নিহত অসীম দাস। ফাইল চিত্র।
পূর্ব বর্ধমানের মঙ্গলকোটে তৃণমূল কংগ্রেসের অঞ্চল সভাপতি অসীম দাসের হত্যাকাণ্ডে মূল অভিযুক্ত ধরা পড়ল চেন্নাইয়ের মানালিতে। পুলিশ জানায়, মহম্মদ সুরজ নামে ওই দুষ্কৃতীকে সোমবার গ্রেফতার করেছে সিআইডি-র তদন্তকারী দল। ‘শার্প শুটার’ সুরজের বাড়ি বীরভূমের পাড়ুইয়ের ঘিদোহে। ঘটনার পরেই সে পালিয়ে যায়। ধৃতকে ট্রানজ়িট রিমান্ডে এই রাজ্যে আনার জন্য মঙ্গলবার স্থানীয় আদালতে তোলা হয়।
সিআইডি-র অভিযোগ, সুরজই ১২ জুলাই রাতে মঙ্গলকোটে অসীমবাবুকে গুলি করেছিল। সিআইডি ওই ঘটনায় সুরজকে নিয়ে সাত-আট জনকে গ্রেফতার করল।
শাসক দলের ওই নেতা খুনের মামলায় সিআইডি-র তরফে পুজোর ঠিক আগে বর্ধমান আদালতে ন’জন অভিযুক্তের বিরুদ্ধে চার্জশিট জমা দেওয়া হয়েছিল। তাদের মধ্যে সুরজ এবং অন্য এক জনকে পলাতক হিসেবে দেখানো হয়। গোয়েন্দা সূত্রের খবর, ওই চার্জশিটে নাম রয়েছে নানুরের বাসিন্দা এবং এলাকায় তৃণমূল নেতা হিসেবে পরিচিত রাজু শেখের। সিআইডি-র দাবি, অসীম-হত্যার মূল চক্রী রাজুই। তাকে গত অগস্টেই গ্রেফতার করা হয়েছে।
অসীমবাবুকে সরাতে পারলে অন্য কেউ অঞ্চল সভাপতি হতে পারবেন, মূলত এই কারণেই তাঁকে খুন হতে হয়েছে বলে জানাচ্ছেন গোয়েন্দারা। এক তদন্তকারী অফিসার জানান, ‘সুপারি কিলার’ নিয়োগ করার জন্য খোকন শেখকে টাকা দিয়েছিল রাজু। সেই অনুযায়ী সুরজকে নিয়োগ করে খোকন। ১২ জুলাই রাতে সুরজ অন্য এক জনের বাইকে চেপে এসে সিউর-লাখুরিয়া পিচরাস্তায় কালভার্টের কাছে অসীমবাবুকে গুলি করে পালিয়ে যায়। সেই সময় বাড়ি ফিরছিলেন ওই তৃণমূল নেতা। জেলা পুলিশের হাত থেকে তদন্তভার যায় সিআইডি-র হাতে। খোকন ধরা পড়েছে।
সিআইডি সূত্রের খবর, ফেরার অবস্থায় সুরজ মোবাইল ফোন ব্যবহার করত না। তবে সে এ রাজ্যে বিভিন্ন লোকের সঙ্গে যোগাযোগ রেখে চলত। খোকন গ্রেফতারের পরেই আরও এক অভিযুক্ত ধরা পড়ে, যার বাইকে সুরজ অকুস্থলে গিয়েছিল। এক তদন্তকারী জানান, নজরদারি শুরুর পরে জানা যায়, সুরজ আছে চেন্নাইয়ে।