এক মাসের বকেয়া বেতন ষাট হাজার শিক্ষককে

এত দিন বেতন বকেয়া ছিল তিন মাসের। বৃহস্পতিবার মাত্র এক মাসের বেতন পেলেন রাজ্যের মাধ্যমিক শিক্ষাকেন্দ্র (এমএসকে) এবং শিশু শিক্ষাকেন্দ্রের (এসএসকে) প্রায় ৬০ হাজার শিক্ষক। বাকি দু’মাসের বকেয়াও শীঘ্রই দেওয়া হবে বলে আশ্বাস দিয়েছেন রাজ্যের পঞ্চায়েত ও গ্রামোন্নয়ন দফতরের কর্তারা।

Advertisement

নুরুল আবসার

উলুবেড়িয়া শেষ আপডেট: ১০ ফেব্রুয়ারি ২০১৮ ০৪:০৯
Share:

এত দিন বেতন বকেয়া ছিল তিন মাসের। বৃহস্পতিবার মাত্র এক মাসের বেতন পেলেন রাজ্যের মাধ্যমিক শিক্ষাকেন্দ্র (এমএসকে) এবং শিশু শিক্ষাকেন্দ্রের (এসএসকে) প্রায় ৬০ হাজার শিক্ষক। বাকি দু’মাসের বকেয়াও শীঘ্রই দেওয়া হবে বলে আশ্বাস দিয়েছেন রাজ্যের পঞ্চায়েত ও গ্রামোন্নয়ন দফতরের কর্তারা। বিরোধীরা মনে করছে, কেন্দ্রের পাঠানো ওই টাকা রাজ্য সরকার অন্য খাতে খরচ করে ফেলাতেই এই জটিলতা। এ কথা মানেননি পঞ্চায়েত দফতরের কর্তারা। তবে, তাঁরা এটা মেনেছেন, বৃহস্পতিবারের টাকা দেওয়া হয়েছে দফতরের নিজস্ব তহবিল থেকে।

Advertisement

এমএসকে-এসএসকে চালায় রাজ্যের পঞ্চায়েত ও গ্রামোন্নয়ন দফতর। তবে, দু’ধরনের স্কুলেই শিক্ষকদের বেতন-সহ যাবতীয় খরচের জন্য কেন্দ্র টাকা দেয় সর্বশিক্ষা প্রকল্পে। ওই টাকা প্রথমে আসে রাজ্য শিক্ষা দফতরে। তারা টাকা দেয় সর্বশিক্ষা মিশনে। মিশন আবার টাকা দেয় পঞ্চায়েত ও গ্রামোন্নয়ন দফতরকে। তার পর জেলা পরিষদের মাধ্যমে টাকা পায় এমএসকে-এসএসকে। পঞ্চায়েত দফতর সূত্রের খবর, শেষ টাকা পাওয়া গিয়েছিল নভেম্বরে। ওই মাসেই এমএসকে-এসএসকেগুলির শিক্ষকদের অক্টোবর মাসের বেতন দেওয়া হয়। কিন্তু তার পর আর টাকা আসেনি।

কেন্দ্রীয় মানবসম্পদ উন্নয়ন মন্ত্রক জানিয়েছিল, ‘ইউটিলাইজেশন সার্টিফিকেট’ সম্পর্কিত কিছু তথ্যগত ত্রুটির জন্যই সমস্যা হয়েছে। পশ্চিমবঙ্গ সরকারের কাছে ওই ত্রুটির ব্যাখ্যা চাওয়া হয়েছে। এরপরেই বিষয়টি নিয়ে সরব হয় বিরোধীরা। রাজ্য বিজেপির সহ-সভাপতি সুভাষ সরকারের অভিযোগ, ‘‘কেন্দ্রের টাকা অন্য খাতে খরচ হচ্ছে। ফলে, সময়মতো ইউসি দিতে পারছে না রাজ্য।’’ প্রকৃত পরিস্থিতি জানানোর জন্য শিক্ষা দফতরের কছে শ্বেতপত্র প্রকাশেরও দাবি করেছেন সুভাষবাবু। সিপিএমের রাজ্য সম্পাদক সূর্যকান্ত মিশ্রও বলেন, ‘‘মুখ্যমন্ত্রী উৎসব-মোচ্ছবে কোটি কোটি টাকা ওড়াচ্ছেন। গরিব শিক্ষকেরা বেতন পাচ্ছেন না, সে সব তাঁর দেখার সময় কোথায়?’’

Advertisement

অভিযোগ মানেননি পঞ্চায়েত কর্তারা। সমস্যার জন্য এমএসকে-এসএসকে-র প্রতি শিক্ষা দফতরের অবহেলার অভিযোগও তুলেছেন তাঁরা। পঞ্চায়েতমন্ত্রী সুব্রত মুখোপাধ্যায় বলেন, ‘‘ওই শিক্ষকদের বেতনের বিষয়টি শিক্ষা দফতর এবং কেন্দ্রীয় সরকারের ব্যাপার। আমরা শিক্ষা দফতরকে নিয়মিত ইউসি দিই।’’ শিক্ষা দফতরের কর্তারা আবার দাবি করেন, তাঁরা নিয়মিত কেন্দ্রীয় সরকারকে ইউসি দিয়ে দেন।

এই চাপানউতোরের মধ্যে রাজ্যে এসএসকে ও এমএসকে-এর ভারপ্রাপ্ত আধিকারিক স্বাতী বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছেন, কেন্দ্রের প্রদেয় দু’মাসের বকেয়া বেতনের টাকাও শীঘ্রই দিয়ে দেওয়া হবে বলে শিক্ষা দফতর জানিয়েছে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন