ইস্পাত এক্সপ্রেস আছে। আছে স্টিল এক্সপ্রেস। এই ধরনের আরও অন্তত একটি ট্রেনের জন্য দীর্ঘদিন ধরে আবেদন-নিবেদন করে আসছিলেন টাটানগর-ঝাড়গ্রাম-হাওড়ার বাসিন্দারা। সেই আবেদনে সাড়া দিয়ে এ বার পুজোয় হাওড়া থেকে টাটানগর পর্যন্ত একটি নতুন ইন্টারসিটি স্পেশ্যাল ট্রেন চালাবেন দক্ষিণ-পূর্ব রেল কর্তৃপক্ষ।
রেল সূত্রের খবর, নতুন ট্রেনটি চালু হচ্ছে ১৮ অক্টোবর। আপাতত ১৮ থেকে ২৫ অক্টোবর পর্যন্ত প্রতিদিন ট্রেনটি চালানো হবে। রেলকর্তাদের আশ্বাস, যাত্রী পেলে নির্ধারিত সময়সীমার পরেও ট্রেনটি চালু রাখা হতে পারে। সে-ক্ষেত্রে স্টিল ও ইস্পাত এক্সপ্রেসের সঙ্গে সঙ্গে সমধর্মী আরও একটি ট্রেনকে ওই লাইনে নিয়মিত চালানো হবে।
আপাতত পুজোর বিশেষ ট্রেন হিসেবেই চলবে হাওড়া-টাটানগর ইন্টারসিটি স্পেশ্যাল। রেল সূত্রে জানা গিয়েছে, আপ ট্রেনটি হাওড়া থেকে ছাড়বে সন্ধ্যা ৭টা ২০ মিনিটে এবং টাটানগরে পৌঁছবে রাত ১১টা ১৫ মিনিটে। থামবে পাঁশকুড়া, খড়্গপুর, ঝাড়গ্রাম, চাকুলিয়া ও ঘাটশিলা স্টেশনে। ডাউন ট্রেনটি সকাল ৬টা ৫৫ মিনিটে টাটানগর থেকে ছেড়ে বেলা ১১টা নাগাদ পৌঁছবে হাওড়ায়।
ওই রুটের পার্শ্ববর্তী অঞ্চলের যে-সব বাসিন্দা কলকাতার প্রতিমা দেখতে আগ্রহী, বিশেষ ট্রেনটি চালু হওয়ায় তাঁদের খুবই সুবিধা হবে বলে মনে করছেন রেলকর্তারা। তাঁরা জানান, টাটানগর এবং মধ্যবর্তী বিভিন্ন স্টেশন থেকে ওই ট্রেন ধরে সকালে কলকাতায় পৌঁছে বিভিন্ন মণ্ডপে প্রতিমা দর্শন সেরে রাতে আবার সহজেই ফেরা যাবে ঝাড়গ্রাম, চাকুলিয়া, ঘাটশিলা ও টাটানগরে।
যাত্রীরা চাইছেন, ওই ট্রেন নিয়মিত চালানো হোক। সে-ক্ষেত্রে ডাউন ট্রেনটির সময় পরিবর্তনের পক্ষে সওয়াল করছেন অনেক যাত্রী। তাঁদের বক্তব্য, বিকেলে ঘাটশিলা বা ঝাড়গ্রাম থেকে হাওড়ায় আসার জন্য ডাউন ইস্পাত এক্সপ্রেসের পরে নিয়মিত কোনও ট্রেনই নেই। সময় বদল করে নতুন ট্রেনটি নিয়মিত চালালে সেই অভাব মিটতে পারে। রেলকর্তারা জানাচ্ছেন, যাত্রীদের দাবি নিশ্চয়ই বিবেচনা করা হবে। তবে তার জন্য অনেক দিক খতিয়ে দেখতে হবে। তাতে কিছুটা সময় লাগবে।