সারা রাজ্যে তাঁরা ১০০টি ইংরেজি স্কুল খুলবেন বলে জানিয়েছিলেন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়। তিনি বৃহস্পতিবার ঘোষণা করেন, সরকার আপাতত ৬৫টি সরকারি ও সরকার পোষিত স্কুলে ইংরেজি মাধ্যমেও পঠনপাঠন চালু করতে চলেছে।
শিক্ষামন্ত্রী জানান, বাংলা মাধ্যমের স্কুলে ইংরেজি মাধ্যমে শিক্ষিত যে-সব শিক্ষক-শিক্ষিকা রয়েছেন, তাঁরাই আপাতত কাজ চালাবেন। অতিরিক্ত শিক্ষক-শিক্ষিকাদের দিয়েও পড়ানো হবে। পরে আরও নিয়োগ হবে। ‘‘বাম সরকার ইংরেজি তুলে দিয়ে সাড়ে তিন দশক ধরে ছাত্রছাত্রীদের যে-সর্বনাশ করেছে, তা থেকে উদ্ধার করতেই এই প্রয়াস,’’ বলেন মন্ত্রী। তিনি জানান, প্রাথমিক স্তরের যে-সব স্কুলে পড়ুয়া নেই অথচ পরিকাঠামো রয়েছে, সেখানে এবং পঞ্চম শ্রেণির বাংলা মাধ্যমের বেশ কিছু স্কুলে ইংরেজি মাধ্যমে পঠনপাঠন চালু হবে। বেছে নেওয়া হয়েছে কিছু ‘ইন্টিগ্রেটেড’ (প্রাক্-প্রাথমিক থেকে উচ্চ মাধ্যমিক) স্কুলকেও।
শিক্ষা শিবিরের একাংশের বক্তব্য, এ ভাবে আচমকা স্কুলে স্কুলে ইংরেজি মাধ্যমের পাঠ চালু করার মতো পরিকাঠামো নেই। নিখিল বঙ্গ শিক্ষক সমিতি (এবিটিএ)-র সাধারণ সম্পাদক কৃষ্ণপ্রসন্ন ভট্টাচার্য বলেন, ‘‘এটা চমক। বাংলা মাধ্যমে পড়াশোনা করে উন্নতি করা যায় না, এটা কোনও যুক্তি নয়। উচিত ছিল স্কুলগুলির পরিকাঠামো বদলে পঠনপাঠনের উন্নতি করা।’’
রাজ্যে ৩৯টি সরকারি স্কুলেই এই ইংরেজি মাধ্যম চালু হওয়ার কথা। সরকারি স্কুলশিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক সৌগত বসু জানান, সরকারি স্কুলে ইংরেজি মাধ্যমের জন্য উচ্চ মাধ্যমিক স্তরে যদিও বা কিছু শিক্ষক নিয়োগ হয়েছে, প্রাথমিক স্তরে আদৌ হয়নি। অভিভাবকেরা বারবার খোঁজ নিচ্ছেন। ‘‘যদি শিক্ষকই না-থাকেন, তা হলে পঠনপাঠন শুরুই হবে কী করে,’’ প্রশ্ন সৌগতবাবুর।