ধস্তাধস্তিতে আহত বিধাননগরের এক উচ্চপদস্থ আধিকারিক। ছবি: শৌভিক দে।
বামেদের বিক্ষোভ ঘিরে ভরদুপুরে ধুন্ধুমার বাধল সল্টলেকের অফিসপাড়ায়।
পে কমিশনের মেয়াদ বাড়ানোর প্রতিবাদে বামেদের কো-অর্ডিনেশন কমিটি বিক্ষোভ জানায় বিকাশ ভবন চত্বরে। এ দিন দুপুরে কয়েক হাজার লোক জড়ো হয় বিকাশ ভবনের কাছে। বিক্ষোভ রুখতে ব্যারিকেড তৈরি করে প্রস্তুত ছিল পুলিশ বাহিনীও।
কর্মসূচি শুরু হতেই বিক্ষোভকারীরা ব্যারিকেড ভেঙে এগনোর চেষ্টা করেন। তাতেই শুরু হয়ে যায় ধস্তাধস্তি। প্রথম ব্যারিকেড ভেঙে বিক্ষোভকারীরা বিকাশ ভবনের সামনে চলে আসেন। অভিযোগ, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করতে পুলিশ মৃদু লাঠিচার্জ করে। যদিও লাঠিচার্জের অভিযোগ অস্বীকার করেছে পুলিশ। উল্টে ধস্তাধস্তিতে কয়েক জন পুলিশকর্মীর আঘাত লেগেছে বলে সূত্রের খবর। ধস্তাধস্তি চলাকালীন বিধাননগরের এক উচ্চপদস্থ আধিকারিকের কপালে আঘাত লাগে।
আরও পড়ুন
গ্রেটার নয়ডায় বিজেপি নেতা, দুই দেহরক্ষীকে গুলি করে খুন
চাকরি না থাকলে পিএফের সুদের উপর দিতেই হবে আয়কর
নন্দীগ্রামে হাত-পা বেঁধে গৃহবধূকে গণধর্ষণ
বিক্ষোভের জন্য সতর্কতামূলক ব্যবস্থা হিসেবে বেশ কয়েকটি রাস্তায় যান চলাচল নিয়ন্ত্রণ করেছিল পুলিশ। একাংশের অভিযোগ, আগাম সেই খবর না থাকায় কয়েকটি রাস্তায় গাড়ির চাপ বাড়ে। গাড়ির গতিও কমে যায়।
এই বিক্ষোভ কর্মসূচিকে কেন্দ্র করে নিত্যযাত্রীদের দুর্ভোগে পড়তে হয় বলে অভিযোগ। যাতায়াতে এই দুর্ভোগ হওয়ায় সল্টলেকবাসী এবং নিত্যযাত্রীদের একাংশ ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। ওই কর্মসূচির জন্য সিটি সেন্টার মোড় থেকে ময়ূখ ভবন মোড়-সহ কয়েকটি রাস্তায় ব্যারিকেড করে দেওয়া হয়। ফলে করুণাময়ী, পূর্তভবন মোড়, সিটি সেন্টারের সংলগ্ন মোড়গুলিতে গাড়ির চাপ বেড়ে যায়। যদিও তাকে যানজট বলতে নারাজ পুলিশকর্তারা।