—ফাইল চিত্র।
ব্রিগেডে বিরোধীদের সমাবেশ নিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে বিঁধতে গিয়ে তথ্য ‘বিকৃত’ করলেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী স্মৃতি ইরানি।
বুধবার ঝাড়গ্রামে অমিত শাহের বিকল্প হিসেবে তিনি বিজেপির ‘গণতন্ত্র বাঁচাও’ সভায় যোগ দেন। সেখানেই মুখ্যমন্ত্রী মমতার উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘‘কলকাতার মহাকরণে যারা আপনার চুলের মুঠি ধরে বাইরে বার করে দিয়েছিল, আজ সেই সিপিএম, কংগ্রেসের হাত ধরছেন আপনি। ব্রিগেডে ডেকে নিয়ে আসছেন। এই কংগ্রেসই তো আপনাদের হাজার হাজার কর্মীকে খুন করেছে। এখনও ওদের হাতে রক্ত লেগে। সেই হাতই আপনি ধরছেন।’’ কিন্তু ঘটনা হল, ১৯৯৩ সালের জানুয়ারি মাসে তৎকালীন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী ও কংগ্রেস নেত্রী মমতাকে মহাকরণ থেকে বার করে দিয়েছিল বামফ্রন্ট সরকারের প্রশাসন। সেই সরকারে কংগ্রেসের কোনও অস্তিত্বই ছিল না। আবার ব্রিগেডে গত শনিবার তৃণমূলের আয়োজনে বিজেপি বিরোধী ‘ইউনাইটেড ইন্ডিয়া’র মঞ্চে কংগ্রেস থাকলেও বামফ্রন্টের কোনও দল ছিল না।
স্মৃতির বিস্মৃতি নিয়ে কলকাতার মেয়র তথা রাজ্যের মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিমের কটাক্ষ, ‘‘আমাদের ব্রিগেড সমাবেশ দেখে ঘাবড়ে গিয়ে ভুলভাল বলেছেন স্মৃতি ইরানি। ওঁদের বস্ (অমিত শাহ)-ও তো গতকাল ভুল বলেছেন!’’
ওই সভাতেই বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ তাঁর আক্রমণের রেওয়াজ বজায় রেখে ফের বলেন, ‘‘পঞ্চায়েতে আমাদের বোর্ড ভাঙার চেষ্টা করলে কোমর ভেঙে দেব। আমরা গণতান্ত্রিক দল। আইন মেনে চলি। কিন্তু আমাদের উপর আক্রমণ হলে আমরাও ছেড়ে কথা বলব না।’’ পাশাপাশি, রাজ্য বিজেপির কেন্দ্রীয় পর্যবেক্ষক কৈলাস বিজয়বর্গীয় পুলিশ-প্রশাসনকে হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, ‘‘জনগণের টাকায় আপনাদের বেতন হয়। মমতাজির বাড়ি থেকে হয় না। আমাদের সরকার ক্ষমতায় এলে পক্ষপাতদুষ্ট আধিকারিকদের দেখে নেওয়া হবে।’’