শিলিগুড়ির ডাকাতিতে কলকাতা যোগ

লেক থানা এবং কলকাতা পুলিশের গোয়েন্দা শাখার আধিকারিকেরা শিলিগুড়ি পুলিশের সঙ্গে যোগাযোগ করে রাতেই প্রাথমিক তথ্য সংগ্রহ করেন। আজ, রবিবারের মধ্যে কলকাতা পুলিশের একটি দলের শিলিগুড়ি পৌঁছনোর কথা। তদন্তকারীদের অনুমান, মণিপুরের বাসিন্দা তিন যুবক আন্তঃরাজ্য কোনও বড় চক্রের সদস্য।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শিলিগুড়ি শেষ আপডেট: ১০ সেপ্টেম্বর ২০১৭ ০২:২৯
Share:

ধৃতদের হাসপাতালে নিয়ে যাচ্ছে পুলিশ। ছবি: বিশ্বরূপ বসাক

শিলিগুড়ির হিলকার্ট রোডে বাসিন্দাদের হাতে ধরা পড়া দুষ্কৃতীরা দু’মাস আগে কলকাতার একটি সোনার দোকানে লুঠে জড়িত ছিল বলে সন্দেহ পুলিশের। শুক্রবার শিলিগুড়ি শহরে ডাকাতি করতে গিয়ে আগ্নেয়াস্ত্র-সহ তিন জন ধরা পড়ার পর তদন্তে নামেন আধিকারিকরা।

Advertisement

পুলিশ সূত্রের খবর, রাতেই ঘটনাস্থল থেকে প্রায় ৫০০ মিটার দূরে কলকাতার নম্বরের একটি গাড়ি উদ্ধার হয়। কলকাতা পুলিশের সঙ্গে যোগাযোগের পরেই জানা যায়, গত ২৭ জুলাই লেক থানার গড়িয়াহাট সাউথ রোড-যোধপুর পার্ক এলাকায় একটি সোনার দোকানে ডাকাতি হয়। সেখানেও চার দুষ্কৃতী একই ভাবে আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে মাথায় হেলমেট ও মুখে সার্জিক্যাল মাক্স পড়ে প্রায় ২০ লক্ষ টাকার সোনার গয়না নিয়ে চম্পট দেয়। দোকানের সিসিটিভি খারাপ থাকলেও আশপাশের দোকানের সিসিটিভি ফুটেজ থেকে দুষ্কৃতীদের ঢোকা ও বার হওয়ার কিছু ছবি পুলিশ পায়। শুক্রবার শিলিগুড়িতে ধরা পড়া তিন দুষ্কৃতী কলকাতার ওই ডাকাতির ঘটনাতেও জড়িত কী না সেই সম্পর্কে খোঁজখবর নেওয়া শুরু করেছে কলকাতা পুলিশ।

লেক থানা এবং কলকাতা পুলিশের গোয়েন্দা শাখার আধিকারিকেরা শিলিগুড়ি পুলিশের সঙ্গে যোগাযোগ করে রাতেই প্রাথমিক তথ্য সংগ্রহ করেন। আজ, রবিবারের মধ্যে কলকাতা পুলিশের একটি দলের শিলিগুড়ি পৌঁছনোর কথা। তদন্তকারীদের অনুমান, মণিপুরের বাসিন্দা তিন যুবক আন্তঃরাজ্য কোনও বড় চক্রের সদস্য। শিলিগুড়ির পুলিশ কমিশনার নীরজকুমার সিংহ বলেন, ‘‘তদন্তে যা তথ্য উঠে আসছে খতিয়ে দেখা হচ্ছে।’’

Advertisement

ঘটনার পর রাতে তিন দুষ্কৃতীকে প্রথমে শিলিগুড়ি হাসপাতাল ও পরে উত্তরবঙ্গ মেডিক্যালে পাঠানো হয়। বাসিন্দাদের হাতে ধরা পড়ার পর গণপিটুনির জেরে তিন জনেরই মাথা ও সারা শরীরে চোট রয়েছে। এ দিন দুপুরে শিলিগুড়িতে সিটিস্ক্যান করাতে আনা হয়। সুস্থ হলেই তাদের জেরা করা হবে। এ দিন ওই দোকানে গিয়ে কর্মীদের সঙ্গে কথা বলে পুলিশ। ধৃতদের হেফাজত থেকে দু’টি বিদেশি আগ্নেয়াস্ত্র মিলেছে। সেই সূত্র ধরে তাদের সঙ্গে নেপালের যোগাযোগ রয়েছে বলেও স্পষ্ট। ধৃতরা যে সংস্থা থেকে লুঠের গাড়ি ভাড়া করেছিল সেই সংস্থার প্রতিনিধিদের থানায় ডেকে কার নামে গাড়ি নেওয়া হয়েছিল তা জানাতে বলা হয়েছে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন