স্মার্টফোনে এমন অপশন থাকে, যার ব্যবহার ও কিছু বিষয় মাথায় রাখলে ডিজিটাল ক্যামেরার মতোই ছবি তোলা যায়।
লেন্স পরিষ্কার রাখুন। নানা ভাবে লেন্সে ময়লা জমতে পারে। তা পরিষ্কার না করলে ছবি ভাল হয় না। টিসু পেপার দিয়ে লেন্স পরিষ্কার করার সময়ও যাতে দাগ না পড়ে সে দিকে সতর্ক থাকতে হবে।
কম্পোজিশন। আগে ঠিক করতে হবে কোন বিষয়টি ক্যামেরাবন্দি করতে চান। এক জায়গায় দাঁড়িয়ে না থেকে স্থান বদল করে দেখতে হবে, তারপর ছবি তুলুন।
আলোর অবস্থান। ঝলমলে দিন ছবি তোলার জন্য আদর্শ সময়। যদি সূর্যের আলো লেন্সে সরাসরি পড়ে থাকে তা হলে ছবি ঝাপসা দেখাবে। সে ক্ষেত্রে লেন্স আড়াল করে বা সূর্যকে পেছনে রেখে ছবি তুলতে হবে। যদি সেটাও সম্ভব না হয়, ফ্ল্যাশ অন করে ছবি তুলুন।
শুটিং-এর নানা মোড। ছবির ধরন অনুযায়ী নানা শুটিং মোড অপশন রয়েছে। ছোট বস্তুর (যেমন পোকা বা ফুলের ছবি) জন্য ক্লোজ আপ (Close up) মোড, ছবিতে একটি বিষয়কে প্রাধান্য দিতে চাইলে পোট্রেইট (Portrait) মোড ব্যবহার করা ভাল। ল্যান্ডস্কেপ (landscape) মোড তখনই ব্যবহার করা ভাল, যখন বিস্তৃত জায়গার ছবি তুলবেন, স্পোর্টস (sports) মোডে চলন্ত কোনও কিছুর ছবি তোলা হয়। পর্যাপ্ত আলো না পেলে নাইট (Night) মোড দিয়ে ছবি তুলবেন। এ ছাড়াও ১৮০ বা ৩৬০ ডিগ্রি ছবির জন্য প্যানোরামা মোড রয়েছে।
এখন অনেক ফোনেই ম্যানুয়াল মোড অপশনটি রয়েছে। এর সাহায্যে নিজের মতো করে (এক্সপোজার) আলো বাড়াতে, কমাতে পারবেন। আইএসও, এক্সপোজার বাড়িয়ে কম আলোয় ভাল ছবি তোলা সম্ভব।
জুম থেকে বিরত থাকুন। স্মার্টফোনে ভাল ছবি তুলতে গেলে চেষ্টা করুন জুম না করতে। জুম করলে ছবি ফেটে যেতে পারে। বিষয়বস্তুর কাছে গিয়ে ছবি তুললে ভাল।
এ ছাড়া, গুগল প্লে স্টোরে এমন অনেক অ্যাপস আছে, যা ব্যবহার করলে ছবির কোয়ালিটি আরও ভাল হয়।
স্বীকারোক্তি
সবে উচ্চ মাধ্যমিক পাশ করেছি। পুজোয় আলাপ কিংশুকের সঙ্গে। বারো বছরের বড় মানুষটার সঙ্গেই প্রথম প্রেম। বিয়ের সিদ্ধান্ত নিতেও দেরি করিনি আমরা। কিংশুকদের বাড়ি থেকে তো দু’মাসের মধ্যে বিয়ের কথা বলা হল। আমার বাবা-মা প্রস্তুত ছিলেন না। আমি জোরাজুরি করায় টাকা ধার করে ওঁরা বিয়ের আয়োজন করেন। দু’মাসের মধ্যেই শ্বশুরবাড়ি ছেড়ে চলে আসি। সেই ঋণের বোঝা আজও টেনে চলেছেন বাবা।
সর্বাণী নাগ, কল্যাণী।
‘স্বীকারোক্তি’ এই ঠিকানায়। —
৬ প্রফুল্ল সরকার স্ট্রিট , কলকাতা ৭০০০০১
অথবা ই-মেল করুন district@abp.in-এ।