West Bengal Recruitment Case

‘সত্যিটা দেখান’, ইডির মামলায় জামিনের পরে সিবিআইয়ের হাতে গ্রেফতার হয়ে ক্ষোভ শান্তনুর

২০২৩ সালের মার্চ মাসে নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় ইডির হাতে গ্রেফতার হয়েছিলেন শান্তনু। ওই মামলায় তাঁকে নিজেদের হেফাজতে চেয়ে আবেদন করে সিবিআই।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ২৬ নভেম্বর ২০২৪ ২০:৫৩
Share:

(বাঁ দিকে) শান্তনু বন্দ্যোপাধ্যায়। — নিজস্ব চিত্র।

প্রাথমিকে নিয়োগ দুর্নীতিকাণ্ডে ইডির মামলায় মঙ্গলবার সকালেই তৃণমূলের বহিষ্কৃত নেতা শান্তনু বন্দ্যোপাধ্যায়কে জামিন দিয়েছিল কলকাতা হাই কোর্ট। বিকেলে ওই নিয়োগ দুর্নীতি মামলাতেই তাঁকে নিজেদের হেফাজতে নিল সিবিআই। আদালতে শান্তনুর আইনজীবী প্রশ্ন তোলেন, এটা কি কোনও কৌশল? আদালত থেকে বেরিয়ে জেলে যাওয়ার সময় একই সুর শোনা গেল শান্তনুর গলাতেও। গাড়ির ভিতর থেকে চিৎকার করে তিনি বলেন, ‘‘সত্যিটা দেখান।’’

Advertisement

২০২৩ সালের মার্চ মাসে নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় ইডির হাতে গ্রেফতার হয়েছিলেন শান্তনু। ওই মামলায় তাঁকে নিজেদের হেফাজতে চেয়ে আবেদন করে সিবিআই। সেই মতো মঙ্গলবার তাঁকে সিবিআইয়ের বিশেষ আদালতে হাজির করানো হয়। বিচারকের নির্দেশে শান্তনুকে ২৯ নভেম্বর পর্যন্ত নিজেদের হেফাজতে পেয়েছে সিবিআই। যদিও ইডির মামলায় মঙ্গলবার সকালেই তাঁকে জামিন দিয়েছিল কলকাতা হাই কোর্ট। তার পর ফের সিবিআইয়ের হেফাজতে যাওয়ার পর শান্তনু বলেন, ‘‘আজ বেল পেলাম, আজই আবার গ্রেফতার হলাম। সত্যিটা দেখান।’’

মঙ্গলবার সিবিআই আদালতে তাঁর আইনজীবী একই কথা বলেন। আদালতে তিনি সওয়াল করে জানান, মঙ্গলবারই ইডি মামলায় হাই কোর্টে জামিন পেয়েছেন। তার পর সিবিআই কেন হেফাজতে চাইছে? তা হলে কি এটা কোনও ‘কৌশল’? তাঁর প্রশ্ন, দু’বছরের বেশি সময় ধরে তদন্ত করছে সিবিআই। এত দিন পরে কেন শান্তনুকে গ্রেফতার করতে চাইছে? তিনি পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের মতো প্রভাবশালীও নন।

Advertisement

সিবিআই পাল্টা দাবি করেছে, শান্তনু চাকরিপ্রার্থীদের কাছ থেকে কয়েক কোটি টাকা তুলেছেন। কিছু ডিজিটাল প্রমাণ এবং বয়ান থেকে শান্তনুর নাম উঠে এসেছে। তাই তাঁকে হেফাজতে নিয়ে জেরা করা প্রয়োজন। সেই আবেদন মেনে আদালত শান্তনুকে চার দিনের জন্য সিবিআই হেফাজতে পাঠিয়েছে।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement
Advertisement