প্লাস্টিক নয় পচা ডিম, জানে দক্ষিণ

‘আন্ডে কা ফান্ডা’-য় আটকে বাঙালি।কলকাতায় ডিম বিতর্ক নতুন হলেও দক্ষিণ ভারত কিন্তু মাস ছয়েক আগেই এই ঘটনার সাক্ষী হয়েছিল।দিন দুয়েক আগে কড়েয়া এলাকার বাসিন্দা অনিতা কুমার অভিযোগ জানিয়ে ছিলেন, প্লাস্টিক গলে গেলে যেমন গন্ধ পাওয়া যায়, তেমনই গন্ধ পাওয়া গিয়েছে ডিম সেদ্ধ করার সময়।

Advertisement

তানিয়া বন্দ্যোপাধ্যায়

কলকাতা শেষ আপডেট: ০২ এপ্রিল ২০১৭ ০৩:২৫
Share:

‘আন্ডে কা ফান্ডা’-য় আটকে বাঙালি।

Advertisement

কলকাতায় ডিম বিতর্ক নতুন হলেও দক্ষিণ ভারত কিন্তু মাস ছয়েক আগেই এই ঘটনার সাক্ষী হয়েছিল।

দিন দুয়েক আগে কড়েয়া এলাকার বাসিন্দা অনিতা কুমার অভিযোগ জানিয়ে ছিলেন, প্লাস্টিক গলে গেলে যেমন গন্ধ পাওয়া যায়, তেমনই গন্ধ পাওয়া গিয়েছে ডিম সেদ্ধ করার সময়। এর পরেই কলকাতা এবং জেলার বিভিন্ন বাজারে তদন্তে নেমেছে প্রশাসন।

Advertisement

ডিম নিয়ে এই ধরনের বিতর্ক ২০০৮ সালে শুরু হয়েছিল পুণেতে। পুণের প্রাণীসম্পদ দফতরের গবেষণাগারের বিজ্ঞানীরা প্রমাণ করেছিলেন যে ডিম নিয়ে বিভ্রান্তি ছ়়ড়িয়েছিল সেগুলো ছিল পচা। তার পরে সাম্প্রতিক অতীতে ২০১৬-র অক্টোবরে কেরলের তিরুঅনন্তপুরমে। এর পরে তামিলনাড়ুর চেন্নাই এবং উটিতেও ডিম বিক্রি নিয়ে এই ধরনের নানান অভিযোগ জমা পড়েছিল। তখনই বিতর্কিত ডিমের নাম মুখের ভাষায় হয় ‘প্লাস্টিক ডিম’।

অভিযোগ ওঠার পরেই সোশ্যাল মিডিয়ায় এই প্লাস্টিক ডিম নিয়ে নানা তত্ত্ব ছড়িয়ে পড়ে। অনেক মজার কথাও ছ়ড়ায়। সোশ্যাল মিডিয়ায় বলা হয় এই ডিম হল ‘চায়না ডিম’। ডিমের সাদা অংশটা সাধারণ ডিমের তুলনায় অন্যরকম। এ ডিম সেদ্ধ হয় না। গরম জলে ধুলেই প্লাস্টিকের মতো গলে যাবে। পাশাপাশি এই নিয়ে অনেকে মজা করে লেখেন, ডিজিটাল ভারতের পক্ষে প্লাস্টিক ডিম-ই মানানসই। আবার কেউ বলেন, প্লাস্টিক মুরগির মাংস খাওয়ার জন্য অপেক্ষা করে আছেন। কলকাতায় প্লাস্টিক ডিম নিয়ে বিভিন্ন মহলে কথা ওঠার পরেই আবার সোশ্যাল মিডিয়া সক্রিয় হয়ে উঠেছে। ফেসবুকের বিভিন্ন ওয়ালে লেখা হচ্ছে, চিন থেকে এই ডিম তামিলনাড়ু হয়ে কলকাতায় আসছে।

তবে তামিলনাড়ু এবং কেরলের যে ডিম বিতর্ক শুরু হয়েছিল বিস্তারিত অনুসন্ধানের পরে সেটা পুরোটাই গুজব বলে জানিয়ে দিয়েছিল উভয় রাজ্যের প্রশাসন। সংশ্লিষ্ট রাজ্যের প্রশাসনিক কর্তারা জানান, ডিম নিয়ে বিতর্ক শুরু হওয়ার পরেই তামিলনাড়ু এবং কেরল সরকারের তরফ থেকে বিভিন্ন বাজারে হানা দিয়ে ডিমগুলি পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়েছিল। কেরল অ্যানিম্যাল সায়েন্স ইউনিভার্সিটির মিট টেকনোলজি ইউনিট এবং তামিলনাড়ুর স্বাস্থ্য বিভাগ ডিমের নমুনা পরীক্ষা করানো হয়। কিন্তু রিপোর্ট আসে প্লাস্টিক নয়, সেগুলো পচা ডিম ছিল। কেরলের ‘সেন্টার ফর অ্যাডভান্স স্টাডিজ ইন পোলট্রি সায়েন্স’-এর শিক্ষক পি অনিতা তখন তাঁর রিপোর্টে জানিয়ে ছিলেন, কেরল থেকে বাজেয়াপ্ত হওয়া ডিমগুলোর সাদা অংশ কিংবা ভিতরের হলদে অংশ পরীক্ষা করে অস্বাভাবিক রাসায়নিক মেলেনি।

তামিলনাড়ু, কেরলে প্লাস্টিক ডিমের রহস্য উন্মোচন হওয়ার পরে এ বার অপেক্ষায় বাংলা।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন