নাবালককে জেলে পাঠিয়ে প্যাঁচে পুলিশ

গ্রেফতার না দেখিয়ে সপ্তাহভর এক কিশোরকে লক-আপে আটকে রাখার অভিযোগ উঠেছে শিলিগুড়ির প্রধাননগর থানার পুলিশের বিরুদ্ধে। চার দিনের পুলিশ হেফাজতের মেয়াদ শেষে ১৪ বছরের ওই কিশোরকে জেলেও পাঠানো হয়।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা ও শিলিগুড়ি শেষ আপডেট: ১৭ জুলাই ২০১৬ ০৩:১৮
Share:

গ্রেফতার না দেখিয়ে সপ্তাহভর এক কিশোরকে লক-আপে আটকে রাখার অভিযোগ উঠেছে শিলিগুড়ির প্রধাননগর থানার পুলিশের বিরুদ্ধে। চার দিনের পুলিশ হেফাজতের মেয়াদ শেষে ১৪ বছরের ওই কিশোরকে জেলেও পাঠানো হয়। ‘জুভেনাইল জাস্টিস অ্যাক্ট’ লঙ্ঘনের ঘটনায় সরব হয়েছেন শিশু সুরক্ষা আধিকারিকরা। শিলিগুড়ি কমিশনারেটের সিপি চেলিং সিমিক লেপচা অবশ্য শনিবার দাবি করেন, ‘‘গ্রেফতারের সময়ে ওই কিশোরের পরিবার তার জন্মের শংসাপত্র দেখাতে পারেনি। তাই তাকে ‘সাবালক’ জেনেই আদালতে তোলা হয় এবং আদালতের নির্দেশেই ১৪ দিনের জেল হেফাজত হয়েছে।’’ যদিও পুলিশের এই বক্তব্য মানতে রাজি নন দার্জিলিং জেলা লিগাল এড ফোরামের সদস্যরা। কিশোরের পরিবারের অভিযোগ, ২৪ জুন রাতে ওই নাবালককে দাগাপুর টি এস্টেটে তার বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে যায় প্রধাননগর থানার পুলিশ। কিশোরের কাকা রাজু মানকে মুণ্ডার অভিযোগ, ‘‘ভাইপোকে আট দিন থানায় আটকে রেখে মারধর করা হয় এবং তারপর আদালতে পেশ করা হয়। বার বার থানায় গেলেও তার অপরাধ কী জানতে পারিনি।’’ ২ জুলাই তিনি দার্জিলিং লিগাল এড ফোরামের দ্বারস্থ হন। ওইদিনই জেলা আইনী পরিষেবা সমিতির চেয়ারম্যান, বিচারক অজয় কুমার দাসের কাছে পুরো বিষয়টি জানিয়ে আইনি সহায়তা চায় ফোরাম। এর পরই বিচারক প্রধাননগর থানাকে ৭ জুলাইয়ের মধ্যে পুরো ঘটনার রিপোর্ট দিতে নির্দেশ দেন। ওই নির্দেশ পেয়ে ৪ জুলাই প্রধাননগর থানা ওই কিশোরকে তড়িঘড়ি শিলিগুড়ি আদালতে পেশ করে। পুলিশের আবেদনে আদালত ৪ দিনের পুলিশি হেফাজতের নির্দেশ দেয়।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন