এ বার ‘ভাগ সিদ্ধার্থ ভাগ’?

সাত মাস আগে ‘ভাগ মদন ভাগ’, ‘ভাগ মুকুল ভাগ’ এবং ‘ভাগ মমতা ভাগ’ স্লোগান দিয়ে বঙ্গ রাজনীতিতে বিখ্যাত হয়েছেন সিদ্ধার্থনাথ সিংহ। সাত মাস পরে তাঁর নিজের দলই কার্যত বলল, ‘ভাগ সিদ্ধার্থ ভাগ’। বিজেপি-র কেন্দ্রীয় সম্পাদক সিদ্ধার্থ ছিলেন এ রাজ্যে দলের পর্যবেক্ষক।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ০৩ জুলাই ২০১৫ ২০:১২
Share:

সাত মাস আগে ‘ভাগ মদন ভাগ’, ‘ভাগ মুকুল ভাগ’ এবং ‘ভাগ মমতা ভাগ’ স্লোগান দিয়ে বঙ্গ রাজনীতিতে বিখ্যাত হয়েছেন সিদ্ধার্থনাথ সিংহ। সাত মাস পরে তাঁর নিজের দলই কার্যত বলল, ‘ভাগ সিদ্ধার্থ ভাগ’। বিজেপি-র কেন্দ্রীয় সম্পাদক সিদ্ধার্থ ছিলেন এ রাজ্যে দলের পর্যবেক্ষক। তাঁর বদলে শুক্রবার রাজ্য বিজেপি-র পর্যবেক্ষক হলেন কৈলাস বিজয় বার্গিয়া। তাঁর সহকারী হিসাবে থাকবেন সিদ্ধার্থ এবং সুরেশ পূজারী। অর্থাৎ, সিদ্ধার্থের ডানা ছাঁটল দল। লোকসভা নির্বাচন পরবর্তী পর্বে রাজ্য বিজেপি-র একাংশ সিদ্ধার্থের বিরুদ্ধে লাগাতার অভিযোগ জানিয়েছেন কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের কাছে। সিদ্ধার্থের মাথার উপর কৈলাসকে বসানো ওই ধারাবাহিক অভিযোগেরই ফল বলে মনে করছেন দলীয় নেতৃত্বের একাংশ। যদিও সিদ্ধার্থনাথের নিজের বক্তব্য, ‘‘এ রকম বলার কোনও কারণ নেই যে দল আমায় সরিয়ে দিয়েছে। নির্বাচনের বছরে এ রকম রদবদল হয়। অনেক লোক আসেন, এখনও আসবেন। আমি পশ্চিমবঙ্গের সঙ্গে জড়িয়ে রয়েছি। অমিত শাহর আগেই পশ্চিমবঙ্গে যাচ্ছি সভার প্রস্তুতি দেখতে।’’

Advertisement

বিজেপি সূত্রের খবর, কৈলাস মধ্যপ্রদেশের রাজনীতিতে ছিলেন। তার পর তাঁকে হরিয়ানায় পাঠানো হয়। সেখানে সংগঠন বিস্তারে সাফল্য অর্জন করেছেন বলেই তাঁকে পশ্চিমবঙ্গে পাঠানো হচ্ছে। কৈলাস এ প্রসঙ্গে বলেন, “বাংলা এই মুহূর্তে আমাদের কাছে একটা চ্যালেঞ্জ তো বটেই। অস্বীকার করার উপায় নেই, শহরাঞ্চলে আমাদের দল কিছুটা সাফল্য অর্জন করেছে। যদিও গ্রামাঞ্চলে অবস্থাটা নড়বড়ে! তবে, প্রধানমন্ত্রী মোদী এবং অমিত শাহর যোগ্য নেতৃত্বে আমরা সব বাধা কাটিয়ে উঠব।” কারণ, কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব বুঝেছেন, এ রাজ্যে দলের দুর্বল সংগঠনই ক্ষমতার কাছে যাওয়ার প্রধান অন্তরায়। সিদ্ধার্থকে অন্ধ্রপ্রদেশ বিজেপি-র দায়িত্ব দেওয়া হচ্ছে।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement
Advertisement