শুধু দিল্লির মুখ চেয়ে কেন, দলে ক্ষোভ সিদ্ধার্থের

এক বছর পরে ক্ষমতা দখলের স্বপ্ন বাস্তবায়িত করার লক্ষ্যে যে বৈঠক ডাকা হয়েছিল, সেখানেই ফেটে পড়ল ব্যর্থতার ক্ষোভ। ক্ষুব্ধ স্বয়ং কেন্দ্রীয় নেতা সিদ্ধার্থনাথ সিংহ। আসন্ন পুরভোটের আগে সোমবার বিজেপি-র রাজ্য সম্পাদকমণ্ডলীর বৈঠকে দলের কেন্দ্রীয় সম্পাদক তথা রাজ্যের পর্যবেক্ষক সিদ্ধার্থনাথ রাজ্য নেতৃত্বের কড়া সমালোচনা করেছেন।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ১৭ মার্চ ২০১৫ ০৩:১৯
Share:

এক বছর পরে ক্ষমতা দখলের স্বপ্ন বাস্তবায়িত করার লক্ষ্যে যে বৈঠক ডাকা হয়েছিল, সেখানেই ফেটে পড়ল ব্যর্থতার ক্ষোভ। ক্ষুব্ধ স্বয়ং কেন্দ্রীয় নেতা সিদ্ধার্থনাথ সিংহ। আসন্ন পুরভোটের আগে সোমবার বিজেপি-র রাজ্য সম্পাদকমণ্ডলীর বৈঠকে দলের কেন্দ্রীয় সম্পাদক তথা রাজ্যের পর্যবেক্ষক সিদ্ধার্থনাথ রাজ্য নেতৃত্বের কড়া সমালোচনা করেছেন। বিজেপি সূত্রের খবর, তিনি বৈঠকে বলেছেন, লোকসভা ভোটের পর দলের পক্ষে যে হাওয়া উঠেছিল, তা কাজে লাগাতে ব্যর্থ হয়েছেন রাজ্য নেতৃত্ব।

Advertisement

সারদা কেলেঙ্কারিতে অভিযুক্ত মুকুল রায় বিজেপি-তে যোগ দিতে পারেন বলে রাজনৈতিক শিবিরে বিস্তর জল্পনা রয়েছে। সিদ্ধার্থনাথ অবশ্য বহু বার বলেছেন, কেলেঙ্কারির দাগ আছে, এমন কাউকে দলে নেওয়ার প্রশ্ন নেই। তা সত্ত্বেও দিল্লিতে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী রাজনাথ সিংহ, অরুণ জেটলি, এমনকী স্বয়ং প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে মুকুলের সাক্ষাতের খবর জল্পনায় ইন্ধন দিয়েছে। রাজ্য বিজেপি-র একাংশ অবশ্য মুকুলকে দলে নিতে নারাজ। দলীয় সূত্রের খবর, এ দিনের বৈঠকে মুকুল বিতর্কের প্রসঙ্গ তোলেন কয়েক জন রাজ্য নেতা। তাঁরা মুকুলকে দলে নেওয়ার বিরোধী। এ বিষয়ে যাবতীয় জল্পনা এবং বিরোধীদের কটাক্ষের জন্য তাঁরা সিদ্ধার্থনাথের দিকে আঙুল তোলেন। তখনই ক্ষোভে ফেটে পড়েন সিদ্ধার্থনাথ। তিনি বলেন, অনেকেই প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করেন। মুকুলও করেছেন। বিরোধীরা অনেক কথাই বলতে পারে। কিন্তু রাজ্য নেতারা আত্মপক্ষ সমর্থনে যুক্তি দিতে পারছেন না! উল্টে তাঁরা আঙুল তুলছেন দিল্লির দিকে। সিদ্ধার্থনাথ দলীয় বৈঠকে আরও জানান, সংশ্লিষ্ট নেতৃত্বের কাছে তিনিই সব চেয়ে বেশি মুকুলের বিরুদ্ধে বলেছেন।

এর পরেই দলের রাজ্য নেতাদের ভূমিকা নিয়ে আক্রমণ করেন সিদ্ধার্থনাথ। তাঁর প্রশ্ন, রাজ্যের বড় বড় নেতারা কী দায়িত্ব নিয়েছেন? বীরভূমের পাড়ুইয়ে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী মুখতার আব্বাস নকভি এসেছেন। আর্থিক সাহায্য থেকে শুরু করে ভোটে কেন্দ্রীয় বাহিনী, সব ব্যাপারেই বিজেপি-র কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব সব রকম সাহায্য করেছেন। তা সত্ত্বেও রাজ্য নেতৃত্ব ফসল ঘরে তুলতে পারছেন না কেন? কে দলে আসবে না আসবে, তা নিয়ে মাথা না ঘামিয়ে সংগঠন গড়ায় মন দেওয়ার পরামর্শ দেন ওই কেন্দ্রীয় নেতা। বিজেপি-র এক রাজ্য নেতার কথায়, “সিদ্ধার্থনাথ ক্ষোভের সঙ্গে বলেছেন, আমাকে আপনারা মুক্তি দিন!” প্রকাশ্যে অবশ্য এ নিয়ে কেউ মুখ খোলেননি। কাল, বুধবার দিল্লিতে আরএসএস নেতা রামলাল ও শিবপ্রকাশ এবং বিজেপি-র সর্বভারতীয় সভাপতি অমিত শাহের সঙ্গে দলের রাজ্য নেতৃত্বের বৈঠক হওয়ার কথা।

Advertisement
(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন