গোপালনগরে হাজির ‘সিঙ্গুর’

নেই শুধু দুর্গাপুর এক্সপ্রেসওয়েটাই! বাকি প্রায় সবই আছে। সুপ্রিম কোর্টের এজলাস রয়েছে। কালো কোট-প্যান্ট পরা বিচারপতি রয়েছেন। লাঙল কাঁধে চাষিরা রয়েছেন। টাটাদের কারখানার শেড রয়েছে।

Advertisement

সীমান্ত মৈত্র

শেষ আপডেট: ০৮ অক্টোবর ২০১৬ ০৩:০৬
Share:

গোপালনগরের পুজো মণ্ডপে এক টুকরো ‘সিঙ্গুর’। ছবি: নির্মাল্য প্রামাণিক

নেই শুধু দুর্গাপুর এক্সপ্রেসওয়েটাই!

Advertisement

বাকি প্রায় সবই আছে। সুপ্রিম কোর্টের এজলাস রয়েছে। কালো কোট-প্যান্ট পরা বিচারপতি রয়েছেন। লাঙল কাঁধে চাষিরা রয়েছেন। টাটাদের কারখানার শেড রয়েছে। ‘বিজয় উৎসব’-এর মঞ্চ রয়েছে। আর সেখানে রয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও!

উত্তর ২৪ পরগনার গোপালনগরের পাল্লা এলাকায় ‘সিঙ্গুর’কেই পুজোর থিম বানিয়ে ফেলেছে দক্ষিণ পাল্লাপাড়া পুজো কমিটি। থিম সাজাতে কোনও মডেলের সাহায্য নেওয়া হয়নি। সকলেই জলজ্যান্ত মানুষ। বিভিন্ন চরিত্রে অভিনয় করছেন। মহাষষ্ঠীর সন্ধ্যায় সেই ‘সিঙ্গুর’-এর উদ্বোধন হল। প্রথম দিনেই উপচে পড়ল ভিড়। ক্লাবের সম্পাদক কিশোরকুমার দে জানান, এখন রাজ্যে সবচেয়ে আলোচিত বিষয়— সিঙ্গুর। দর্শক টানতে সুবিধা হবে বলে সিঙ্গুরকে থিম হিসেবে বেছে নেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে কোনও রাজনীতির গন্ধ নেই।

Advertisement

উদ্যোক্তারা জানিয়েছেন, পুজোর দিনগুলিতে বিকেল ৫টা থেকে রাত ১২টা পর্যন্ত মণ্ডপে অভিনয় চলবে। এ জন্য শান্তিপুর থেকে একটি দলকে ভাড়া করা হয়েছে। তাঁরাই মেকআপ করে বিভিন্ন চরিত্রে অভিনয় করবেন। মণ্ডপের ভিতরে মাইকে বাজবে সিঙ্গুরে জমি ফেরতের অনুষ্ঠানে গিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বক্তব্য। ঝুড়ি ও মই দিয়ে সাজানো হয়েছে মূল মণ্ডপ।

প্রথম রাতে গোপালনগরে ‘সিঙ্গুর’ দেখে উচ্ছ্বসিত স্থানীয় এক দম্পতি। তাঁরা বলেন, ‘‘কোনও দিন সিঙ্গুর কেমন দেখিনি। অথচ, দশ বছর ধরে ওই জায়গার নামটা বারবার শুনেছি। এখন তো ওখানে দিনরাত কাজ হচ্ছে। পুজো দেখতে বেরিয়ে ‘সিঙ্গুর’ দেখা হলে গেল। এটাই বা কম কী!’’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement
Advertisement