পূর্ব, দক্ষিণ-পূর্ব ও মেট্রো রেলের মতো তিন-তিনটি গুরুত্বপূর্ণ জোনে জেনারেল ম্যানেজার পদে বসানো হল এক জনকেই। প্রথমে পূর্ব রেলে, তার পরে দক্ষিণ-পূর্ব রেলের জেনারেল ম্যানেজারের পদটি এক সঙ্গে সামলাচ্ছিলেন এ কে গোয়েল। সম্প্রতি মেট্রোর জেনারেল ম্যানেজারের (জিএম) পদটিও ফাঁক হয়ে যাওয়ায় এই পদেরও দায়িত্ব দেওয়া হল তাঁকেই। রেল কর্তাদের কথায়, রেলে এমন সম্ভবত প্রথম।
রেলের জিএম ও ডিআরএমের মতো উঁচু পদ নিয়োগ করা নিয়ে বহুদিন ধরেই মামলা চলছে। আর ওই ধরনের উঁচু পদে বসার মতো অফিসারের সংখ্যাও কম। ফলে এক প্রকার বাধ্য হয়েই বোর্ডকে এমন সিদ্ধান্ত নিতে হয়েছে।
জিএমের মতো গুরুত্বপূর্ণ পদে অস্থায়ী নিয়োগ হলে অসুবিধা কী? রেল কর্তাদের একাংশ বলছেন, প্রাথমিক ভাবে দেখলে এতে অসুবিধার কারণ নেই। ওই অফিসারদের কথায়, এর আগে মেট্রোয় স্থায়ী জিএম পদটি ফাঁকা পড়েছিল প্রায় দু’বছর। ওই সময় দেখভালের অভাবে সুড়ঙ্গে ট্রেন আটকে যাওয়া থেকে শুরু করে কামরায় আগুন, বাতানুকূল কামরায় ছাদ দিয়ে জল পড়া, নিত্য দিনের ঘটনা হয়ে দাঁড়িয়েছিল। এর পরে সমালোচনার ঝড় ওঠায় আলাদা করে এক জন অফিসারকে মেট্রোর জিএম পদে বসানোর সিদ্ধান্ত নেয় রেল বোর্ড। এখন মেট্রো অনেকটাই ঘুরে দাঁড়িয়েছে বলে যাত্রীদেরই বক্তব্য।
এই তিন রেল নিয়ে এমনিতেই যাত্রীদের নানা অভিযোগ রয়েছে। তার উপরে এই তিন জোন মিলিয়ে গড়ে দিনে প্রায় ৫০ লক্ষেরও বেশি যাত্রী ট্রেন ব্যবহার করেন। তাই জিএমের মতো পদে স্থায়ী এক জন না থাকলে যাত্রীদের সুষ্ঠু পরিষেবা কতটা দেওয়া সম্ভব হবে, সেটাই চিন্তার বিষয়। এ দিকে আবার বুধবার রাতেই খড়্গপুর শাখার মেচেদা স্টেশনের কাছে একটি লোকান ট্রেনের প্যান্টোগ্রাফ ভেঙে ওভারহেড তারের সঙ্গে জড়িয়ে ট্রেন চলাচলে বিপত্তি বাধায়। রাতেই একটি মালগাড়ি লাইনচ্যুত হওয়ায় বিপর্যস্ত হয় খড়্গপুর-জামশেদপুরের ট্রেন চলাচল। রেল সূত্রে খবর, রাত সাড়ে নয়টা নাগাদ ঘাটশিলায় মালগাড়ির দু’টি কামরা লাইনচ্যুত হয়।
বুধবার তিন রেল জোনের ‘হামসফর’ অনুষ্ঠানের জন্য আয়োজিত একটি সাংবাদিক সম্মেলনে জিএম এ কে গোয়েল অবশ্য জানান, বিপুল চাপ মাথায় নিয়ে তিন জোনকে চালাতে কোনও অসুবিধা হবে না। তিনি বলেন, ‘‘আমি একা কই! প্রতিটি জোনেই আমার প্রচুর দক্ষ অফিসার রয়েছেন। সবাই মিলেই কাজ চলবে।’’