নার্সিংহোমে ডায়ালিসিস করাতে গিয়ে অসুস্থ হয়ে মারা যান কওসর পরভিন (৫০) নামে এক প্রৌঢ়া। ডাক্তার সময়মতো না আসায় তাঁকে বাঁচানো যায়নি, এই অভিযোগে নার্সিংহোমে ধুন্ধুমার বাধাল জনতা। শনিবার সকালে আসানসোল উত্তর থানার সেন-র্যালে রোডের ঘটনা।
পুলিশ জনতাকে শান্ত করতে পারেনি। পরে কমব্যাট ফোর্স নামানো হয়। ঘটনাস্থলে পৌঁছন কমিশনারেটের এসিপি (সেন্ট্রাল) অলোক মিত্র। তিনি নার্সিংহোম কর্তৃপক্ষ ও মৃতার পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে আলোচনায় বসেন। দীর্ঘ আলোচনার পরে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়। রাত পর্যন্ত কোনও পক্ষই লিখিত অভিযোগ করেনি। তবে নার্সিংহোম কর্তৃপক্ষ গাফিলতির অভিযোগ অস্বীকার করেছে।
পরিবার সূত্রে খবর, ওই প্রৌঢ়া গত বছর পাঁচেক কিডনির সমস্যায় ভুগছিলেন। সকালে তাঁকে ওই নার্সিংহোমে ভর্তি করানো হয়। ডায়ালিসিস টেবিলে তোলার
কিছু ক্ষণ পরে তিনি অসুস্থ হয়ে পড়েন। রোগিণীর অবস্থা দ্রুত খারাপ হচ্ছে দেখে স্বাস্থ্যকর্মীরা ডাক্তারকে খবর দেন। মৃতার স্বামী আব্বাস খানের দাবি, ‘‘প্রায় দেড় ঘণ্টা পরে ডাক্তার আসেন। তিনি আমার স্ত্রীকে পরীক্ষা করে মৃত বলে ঘোষণা করেন।’’ তাঁর অভিযোগ, ‘‘ডাক্তার সময়মতো এলে, স্ত্রী বেঁচে যেত। নার্সিংহোমের গাফিলতিতেই
এমন হল।’’
এর পরেই উত্তেজিত জনতা নার্সিংহোমে ভাঙচুর চালানোর পাশাপাশি, কর্মী-আধিকারিকদের নিগ্রহ করে বলে অভিযোগ। নার্সিংহোম কর্তৃপক্ষের তরফে অন্যতম কর্তা তপন মজুমদার দাবি করেছেন, ‘‘ডায়ালিসিস করাতে এসে ওই রোগিণী হঠাৎ
অসুস্থ হয়ে পড়েন। আইসিইউতে নিয়ে যাওয়ার সময়ে তিনি মারা যান।’’ তপনবাবু জানান, ভাঙচুরের ফলে নার্সিংহোমে প্রচুর ক্ষতি
হয়েছে। থানায় অভিযোগ করার চিন্তা-ভাবনা চলছে। ভাঙচুর প্রসঙ্গে মৃতার পরিবারের বক্তব্য, উত্তেজনার বশে কেউ এমনটা করে থাকতে পারে। তবে যেই করুক কাজটা
ঠিক হয়নি।
পুরো বিষয়টি জেনে অতিরিক্ত জেলাশাসক (স্বাস্থ্য) শঙ্খ সাঁতরা বলেন, ‘‘ওই নার্সিংহোমের বিরুদ্ধে আগে নানা ধরনের অভিযোগ পেয়েছি। এ দিনের ঘটনাও শুনেছি। মৃতার পরিবারের লোক জন অভিযোগ জানালে অবশ্যই তদন্ত হবে।’’ জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক দেবাশিস হালদার বলেন, ‘‘পরিস্থিতির উপরে নজর রাখছি আমরা।’’