বিধানসভায় অধিবেশনের দিন বাড়ছে, তবে প্রশ্ন থাকবে তো?

দিনের সংখ্যা বাড়বে। কিন্তু চলতি বছরে বিধানসভার শেষ অধিবেশনে প্রশ্নোত্তরের সুযোগ থাকবে কি? শুধু বিরোধীদের প্রশ্ন করাই অনিশ্চিত নয়।

Advertisement

রবিশঙ্কর দত্ত

শেষ আপডেট: ০৪ নভেম্বর ২০১৮ ০২:৫৮
Share:

ফাইল চিত্র।

দিনের সংখ্যা বাড়বে। কিন্তু চলতি বছরে বিধানসভার শেষ অধিবেশনে প্রশ্নোত্তরের সুযোগ থাকবে কি? শুধু বিরোধীদের প্রশ্ন করাই অনিশ্চিত নয়। প্রক্রিয়াগত দেরির কারণে প্রশ্ন হাতে পেলেও তার উত্তর তৈরি করে অধিবেশনের নির্দিষ্ট সময়ের আগে তা নিয়মমতো পৌঁছনো নিয়ে সংশয় তৈরি হয়েছে সরকারপক্ষেও।

Advertisement

বিধানসভা অধিবেশনের গুরুত্বপূর্ণ অংশই প্রশ্নোত্তরপর্ব। বিরোধীরা তো বটেই এই পদ্ধতিতেই সরকারের কাছে বিভিন্ন বিষয়ে জানতে চান শাসকদলের বিধায়কেরাও। ১৬ নভেম্বর থেকে রাজ্য বিধানসভার অধিবেশন বসলেও এ বার সেই সুযোগ অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে। কালীপুজো থেকে ভাইফোঁটা, তার পর ছট পুজো পর্যন্ত ছুটির কারণেই অধিবেশনে প্রশ্নোত্তর পর্ব নিয়ে অনিশ্চয়তা তৈরি হয়েছে। নিয়ম অনুযায়ী, অধিবেশনের জন্য রাজ্যপালের সম্মতিপত্র আসার পরই বিধায়কেরা প্রশ্ন জমা দিতে পারেন। রাজ্যপাল তা পাঠান, সরকারের তরফে সেই আবেদন পাঠানো হলে। সরকারি সূত্রে জানা গিয়েছে, এখনও পর্যন্ত তা হয়নি। ফলে দুর্গাপুজোর পর বিধানসভার সংশ্লিষ্ট অফিস খুললেও প্রশ্ন জমা নেওয়া যায়নি। পরিষদীয় মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় বলেন, ‘‘সময়াভাবে এই পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। চেষ্টা হবে প্রশ্ন নেওয়ার।’’

আাগামিকাল, সোমবার রাজ্যপালের সম্মতিপত্র এলে প্রশ্ন নিতে পারবে বিধানসভা। এই অবস্থায় যাতে কিছু প্রশ্ন নেওয়া যায়, তার জন্য ছুটিতে সংশ্লিষ্ট দফতর দু’দিন খোলা থাকবে। তবে তাতেও কত প্রশ্ন নেওয়া যাবে তা নিয়ে সংশয় রয়েছে বিধানসভার সচিবালয়ে। অধিবেশন শুরুর আগে প্রশ্ন জমা নেওয়ার সময় থাকবে তিন দিন। তারপর সেই প্রশ্ন বাছাই করে যাবে বিভিন্ন দফতরে। সেই উত্তর হাতে এলে তা নির্দিষ্ট নিয়মে ছাপতে হবে। স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘‘চেষ্টা করে দেখছি। সরকারি দফতরগুলির সঙ্গেও উত্তর পাওয়ার ব্যাপারে যোগাযোগ রাখা হচ্ছে।’’ প্রশ্ন নিয়ে এই অনিশ্চয়তায় সরকারপক্ষকেই দুষেছে বিরোধীরা। বিরোধী দলনেতা আব্দুল মান্নান বলেন, ‘‘আগে উত্তরই দিত না। এখন প্রশ্ন করার সুযোগই রাখবে না। বিধানসভার গুরুত্ব শেষ হয়ে যাচ্ছে।’’

Advertisement

আরও পড়ুন: ছিটমহলের রায়তদের জন্য ১৪ হাজার খতিয়ান

এখনও পর্যন্ত যা আলোচনা হয়েছে, তাতে এ বারের অধিবেশন হবে ২৯ তারিখ পর্যন্ত। তা হলে এ বছর অধিবেশনের দিনের হিসেবে যোগ হবে ১৪ দিন। ছুটি বাদ দিলে কাজ হবে সাত দিন।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement