Election Commission of India

নির্বাচন কমিশনের নির্দেশে কি আবারও বদলি, সংশয়

১ নভেম্বর থেকে শুরু হয়েছে ভোটার তালিকা সংশোধনের কাজ। ৫ জানুয়ারি সংশোধিত এবং চূড়ান্ত ভোটার তালিকা প্রকাশ পাবে। যার উপর নির্ভর করে ২০২৪ সালের ভোট করাবে কমিশন।

Advertisement

চন্দ্রপ্রভ ভট্টাচার্য

কলকাতা শেষ আপডেট: ০৪ নভেম্বর ২০২৩ ০৮:২৭
Share:

জাতীয় নির্বাচন কমিশন। —ফাইল চিত্র।

ভোটের আগে ফের এক বার জেলাশাসক পদে রদবদল হবে কি না, তা নিয়ে জল্পনা তৈরি হয়েছে প্রশাসনের অন্দরে। কারণ, গত ১২ সেপ্টেম্বর প্রায় ১২টি জেলার জেলাশাসক পদে
রদবদল করেছিল নবান্ন। তার ঠিক পরেই জাতীয় নির্বাচন কমিশন লিখিত ভাবে সব রাজ্যকে জানিয়ে দিয়েছে, ভোটার তালিকা সংশোধন এবং ভোটের কাজে এমন কোনও আধিকারিককে রাখা যাবে না, যাঁদের বিরুদ্ধে কোনও না কোনও শাস্তিমূলক পদক্ষেপ করা হয়েছে। প্রশাসনিক সূত্রের বক্তব্য, গত রদবদলে কয়েকজন এমন আধিকারিক রয়েছেন, অতীতে যাঁদের ভোটের দায়িত্ব থেকে অপসারণ করেছিল কমিশন। তাই ফের রদবদলের জল্পনা তীব্র হচ্ছে প্রশাসনের অন্দরে।

Advertisement

১ নভেম্বর থেকে শুরু হয়েছে ভোটার তালিকা সংশোধনের কাজ। ৫ জানুয়ারি সংশোধিত এবং চূড়ান্ত ভোটার তালিকা প্রকাশ পাবে। যার উপর নির্ভর করে ২০২৪ সালের ভোট করাবে কমিশন। এই অবস্থায় কমিশন লিখিত ভাবে পশ্চিমবঙ্গ-সহ সব রাজ্যকে (বিধানসভা ভোটমুখী রাজ্যগুলি বাদে) জানিয়েছে, ভোটের সঙ্গে যুক্ত জেলাস্তরে সব পদগুলি (জেলাশাসক, অতিরিক্ত জেলাশাসক ইত্যাদি) পূরণ করতে হবে। যে কাজ ইতিমধ্যেই সেরে ফেলেছে নবান্ন। বিগত কয়েকটি নির্দেশিকায় জেলাশাসক, অতিরিক্ত জেলাশাসক, মহকুমাশাসক এবং ব্লক উন্নয়ন আধিকারিকদের বিপুল সংখ্যায় রদবদল করা হয়েছে, বিশেষ করে কমিশনের নীতি অনুযায়ী, যাঁদের নির্দিষ্ট পদে কার্যকালের মেয়াদ তিন বছর পেরিয়েছে। বদলি কার্যকর হয়েছে জেলা পুলিশ কর্তাদের ক্ষেত্রেও।

কিন্তু এর সঙ্গেই কমিশন স্পষ্ট করে দিয়েছে, সেই সব অফিসার ভোটের কাজে যুক্ত থাকতে পারবেন না, যাঁদের বিরুদ্ধে কমিশন শাস্তিমূলক পদক্ষেপের প্রস্তাব করেছিল অতীতে। যাঁদের বিরুদ্ধে ফৌজদারি মামলা রয়েছে এবং ভোট-প্রক্রিয়া চলাকালীন যে অফিসারদের অতীতে অপসারণ করেছিল কমিশন, তাঁরাও ভোট-দায়িত্বে থাকতে পারবেন না। পাশাপাশি, কমিশন স্পষ্ট করে দিয়েছে, সেই অফিসারদের ভোটার তালিকা সংশোধনের কাজেও যুক্ত রাখা চলবে না। আধিকারিকমহলের অনেকের মতে, এ বার ভোটার তালিকা সংশোধনের উপর বিশেষ গুরুত্ব দিয়েছে কমিশন। পঞ্চায়েত ভোটের কাজে যুক্ত আধিকারিকদের একাংশের বিরুদ্ধে যে ভাবে পক্ষপাতিত্বের অভিযোগ উঠেছিল, তাতে এই বার্তা তাৎপর্যপূর্ণ।

Advertisement

ইতিমধ্যে এমন কয়েক জন অফিসার এক জেলা থেকে অন্য জেলায় বদলি হয়েছেন, অতীতের কোনও না কোনও ভোটে দায়িত্ব থেকে যাঁদের অপসারণ করেছিল কমিশন।

সংশ্লিষ্ট মহল মনে করছে, আগের ভোটকালীন নির্দেশের সঙ্গে কমিশনের এ বারের বার্তায় কিছুটা ফারাক রয়েছে। কারণ, আগের কোনও ভোটে রাজ্য সরকার কাউকে দায়িত্বে রেখে দিলেও, কমিশন নিজে থেকে তাঁকে অপসারণ করে অন্য আধিকারিককে দায়িত্ব দিয়েছিল। কিন্তু এ বার আগে থেকেই সে কাজ সেরে রাখতে বলা হয়েছে। অথচ ১ নভেম্বর থেকে শুরু হয়েছে ভোটার তালিকা সংশোধনের চূড়ান্ত পর্ব। কমিশনেরই নির্দেশ রয়েছে, ওই পর্বে কোনও আধিকারিককে বদলি করা যাবে না। ফলে কার্যত উভয়সংকট তৈরি হয়েছে প্রশাসনের সামনে। সেই কারণেই প্রবীণ আমলাদের অনেকে মনে করছেন, সংশোধন প্রক্রিয়া মিটলেই ফের হয়তো একটা রদবদল হতে পারে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন