রোজ ভ্যালি মামলা

কৌঁসুলির দেখা নেই, ভর্ৎসনা তদন্ত সংস্থাকে

সিবিআই, এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট বা ইডি-র মতোই কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সিরিয়াস ফ্রড ইনভেস্টিগেশন অফিস (এসএফআইও)-এর মামলা চলছে লগ্নি সংস্থা রোজ ভ্যালির বিরুদ্ধে। কিন্তু নির্দেশ সত্ত্বেও এসএফআইও-র আইনজীবী সোমবার হাজির না-থাকায় আদালতের ভর্ৎসনার মুখে পড়তে হল ওই তদন্ত সংস্থাকে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ১৪ ফেব্রুয়ারি ২০১৭ ০২:৫৪
Share:

সিবিআই, এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট বা ইডি-র মতোই কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সিরিয়াস ফ্রড ইনভেস্টিগেশন অফিস (এসএফআইও)-এর মামলা চলছে লগ্নি সংস্থা রোজ ভ্যালির বিরুদ্ধে। কিন্তু নির্দেশ সত্ত্বেও এসএফআইও-র আইনজীবী সোমবার হাজির না-থাকায় আদালতের ভর্ৎসনার মুখে পড়তে হল ওই তদন্ত সংস্থাকে।

Advertisement

শুধু তিরস্কার নয়। এসএফআইও-কে রীতিমতো শো-কজ বা কারণ দর্শানোর নির্দেশ দিয়েছেন আলিপুর আদালতের বিচারক পবিত্র সেন। সপ্তাহখানেক আগে তাঁর এজলাসে ওই মামলার শুনানি শুরু হয়। প্রথম দিন এসএফআইও-র কোনও আইনজীবী উপস্থিত ছিলেন না। বিচারক নির্দেশ দেন, ১৩ ফেব্রুয়ারি দু’পক্ষের আইনজীবীকেই আদালতে হাজির থাকতে হবে। কিন্তু সোমবারেও এসএফআইও-র তরফে কোনও আইনজীবী ওই এজলাসে হাজির হননি বলে আদালত সূত্রের খবর। কেন্দ্রীয় তদন্ত সংস্থাকে ভর্ৎসনা করে বিচারক তখন বলেন, ‘‘মামলা দায়ের করা হলেও সংস্থার কোনও আইনজীবী হাজির থাকছেন না। ওই সংস্থাকে এর কারণ দর্শাতে হবে।’’ সেই জবাবদিহি না-এলে বা আইনজীবীরা হাজিরা না-দিলে সংস্থার দায়ের করা এই মামলা খারিজ করে দেওয়া হতে পারে বলেও হুঁশিয়ারি দেন বিচারক।

রোজ ভ্যালির কর্ণধার গৌতম কুণ্ডুকে অবশ্য এ দিন আদালতে হাজির করানো হয়। এসএফআইও-র দায়ের করা মামলায় তাঁর জামিনের আবেদন মঞ্জুর হয়েছে। তবে গৌতম এখনই জেল থেকে বেরোতে পারছেন না। কারণ, ইডি এবং সিবিআইয়ের মামলায় এখনও জামিন পাননি তিনি।

Advertisement

এসএফআইও-র অভিযোগ, সেবি ও রেজিস্ট্রার অব কোম্পানিজের নিষেধাজ্ঞা সত্ত্বেও ২০০৯-’১০ সালে রোজ ভ্যালি বাজার থেকে ডিবেঞ্চারের মাধ্যমে বেআইনি ভাবে কয়েকশো কোটি টাকা তুলেছিল। ২০১৩ সালের এপ্রিলে আলিপুর আদালতে রোজ ভ্যালির বিরুদ্ধে আর্থিক তছরুপের মামলা দায়ের করেন এসএফআইও-র অতিরিক্ত অধিকর্তা অনুপম বশিষ্ঠ। গৌতম ছাড়াও মামলা দায়ের করা হয় রোজ ভ্যালির অন্য দুই কর্তা শিবময় দত্ত ও রামলাল গোস্বামীর বিরুদ্ধে।

রোজ ভ্যালির বিরুদ্ধে সিবিআই যে-মামলা করেছে, তাতে আদালতের নির্দেশ অনুযায়ী শিবময় এখন ভুবনেশ্বর জেলে রয়েছেন। আর রামলাল পলাতক বলে জানিয়েছে সিবিআই। গৌতমের আইনজীবী বিপ্লব গোস্বামী এ দিন বলেন, ‘‘রেজিস্ট্রার অব কোম্পানিজের অনুমতি নিয়েই বাজারে ডিবেঞ্চার ছাড়া হয়েছিল। ওই সংস্থার অভিযোগের ক্ষেত্রে আইনি জটিলতা রয়েছে।’’ গৌতমকে জামিন দিলেও ওই মামলায় বিচারক এ দিন নির্দেশ দেন, ২৭ ফেব্রুয়ারি শিবময় ও রামলালকে আদালতে হাজির করাতে হবে। শিবময়কে আদালতে তোলার জন্য ভুবনেশ্বরের জেল সুপারের কাছে নির্দেশ পাঠানো হচ্ছে। ফেরার রামলালকে গ্রেফতার করে আদালতে তোলার জন্য আগরতলার পুলিশ কমিশনারের কাছেও বিচারকের ওই নির্দেশ পৌঁছে দেওয়া হবে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
আরও পড়ুন