ফের হানা, খবর পেয়ে চম্পট গুরুঙ্গের

পুলিশবাহিনীর সঙ্গে লুকোচুরি চলছেই বিমল গুরুঙ্গ ও তাঁর একান্ত ঘনিষ্ঠ সঙ্গীদের। পুলিশ সূত্রে দাবি, রবিবার সকালেও দার্জিলিং-সিকিমের সীমানা বরাবর বয়ে যাওয়া রঙ্গিতের পাশের জঙ্গলে হানা দিয়েছিল বাহিনী। কিন্তু আগাম খবর পেয়ে এ যাত্রাও পালান গুরুঙ্গ।

Advertisement

কিশোর সাহা

শিলিগুড়ি শেষ আপডেট: ১৪ নভেম্বর ২০১৭ ০২:৫০
Share:

পুলিশবাহিনীর সঙ্গে লুকোচুরি চলছেই বিমল গুরুঙ্গ ও তাঁর একান্ত ঘনিষ্ঠ সঙ্গীদের। পুলিশ সূত্রে দাবি, রবিবার সকালেও দার্জিলিং-সিকিমের সীমানা বরাবর বয়ে যাওয়া রঙ্গিতের পাশের জঙ্গলে হানা দিয়েছিল বাহিনী। কিন্তু আগাম খবর পেয়ে এ যাত্রাও পালান গুরুঙ্গ। আইজি পদমর্যাদার এক অফিসারের নেতৃত্বে পুলিশ গিয়ে পরিত্যক্ত ক্যাম্প থেকে কিছু সূত্র পেয়েছে। লাগোয়া এলাকায় খোঁজখবর করে পুলিশ মনে করছে, এক ডেরায় সম্ভবত এক রাতের বেশি থাকছেন না গুরুঙ্গ।

Advertisement

রাজ্য ও কেন্দ্রীয় গোয়েন্দাদের একটি অংশ এত দিন দাবি করছিল, সিকিমে সুরক্ষিত ঘাঁটিতে রয়েছেন গুরুঙ্গ। তবে এ বারে রাজ্য পুলিশের এক কর্তা দাবি করলেন, দার্জিলিং-সিকিম লাগোয়া এলাকায় ক্যাম্প করে থাকছেন গুরুঙ্গ। ওই কর্তার আরও দাবি, একাধিক দল একযোগে নজরদারি চালানোর ফলেই কোণঠাসা হয়ে আরও দুর্গম পাহাড়ি বনাঞ্চলে ঘাঁটি গাড়তে মরিয়া ফেরার কয়েক জন নেতা। আর গুরুঙ্গও কোনও ক্যাম্পে এক রাতের বেশি থাকতে চাইছেন না। কট্টরপন্থী শিবিরের একাংশ জানাচ্ছে, গুরুঙ্গের সঙ্গে রয়েছেন দুই যুব মোর্চা নেতা প্রকাশ গুরুঙ্গ, দীপেন মালে ও ছাত্র নেতা আনমোল। ঠিকাদার-নেতা প্রবীণ সুব্বাও গুরুঙ্গের কাছেই আছেন বলে পুলিশের সন্দেহ।

গুরুঙ্গ বারবার পালাচ্ছেন কী করে, তা নিয়েও জল্পনা চলছে। এক পুলিশকর্তা জানান, রঙ্গিত নদী বরাবর দু’ধারে জঙ্গল। খাড়াই পাহাড় বেয়ে নেমে ঘাঁটিতে রাতে অভিযান করাটা অসম্ভব ঝুঁকিবহুল। তাই অভিযান সকালেই শুরু করতে হচ্ছে। একাধিক অফিসার জানান, পাহাড় বেয়ে রঙ্গিত অবধি পৌঁছতে কমপক্ষে এক ঘণ্টা লাগে। বাহিনী আসার খবর আগাম পাচ্ছেন গুরুঙ্গ। তার পরেই পালাচ্ছেন দলবল সমেত। পুলিশের দাবি, তাঁদের পক্ষে নদী টপকে সিকিমের দিকে চলে যাওয়াটা অত্যন্ত সহজ। কিছু পুলিশ অফিসারের দাবি, এ ভাবে বেশি দিন পালিয়ে বেড়ানো কারও পক্ষে সম্ভব নয়— সেটাও মাথায় রাখতে হবে।

Advertisement
(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন