—ফাইল চিত্র।
শ্রমিকদের একাংশের কর্মবিরতির জেরে জাহাজ চলাচল বন্ধ ছিল দেড় দিন। মঙ্গলবার রাত থেকে স্বাভাবিক হতে শুরু করেছে হলদিয়া বন্দর। বন্দর থেকে পণ্য খালাস করে ৩টি জাহাজ বেরিয়ে গিয়েছে। এসেছে তিনটি জাহাজ। বার্থের খুঁটিতে দড়ি দিয়ে জাহাজ বাঁধার কাজ করে যে ‘ম্যুরিং গ্যাং’, তারা এ দিন কাজে ফিরেছে বলে দাবি করেছেন বন্দর কর্তৃপক্ষ।
তমলুকের তৃণমূল সাংসদ দিব্যেন্দু অধিকারী জাহাজ-সচিব গোপালকৃষ্ণকে চিঠি লিখে পুরো ঘটনার উচ্চ পর্যায়ের তদন্ত চেয়েছেন। তাঁর দাবি, শ্রমিকদের বদনাম করতে হলদিয়া বন্দর কর্তৃপক্ষই জাহাজ আসা-যাওয়া বন্ধ করে দিয়েছেন। কোনও শ্রমিক সংগঠন এই কর্মবিরতি করছে না।
অভিযোগ অস্বীকার করে কর্তৃপক্ষের দাবি, ক’টি জাহাজকে বন্দরে ডাকা হয়েছিল, তা কাগজে-কলমে রয়েছে। কিন্তু ওই সব জাহাজ কর্মবিরতির খবর পেয়ে অন্য বন্দরে চলে গিয়েছে। তদন্ত হলেই সব প্রকাশিত হবে।
হলদিয়া বন্দরের শ্রমিক ইউনিয়নগুলিকে নিয়ে এ দিন বৈঠকে বসেন বন্দর কর্তারা। শ্রমিক ইউনিয়নগুলির দাবি, কোনও ধর্মঘট হচ্ছে না। বন্দর কর্তৃপক্ষ পরিস্থিতি ঘোরালো করে তুলেছে। যাঁদের বিরুদ্ধে কারণ দর্শানোর নোটিস জারি হয়েছে, তা প্রত্যাহার করার দাবি জানিয়েছে ইউনিয়নগুলি। পাশাপাশি, বন্দরে জাহাজ এলে কাজ শুরুর আশ্বাসও দিয়েছে তারা।
বন্দর কর্তৃপক্ষ অবশ্য শ্রমিক নেতাদের জানান, যদি কোনও কর্মবিরতি না হয়, তা হলে জাহাজ আসা বন্ধ হল কেন? সে জন্য যাঁরা কাজ বন্ধ করেছিলেন, তাঁদের শাস্তিপ্রক্রিয়া বহাল থাকবে।
বন্দরের তৃণমূল শ্রমিক সংগঠনের নেতা তথা হলদিয়ার পুর চেয়ারম্যান শ্যামল কুমার আদক বলেন, ‘‘কর্তৃপক্ষের সঙ্গে সমন্বয়ের অভাব ছিল। তা মিটে গিয়েছে। সকলে কাজে যোগ দিয়েছেন।’’ হলদিয়া বন্দরের জেনারেল ম্যানেজার (মেরিন) স্বপন কুমার সাহা রায়ের বক্তব্য, ‘‘সাসপেনশন তুলে নেওয়া হলেও যাঁদের বিরুদ্ধে শাস্তি প্রক্রিয়া শুরু হয়েছিল, তা চলবে। এ দিন ইউনিয়নকে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, জরুরি পরিষেবা কোনও ভাবে বন্ধ রাখা যাবে না।’’