সৃষ্টি-সুখের উল্লাসে মঞ্চ মাতালো একলব্যরা

হাজারো স্কুলের ভিড়ে তারাও আছে। ওই সব স্কুলের অধিকাংশের নাম হয়তো অনেকেই জানেন না। প্রচারমাধ্যমের আলোও সে-ভাবে পড়ে না তাদের উপরে। এমনই কিছু স্কুলের পড়ুয়ারা বুধবার ‘পিয়ারলেস-আনন্দবাজার পত্রিকা স্কুল সংস্করণ দ্রোণাচার্য ও একলব্য পুরস্কার ২০১৬’-র অনুষ্ঠান মাতিয়ে দিল।

Advertisement

মধুমিতা দত্ত

কলকাতা শেষ আপডেট: ০১ ডিসেম্বর ২০১৬ ০৪:০৫
Share:

স্বীকৃতির হাসি। পিয়ারলেস-আনন্দবাজার পত্রিকা স্কুল সংস্করণ দ্রোণাচার্য ও একলব্য পুরস্কার ২০১৬-র মঞ্চে উচ্ছ্বসিত কচিকাঁচার দল। বুধবার দেবস্মিতা ভট্টাচার্যের তোলা ছবি।

হাজারো স্কুলের ভিড়ে তারাও আছে। ওই সব স্কুলের অধিকাংশের নাম হয়তো অনেকেই জানেন না। প্রচারমাধ্যমের আলোও সে-ভাবে পড়ে না তাদের উপরে। এমনই কিছু স্কুলের পড়ুয়ারা বুধবার ‘পিয়ারলেস-আনন্দবাজার পত্রিকা স্কুল সংস্করণ দ্রোণাচার্য ও একলব্য পুরস্কার ২০১৬’-র অনুষ্ঠান মাতিয়ে দিল।

Advertisement

লেখাপড়া তো বটেই। সেই সঙ্গে পড়ুয়াদের সর্বাঙ্গীণ বিকাশে উৎসাহ দিতে এ বছর শুরু হল ‘একলব্য’ পুরস্কার। আর এই একলব্যদের যাঁরা গড়ে তোলেন, সেই শিক্ষকদের মনে রেখে মোট ১১ জন প্রধান শিক্ষককে জানানো হল ‘দ্রোণাচার্য’ সম্মান।

সৃষ্টিশীল কাজ আহ্বান করা হয়েছিল। তার ভিত্তিতে প্রায় আড়াই হাজার পড়ুয়া প্রথমে পাঠিয়েছিল বিভিন্ন ধরনের সৃষ্টিকাজ। তাদের মধ্যে থেকে তিনটি গ্রুপে ৩০ জন পড়ুয়াকে ডাকা হয়েছিল এ দিনের মূল অনুষ্ঠানে। বেঙ্গল পিয়ারলেসের সহযোগিতায় এই অনুষ্ঠানে পড়ুয়ারা কুইজ, নাচ, গান, আবৃত্তি-সহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে দেখাল তাদের কুশলতা। তিনটি বিভাগে চ্যাম্পিয়ন হল বেলেঘাটা শুঁড়াকন্যা বিদ্যালয়ের অনিন্দিতা বাগ, যাদবপুর বিদ্যাপীঠের সুচিস্মিতা কর্মকার, বরাহনগর সেন্ট্রাল মডেল স্কুলের ঝিনুক বসু। পুরস্কৃতের তালিকায় রয়েছে বিরাটির খলিসাকোটা আদর্শ বিদ্যালয়, গড়িয়া বরদাপ্রসাদ হাইস্কুল, নদিয়ার রাজলক্ষ্মীকন্যা বিদ্যাপীঠ এবং ন্যাশনাল ইংলিশ স্কুলের পড়ুয়ারাও।

Advertisement

অনুষ্ঠানে ছিলেন পিয়ারলেস গ্রুপের ম্যানেজিং ডিরেক্টর এস কে রায়, দুই শিক্ষাবিদ আনন্দদেব মুখোপাধ্যায় ও অমল মুখোপাধ্যায়, গায়ক সিদ্ধার্থশঙ্কর রায় (সিধু), বিশ্বভারতীর শিক্ষক বিশ্বজিৎ রায়, বেঙ্গল পিয়ারলেস ডেভেলপমেন্ট কোম্পানি লিমিটেডের চিফ ফিনান্স অফিসার শঙ্করকুমার সাহা প্রমুখ।

‘দ্রোণাচার্য’ সম্মান পান যাদবপুর বিদ্যাপীঠ, শুঁড়াকন্যা বিদ্যালয়, সাউথ পয়েন্ট স্কুল, বিবেকানন্দ মিশন স্কুল, দিল্লি পাবলিক স্কুল (মেগাসিটি), কাটজুনগর বিদ্যাপীঠ, উত্তরপাডা় গার্লস হাইস্কুল-সহ মোট ১১ স্কুলের প্রধানেরা। স্কুলের পরিকাঠামো, পড়ুয়াদের সর্বাঙ্গীণ বিকাশে তাঁদের অবদানের ভিত্তিতে বেছে নেওয়া হয়েছে ১১ জন দ্রোণাচার্যকে।

অন্যতম ‘দ্রোণাচার্য’ সাউথ পয়েন্ট হাইস্কুলের অধ্যক্ষা রূপা সান্যাল ভট্টাচার্য এই সম্মান পেয়ে খুশি। তিনি বেশি গুরুত্ব দিলেন পড়ুয়াদের প্রতিভার বিকাশে উৎসাহ জোগানোর এই উদ্যোগকে। অন্য দুই ‘দ্রোণাচার্য’ লক্ষ্মীপত সিংহানিয়া স্কুলের মীনা কাক এবং দ্য বিএসএস স্কুলের সুনীতা সেন পড়ুয়াদের কুশলতায় মুগ্ধ। এমন উদ্যোগকে বারবার সাধুবাদ জানালেন তাঁরা।

‘‘আমার বাবা স্কুলশিক্ষক ছিলেন। তিনি এক জন দ্রোণাচার্য। তাঁর ছেলে হয়ে আমি গর্বিত। এখানে এই দ্রোণাচার্যদের দেখেও খুব ভাল লাগছে,’’ বললেন এস কে রায়।

এ দিনের অনুষ্ঠানে উপস্থিত পড়ুয়াদের জীবনের পথে চলার বিষয়ে দরকারি পরামর্শ দেন মনোবিদ রেমা বসু। বিশ্বজিৎবাবু পরামর্শ দিলেন, জীবনের যা কিছুই করা হোক, তা যেন আনন্দের সঙ্গে করা হয়।

গানে আসর ভরিয়ে দিলেন সিধু। তাঁর গলায় ‘হলুদ পাখি’ শুনে গুনগুন করে উঠলেন উপস্থিত সকলেই।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
আরও পড়ুন