বন্দি মাওবাদী-সহ জেল থেকে পালানোর ছক সেই শামিমের

এক বছরের মধ্যে দু’বার জেল থেকে পালানোর চেষ্টা। প্রথম বারে সফল হলেও এ বার আর পালাতে পারল না শামিম হাওলাদার। টর্চের এক ফালি আলোর কারণেই বানচাল হয়ে গেল শামিম আর দীপক কুমারের জেল-পালানোর ছক। রবিবার রাতের এই ঘটনা ঘটেছে প্রেসিডেন্সি কেন্দ্রীয় সংশোধনাগারে। নকল চাবি, পাঁচিল টপকানোর দড়ি বানিয়েও শেয পর্যন্ত তাই আর পালাতে পারলেন না মাওবাদী দীপক এবং ডাকাতির আসামি শামিম।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ২৭ জুলাই ২০১৫ ১০:৪৩
Share:

শামিম হাওলাদার। —নিজস্ব চিত্র

এক বছরের মধ্যে দু’বার জেল থেকে পালানোর চেষ্টা। প্রথম বারে সফল হলেও এ বার আর পালাতে পারল না শামিম হাওলাদার।

Advertisement

টর্চের এক ফালি আলোর কারণেই বানচাল হয়ে গেল শামিম আর দীপক কুমারের জেল-পালানোর ছক। রবিবার রাতের এই ঘটনা ঘটেছে প্রেসিডেন্সি কেন্দ্রীয় সংশোধনাগারে। নকল চাবি, পাঁচিল টপকানোর দড়ি বানিয়েও শেয পর্যন্ত তাই আর পালাতে পারলেন না মাওবাদী দীপক এবং ডাকাতির আসামি শামিম।

কারা দফতর সূত্রে খবর, ওই দিন রাত একটা নাগাদ এক কারারক্ষী একটি সেলে আলোর রেখা দেখতে পান। অত রাতে আলো দেখে সন্দেহ হয় তাঁর। সেলে গিয়ে দেখেন, শামিম লাইটারের পিছনে লাগানো ছোট্ট একটি টর্চ চেপে ধরে আছে মুখে। এক হাতে রয়েছে একটি আয়না। অন্য হাতে একটি চাবি। সেলের ভিতর থেকে হাত বের করে বাইরে লাগানো তালার সামনে আয়না ধরে তাতে তালার প্রতিবিম্ব দেখে চাবি ঢোকানোর চেষ্টা করছে বন্দি। ওই অবস্থায় তাকে ধরে ফেলেন কারারক্ষীরা। শামিমকে ধরার পরে তাকে জেরা শুরু করেন কারারক্ষীরা। জেরার মুখে সে স্বীকার করে, তার সঙ্গে মাওবাদী সন্দেহে ধৃত দীপক কুমারেরও পালানোর কথা ছিল।

Advertisement

জেরায় ওই দু’জন জানিয়েছেন, জেলেরই বিভিন্ন জায়গা থেকে লোহার টুকরো ও তার জড়ো করেছিল তারা। পরে সে গুলিকে আঠার সাহায্যে জুড়ে চাবি তৈরি করা হয়। বাগানের বেড়া থেকে লোহার টুকরো দিয়ে তৈরি করা হয়েছিল হুক। যেগুলি দড়ির মাথায় লাগিয়ে পাঁচিল টপকানোর ব্যবস্থা করা হয়েছিল। এর আগে গত বছরের অগস্ট মাসে একই ভাবে এই হুকের সাহায্যে আলিপুর কেন্দ্রীয় সংশোধনাগার থেকে পালিয়েছিল শামিম। তার সঙ্গে আরও দুই বন্দি পালায় ওই দিন। পরে পুলিশের জালে ফের ধরা পড়ে সে। তার পর থেকে প্রেসিডেন্সি সংশোধনাগারেই রয়েছে সে।

ওই রাতেই হেস্টিংস থানায় খবর দেয় সংশোধনাগার কর্তৃপক্ষ। পুলিশ এসে এর পরে তদন্ত শুরু করে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন