বাতানুকূল কামরার ধোঁয়া বেরতে দেখে চাঞ্চল্য ছড়াল মুম্বই-হাওড়া গীতাঞ্জলি এক্সপ্রেসে। বুধবার খড়্গপুর স্টেশনে ঢোকার মুখে ট্রেনটির বাতানুকূল কামরা (এসি থ্রি টায়ার) দরজা সংলগ্ন ইলেকট্রিকের জংশন বক্স থেকে ধোঁয়া বেরতে দেখেন যাত্রীরা। ঘটনার খবর পেয়ে রেলের আধিকারিকরা ছুটে আসেন। ডাকা হয় ইলেক্ট্রিক্যাল বিভাগের ইঞ্জিনিয়ারদেরও। মিনিট পনেরোর চেষ্টায় মেরামতির পরে ট্রেনটি হাওড়ার উদ্দেশে রওনা দেয়। তবে যাত্রীদের আতঙ্কের কথা মাথায় রেখে তাঁদের অন্য কামরায় সরিয়ে দেওয়া হয়।
রেল সূত্রে জানা গিয়েছে, ট্রেনটির বি-২ কামরার দরজা সংলগ্ন ওই জংশন বক্সটি থেকে ২৪ ভোল্টের বিদ্যুৎ সরবরাহ হয়। গীতাঞ্জলি এক্সপ্রেসের কামরাগুলি পর্যায়ক্রমে হাওড়া-পুরী জগন্নাথ এক্সপ্রেসের কামরা হিসেবেও ব্যবহৃত হয়। দু’টি নামে ট্রেনটি দীর্ঘ পথ চলার কারণে রক্ষণাবেক্ষণের সমস্যা হয়। তার ফলেই এই ঘটনা ঘটে থাকতে পারে। এ বিষয়ে রেলের খড়্গপুর শাখার সিনিয়র ডিভিশনাল কমার্শিয়াল ম্যানেজার মুরলিধর সাহু বলেন, “ইলেকট্রিকের জংশন বক্সে শট সার্কিট থেকে সামান্য ধোঁয়া বের হচ্ছিল। বিষয়টি আমাদের নজরে আসতেই বক্সটি মেরামত করা হয়েছে।’’ তাঁর বক্তব্য, ‘‘দীর্ঘ পথে চলার কারণে অনেক সময়ে তারগুলি আলগা হয়ে এই সমস্যা হয়। তবে বড় কোনও ক্ষতি হয়নি। মেরামতির কাজের জন্য ট্রেনটি খড়্গপুর থেকে একটু দেরিতে ছেড়েছে।’’