দিয়ে বলেন, “আমি তৃণমূল করি। কিন্তু তার পরেও বলব, নির্মলদাকে গ্রেফতার করাটা ঠিক হল না। তিনি এমন কাজ করতে পারেন না।” নির্মলের স্ত্রী মল্লিকার অভিযোগ, “বিজেপি করার কারণেই মানুষটাকে বারবার ফাঁসানো হচ্ছে।”

৯ ফেব্রুয়ারি রাতে হাঁসখালিতে তৃণমূল বিধায়ক খুনের আগে এলাকায় বারবার বিদ্যুৎ চলে যাওয়া নিয়ে এ দিন প্রশ্ন তোলেন শাসক দলের বিধায়কেরা। স্ট্যান্ডিং কমিটির বৈঠকে সূচিতে থাকা বিষয়ে আলোচনা শেষ হওয়ার পরে বিষয়টি তোলেন কমিটির সদস্য তথা তৃণমূল বিধায়ক খালেক মোল্লা ও শিউলি সাহা। বিদ্যুৎ দফতরের শীর্ষস্থানীয় কর্তারা নির্দিষ্ট কারণ বলতে পারেননি। তাঁরা জানান, এ ব্যাপারে তদন্ত হচ্ছে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন