ফের ১৬ মোবাইল আলিপুর জেলে

জেলের অস্থায়ী চিকিৎসক অমিতাভ চৌধুরীর গ্রেফতারির ফলে বেআইনি সামগ্রীর অনুপ্রবেশ অনেকটা কমেছিল। কিন্তু এ দিনের ঘটনায় বোঝা যাচ্ছে, সেটা ছিল নিতান্তই সাময়িক বিরতি!

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ০৪ অগস্ট ২০১৮ ০৩:৫৪
Share:

আলিপুর জেল।ফাইল চিত্র।

হাজার চেষ্টাতেও বন্দিশালায় বেআইনি সামগ্রীর অনুপ্রবেশ বন্ধ করা যাচ্ছে না! বৃহস্পতিবারেও আলিপুর সেন্ট্রাল জেল থেকে ১৬টি মোবাইল উদ্ধার করা হয়েছে।

Advertisement

সকাল সাড়ে ৬টা নাগাদ ওই জেলের দু’নম্বর গেটের কাছে টাওয়ারের সামনে একটি প্যাকেট পড়ে থাকতে দেখেন রক্ষীরা। হাতে নিয়ে বুঝতে পারেন, কয়েকটি ছোট জিনিস আছে তাতে। প্যাকেট খুলতেই কর্তৃপক্ষ দেখেন, তাতে নতুন ছ’টি মোবাইল ফোন রয়েছে। অবশ্য কোনওটিই স্মার্টফোন নয়। কর্তৃপক্ষের মতে, সকালে জেল সংলগ্ন এলাকা দিয়ে হাঁটাহাঁটির সময় প্যাকেটটি ভিতরে ছুড়ে দেওয়া হয়েছে। এ ভাবে আগেও নেশার সামগ্রী বা মোবাইল এসেছে জেলে! ইদানীং জেলে বেআইনি সামগ্রী ছুড়ে পাঠানোর প্রবণতা বাড়ছে বলে জানাচ্ছেন কারাকর্তারা। তাঁদের মতে, মূল ফটকে চারটি স্তরে তল্লাশির পরে ভিতরে ঢোকে বন্দিরা। ফলে লুকিয়ে সামগ্রী নিয়ে ঢুকলে তার ধরা পড়ার আশঙ্কা থাকে। তাই ছুড়ে দেওয়া হচ্ছে। জেলের অস্থায়ী চিকিৎসক অমিতাভ চৌধুরীর গ্রেফতারির ফলে বেআইনি সামগ্রীর অনুপ্রবেশ অনেকটা কমেছিল। কিন্তু এ দিনের ঘটনায় বোঝা যাচ্ছে, সেটা ছিল নিতান্তই সাময়িক বিরতি!

বৃহস্পতিবার রাতেও জেলে হঠাৎ-তল্লাশি চালান কর্তৃপক্ষ। প্রায় আড়াই ঘণ্টার তল্লাশিতে ১০-১১টি মোবাইল ফোন উদ্ধার করেন তাঁরা। বেশির ভাগ মোবাইল উদ্ধার হয়েছে বন্দিদের বিছানার পাশে থেকে। কারাকর্তাদের মতে, যাদের বিছানার পাশ থেকে মোবাইল উদ্ধার হয়েছে, তারা তুলনায় ‘নরম’ বন্দি। এই মোবাইল অনুপ্রবেশের সঙ্গে যাদের বেশি যোগাযোগ, তারা অন্যদের বিছানার কাছে মোবাইল রাখে। এই ঘটনায় আলিপুর থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। তবে এই ঘটনায় কারও শাস্তির সম্ভাবনা ক্ষীণ।

Advertisement
(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন