বাঘডাঙা, মৌসুনি, বালিআড়া ও কুসুমতলা। আলো আসার দিন গুনছে নামখানা ব্লকের এই চারটি গ্রাম।
সেই বৈদ্যুতিক আলোয় ওই সব গ্রামের বাসিন্দাদের জীবন আলোকিত হয়ে তো উঠবেই। সেই সঙ্গে তাঁরা হয়ে উঠবেন ইতিহাসের শরিক। এবং বাংলার একশো শতাংশ গ্রামে বিদ্যুৎ পৌঁছে যাওয়ার সেই ইতিহাস চলতি মাসেই লেখা হয়ে যাবে বলে রাজ্য বিদ্যুৎ বণ্টন সংস্থার দাবি।
‘‘গ্রামীণ বিদ্যুদয়নের কাজ এ মাসেই শেষ করবো। এবং পশ্চিমবঙ্গই হবে দেশে প্রথম,’’ বলছেন বিদ্যুৎমন্ত্রী শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়। সাবস্টেশন বসে গিয়েছে। এখন নামখানার কাছে মৌসুনি নদীর দু’পারের টাওয়ারে হাইটেনশন লাইনের সংযোগ হলেই ওই চার গ্রামে বিদ্যুৎ পৌঁছে যাবে।
রাজ্যের অন্য সব জেলার গ্রামে গ্রামে বিদ্যুৎ পৌঁছে গেলেও বাকি ছিল সুন্দরবনের ১৪টি গ্রাম। প্রাকৃতিক প্রতিবন্ধকতার জন্য ওই সব এলাকায় পরিকাঠামো তৈরির কাজ চালানো কষ্টসাধ্য। তবু গত এক বছর ধরে গোসাবা, পাথরপ্রতিমা ও নামখানার ১৪টি গ্রামে গ্রিডের বিদ্যুৎ পৌঁছে দেওয়ার চ্যালেঞ্জ নিয়ে কাজ করছিলেন বিদ্যুৎকর্মীরা। এই সময়ের মধ্যে প্রায় ৪৫ হাজার পোল বসানো হয়েছে। পরে পাঁচটি নদীর দু’পারে ৪৩ মিটার উঁচু টাওয়ারের মাধ্যমে হাইটেনশন লাইন টেনে গোসাবা ব্লকের সাতটি এবং পাথরপ্রতিমা ব্লকের তিনটি গ্রামে বিদ্যুৎ পৌঁছে দেওয়া হয়েছে মার্চের শেষে। বাকি শুধু সুন্দরবনের চার গ্রাম।
বিদ্যুৎকর্তাদের দাবি, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার ক্ষমতায় আসার পরে উন্নয়নমূলক কাজের নিরিখে প্রথম তিনে থাকবে গ্রামীণ বিদ্যুদয়নের কাজ। কেন্দ্রীয় মন্ত্রকও বাংলার কাজে খুশি। ২০১১ সালে তৃণমূল ক্ষমতায় আসার আগে গ্রামীণ বিদ্যুদয়নের কাজ হয়েছিল ৫০ শতাংশের কিছু বেশি গ্রামে। রাজ্যের ৩৭ হাজার ৩৯০টি গ্রামের মধ্যে অর্ধেক গ্রামে তখনও বিদ্যুৎ ছিল না। মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে বিদ্যুদয়নের কাজ একশো শতাংশ ছুঁতে চলেছে।