ভাঙড়ে ফের গুলি-বোমা, আরাবুলের দিকে আঙুল

আরাবুল ইসলাম, কাইজার আহমেদ-সহ কয়েক জন তৃণমূল নেতা এ দিন পাওয়ার গ্রিড সংলগ্ন এলাকায় গিয়েছিলেন।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ০৩ জানুয়ারি ২০১৮ ০৪:১১
Share:

ক্ষোভের আগুন। নিজস্ব চিত্র

অশান্তি ক্রমেই গেড়ে বসছে ভাঙড়ে। দিন তিনেক আগের গোলমালের পরে মঙ্গলবার সেখানকার পাওয়ার গ্রিড প্রকল্পের বিরুদ্ধে আন্দোলনকারীদের উপরে আবার বোমাবাজি ও গুলি চালানোর অভিযোগ উঠেছে।

Advertisement

আরাবুল ইসলাম, কাইজার আহমেদ-সহ কয়েক জন তৃণমূল নেতা এ দিন পাওয়ার গ্রিড সংলগ্ন এলাকায় গিয়েছিলেন। ওই নেতাদের সঙ্গে ছিল কয়েকটি গাড়ি ও মোটরসাইকেল। অভিযোগ, ফেরার পথে ওই নেতা এবং তাঁদের সঙ্গীরা আন্দোলনকারী গ্রামবাসীদের লক্ষ করে গুলি ছোড়েন, বোমা মারেন।

আরও পড়ুন: রাজ্যের চাষিরাই ভাল আছেন, দাবি মুখ্যমন্ত্রীর

Advertisement

পুলিশি সূত্রের খবর, বেশ কয়েকটি গাড়ি ও মোটরসাইকেল দেখে আন্দোলনকারীদের গ্রামগুলিতে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। এর পরে মির্দ্দেপাড়া এলাকায় তৃণমূল কর্মী-সমর্থকদের সঙ্গে আন্দোলনকারীদের সংর্ঘষ বেধে যায়। আন্দোলকারীরা দু’জন তৃণমূলকর্মীকে আটক করে রাখেন বলে অভিযোগ। হাঙ্গামার প্রতিবাদে আন্দোলনকারীরা নতুনহাট, খামারআইট, পদ্মপুকুর এলাকায় টায়ার জ্বালিয়ে রাস্তা অবরোধ করেন। বিকেল ৫টার পর থেকে লাউহাটি ও হাড়োয়া রোডে যান চলাচল বন্ধ ছিল। আন্দোলকারীদের তরফে মির্জা হাসান বলেন, ‘‘স্থানীয় তৃণমূল নেতারা পাওয়ার গ্রিড সংলগ্ন এলাকায় এসে বোমাবাজি করেছেন। গুলি ছুড়েছেন। দলীয় অফিসেও ভাঙচুর চালানো হয়েছে।’’ তৃণমূল নেতা কাইজারের পাল্টা অভিযোগ, আন্দোলনকারীরাই পরিকল্পিত ভাবে আতঙ্ক সৃষ্টির চেষ্টা করছেন। ‘‘তৃণমূলের তরফে আমরা ৭ জানুয়ারি তপোবন মাঠে জনসভা করব। তাই জায়গা দেখতে গিয়েছিলাম। নিজেরা গ্রামের সামনে বোমা ফাটিয়ে আমাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ করছেন আন্দোলনকারীরা। বোমার আওয়াজে লোক জড়ো করেছেন। তার পরে নানা মিথ্যা অভিযোগ করছেন,’’ বলেন কাইজার।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন