Hindustan Motors Limited Ambassador Factory

হিন্দমোটরের জমি নিয়ে বঙ্গের সিদ্ধান্তই বহাল

সুপ্রিম কোর্ট আজ রায় দিয়েছে, হিন্দমোটরের ৩৯৫ একর জমি ফিরিয়ে নেওয়ার অধিকার রয়েছে পশ্চিমবঙ্গ সরকারের। সুপ্রিম কোর্ট এ কথাও উল্লেখ করেছে, এই জমি এখন বড় মাপের রেল কোচ কারখানা তৈরির জন্য বরাদ্দ হয়েছে।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ১৭ জুলাই ২০২৫ ০৮:৪২
Share:

ছবি: সংগৃহীত।

১১ বছর আগে হিন্দমোটরের অ্যাম্বাসাডর গাড়ি তৈরির কারখানার গেটে ‘সাসপেনশন অব ওয়ার্ক’-এর নোটিস ঝোলানো হয়েছিল। সেই কারখানার ৩৯৫ একর জমি ফিরিয়ে নিয়েছে রাজ্য সরকার। তিন দিন আগে রাজ্য মন্ত্রিসভা সেই জমি বন্দে ভারত ট্রেন এবং মেট্রো রেলের কোচ তৈরির কারখানার জন্য দীর্ঘমেয়াদি লিজে টিটাগড় রেল সিস্টেমসকে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। আজ সুপ্রিম কোর্ট এই রেল কোচ কারখানার সিদ্ধান্তে সবুজ সঙ্কেত দিল।

সুপ্রিম কোর্ট আজ রায় দিয়েছে, হিন্দমোটরের ৩৯৫ একর জমি ফিরিয়ে নেওয়ার অধিকার রয়েছে পশ্চিমবঙ্গ সরকারের। সুপ্রিম কোর্ট এ কথাও উল্লেখ করেছে, এই জমি এখন বড় মাপের রেল কোচ কারখানা তৈরির জন্য বরাদ্দ হয়েছে। সরকারি জমি জনস্বার্থেই ব্যবহার হওয়া উচিত।

হিন্দুস্তান মোটরস লিমিটেড অ্যাম্বাসাডর কারখানা তৈরির জন্য বরাদ্দ ৩৯৫ একর জমি ফিরিয়ে নেওয়ার জন্য রাজ্য সরকারের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে প্রথমে জমি ট্রাইব্যুনাল, তার পরে কলকাতা হাই কোর্টে গিয়েছিল। হাই কোর্ট গত মে মাসে রাজ্যের পক্ষেই রায় দেওয়ার পরে তারা সুপ্রিম কোর্টে আসে। সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি বি ভি নাগরত্ন এবং বিচারপতি কে ভি বিশ্বনাথনের বেঞ্চ হাই কোর্টের রায়ই বহাল রেখেছে।

২০২২-এ প্রথম মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছিলেন, শিল্পের জন্য বরাদ্দ জমি অব্যবহৃত অবস্থায় ফেলে রাখলে তা রাজ্য সরকার ফিরিয়ে নিতে পারে। তত দিনে হিন্দমোটরের কারখানা বন্ধ হওয়ার আট বছর কেটে গিয়েছে। রাজ্য এস্টেটস অধিগ্রহণ আইন কাজে লাগিয়ে জমি ফেরত নেয়। হিন্দুস্তান মোটরসের আইনজীবী শ্যাম দিভানের যুক্তি ছিল, রাজ্যের সিদ্ধান্ত ঠিক নয়। ওই জমি এখনও সংস্থার শিল্পতালুকের মধ্যে পড়ে। কিন্তু সুপ্রিম কোর্ট রাজ্যের যুক্তি মেনে নিয়েছে যে জমি দীর্ঘদিন অব্যবহৃত পড়ে রয়েছে। এখন তা ফিরিয়ে নিলে জনস্বার্থে কাজে লাগবে।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন

এটি একটি প্রিমিয়াম খবর…

  • প্রতিদিন ২০০’রও বেশি এমন প্রিমিয়াম খবর

  • সঙ্গে আনন্দবাজার পত্রিকার ই -পেপার পড়ার সুযোগ

  • সময়মতো পড়ুন, ‘সেভ আর্টিকল-এ ক্লিক করে

সাবস্ক্রাইব করুন