গাড়ির প্লেটেও ‘লুঠ’, ব্যবস্থার আশ্বাস মন্ত্রীর

সরকার চেষ্টা করছে সর্বত্রই কলকাতার মতো অল্প টাকায় স্মার্ট কার্ডের ব্যবস্থা চালু করে মানুষের খরচ কমানোর।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ২৫ অগস্ট ২০১৮ ০৪:২৫
Share:

রাজ্যে সব ধরনের গাড়ির হাই সিকিউরিটি রেজিস্ট্রেশন প্লেট (এইচএসআরপি) তৈরির জন্য অহেতুক বেশি টাকা আদায় করা হচ্ছে বলে অভিযোগ উঠল। টানা ১০ বছরের চুক্তির জেরে ওই দু’টি সংস্থা ইতিমধ্যেই অন্তত ২২০ কোটি টাকা বাড়তি আদায় করেছে এবং গোটা বিষয়টি রীতিমতো কেলেঙ্কারির চেহারা নিয়েছে বলেই অভিযোগ প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরীর। রাজ্যের পরিবহণমন্ত্রী শুভেন্দু অধিকারী অবশ্য জানাচ্ছেন, আইনি জটলিতার জন্য এখনও কোনও ব্যবস্থা নেওয়া যাচ্ছে না। সরকার চেষ্টা করছে সর্বত্রই কলকাতার মতো অল্প টাকায় স্মার্ট কার্ডের ব্যবস্থা চালু করে মানুষের খরচ কমানোর।

Advertisement

বিভিন্ন রাজ্যের পরিসংখ্যান দিয়ে শুক্রবার কলকাতা প্রেস ক্লাবে অধীরবাবু দেখানোর চেষ্টা করেছেন, প্লেটপিছু এ রাজ্যে অনেক বেশি টাকার দর দিয়েও ওই দুই সংস্থা দিনের পর দিন কাজ চালিয়ে যাচ্ছে। তাতে গাড়ি ব্যবহারকারী মানুষকে বাড়তি টাকা গুনে যেতে হচ্ছে। অন্যান্য রাজ্যে ওই সংস্থার দেওয়া দর ধরে যে তালিকা অধীরবাবুরা তৈরি করেছেন, তাতে দেখা যাচ্ছে: দু’চাকার গাড়ির রেজিস্ট্রেশন প্লেটের জন্য রাজস্থানে ১২০ টাকা, ওড়িশায় ১৭০ টাকা, তামিলনাড়ুতে ১১০ টাকা দর দিলেও একটি সংস্থা বাংলার জন্য দাম ধরছে ২৮২ টাকা। তিন চাকার গাড়ি, চার চাকার ছোট বা বড় গাড়ির ক্ষেত্রেও একই ভাবে বাড়তি দর। আবার অন্য একটি সংস্থা দু’চাকার গাড়ির ক্ষেত্রে হরিয়ানায় ৬০ টাকা, হিমাচল প্রদেশে ১০৫ টাকা, দিল্লিতে ৬৮.৯১ টাকা, মধ্যপ্রদেশে ৯৮.৭ এবং বিহারে ১৩১ টাকা দর ধরলেও বাংলায় তা ২৮২ টাকা। এই ভাবে দুই সংস্থা ইতিমধ্যে ২২০ কোটি টাকা ‘লুঠ’ করেছে বলে প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতির অভিযোগ।

অধীরবাবুর বক্তব্য, ‘‘বাম আমল থেকেই এরা টেন্ডার পেয়ে আসছে। কিন্তু এখন যে সরকার, তারা তো সততার কথা বলে! তাদের আমলে কেন এ ভাবে লুঠ চলছে?’’ তাঁরা কি পরিবহণ দফতরের দিকে আঙুল তুলছেন? প্রদেশ সভাপতি বলেন, ‘‘আমরা সরকারের কথা বলছি। সরকার এবং শাসক দলের সঙ্গে যোগসাজশ ছাড়া এমন হতে পারে না। বাংলায় এখন যেখানে তৃণমূল, সেখানেই দুর্নীতি!’’

Advertisement

পরিবহণ মন্ত্রী শুভেন্দু অবশ্য বলেন, ‘‘অধীরবাবুরা সবেতেই রাজনীতি করেন! বাইরে না বলে ওঁরা আমাদের জানাতে পারতেন। অধীরবাবুর কথার জবাব দিতে চাই না। তবে সংবাদমাধ্যমকে জানাচ্ছি, আইনি জটিলতা কাটলেই আমরা দ্রুত কলকাতার মতো স্মার্ট কার্ড সব জায়গায় চালু করতে চাই। তাতে খরচা অনেক কমে যাবে।’’ মন্ত্রীর বক্তব্য, ২০১৬ সাল থেকেই ওই দুই সংস্থাকে আর বরাত দেওয়া হয় না। কিন্তু সংস্থাদু’টি আদালতের কাছ থেকে স্থায়ী স্থগিতাদেশ নিয়ে রাখায় সরকার এখনও সরাসরি ব্যবস্থা নিতে পারেনি। তবে সরকার বিষয়টি সম্পর্কে অবহিত।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন