SSC Exam

শেষ হল একাদশ-দ্বাদশের শিক্ষক নিয়োগের পরীক্ষা , এখনও কোনও গোলযোগের খবর নেই

রবিবার একাদশ-দ্বাদশ শ্রেণিতে শিক্ষক নিয়োগের পরীক্ষায় বসতে চলেছেন ২,৪৬,৫০০ পরীক্ষার্থী। ভাবমূর্তি পুনরুদ্ধারে ‘বিশুদ্ধ’ পরীক্ষা পদ্ধতিতে কোনও ত্রুটি রাখতে নারাজ এসএসসি।

Advertisement

আনন্দবাজার ডট কম সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২৫ ১১:৪৮
Share:

সিটি কলেজে পরীক্ষার্থীদের তল্লাশি করে ঢোকানো হচ্ছে। —নিজস্ব চিত্র।

এসএসসির একাদশ-দ্বাদশ শ্রেণিতে শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষা শেষ হল। তবে এখনও পর্যন্ত কোথাও কোনও গোলযোগের খবর নেই। রবিবারের পরীক্ষার জন্য নিচ্ছিদ্র নিরাপত্তা বলয়ে ঢেকে ফেলা হয়েছিল প্রত্যেকটি পরীক্ষাকেন্দ্র। আঁটসাঁট নিরাপত্তার মধ্যেই পরীক্ষা দিতে যান পরীক্ষার্থীরা।

Advertisement

বেলা ১২টা থেকে পরীক্ষা শুরু হয়। তবে সকাল থেকেই পরীক্ষাকেন্দ্রগুলির বাইরে জড়ো হয়েছিলেন পরীক্ষার্থীরা। সকাল ১০টায় খুলে দেওয়া হয় পরীক্ষাকেন্দ্রের দরজা। তার পরে একে একে পরীক্ষার্থীদের ঢোকানো হয় কেন্দ্রের মধ্যে। তবে তার আগে প্রত্যেক পরীক্ষার্থীর দেহ তল্লাশি করা হয়। শুধুমাত্র স্বচ্ছ জলের বোতল এবং অ্যাডমিট কার্ড নিয়ে ভিতরে ঢোকার অনুমতি মিলছে।

রবিবার একাদশ-দ্বাদশ শ্রেণিতে শিক্ষক নিয়োগের পরীক্ষায় বসেন ২,৪৬,৫০০ পরীক্ষার্থী। ভাবমূর্তি পুনরুদ্ধারে ‘বিশুদ্ধ’ পরীক্ষা পদ্ধতিতে কোনও ত্রুটি রাখতে চায়নি এসএসসি। টুকলি বা প্রশ্নফাঁসের মতো অভিযোগ যাতে উঠতে না-পারে, তাই বেশ কিছু পদক্ষেপ করেছিল কমিশন। পরীক্ষার সময় পরীক্ষার্থীদের উপর কড়া নজর রাখেন পরিদর্শকেরা। ঘড়ি, ক্যালকুলেটর, মোবাইল বা যে কোনও প্রকার ইলেকট্রনিক্স গ্যাজেট নিয়ে পরীক্ষাকেন্দ্রে প্রবেশ করতে দেওয়া হয়নি।

Advertisement

একাদশ-দ্বাদশের শিক্ষক নিয়োগের পরীক্ষা ৪৭৮টি কেন্দ্রে নেওয়া হয়। এ ছাড়াও, এসএসসির দফতরও এ বার একটি পরীক্ষাকেন্দ্র! তিন চাকরিপ্রার্থীর জন্য এসএসসি দফতরকে ‘সেন্টার’ করার নির্দেশ দিয়েছিল কলকাতা হাই কোর্ট। সেই নির্দেশ মেনে কমিশনের দফতরেও পরীক্ষা নেওয়া হয়। নবম-দশমের মতো একাদশ-দ্বাদশের নিয়োগ পরীক্ষাতেও ভিন্‌রাজ্য থেকে অনেকে পরীক্ষা দিতে এসেছিলেন।

গত ৭ সেপ্টেম্বর নবম-দশমের শিক্ষক নিয়োগের পরীক্ষা হয়েছিল। সে দিনের তুলনায় একাদশ-দ্বাদশ শ্রেণির নিয়োগের পরীক্ষায় পরীক্ষার্থী এবং কেন্দ্রের সংখ্যা কম হলেও নিরাপত্তায় কোনও রকম ফাঁক রাখতে চায়নি কমিশন। এসএসসির কন্ট্রোল রুম থেকে নজর রাখা হয়। কারও কোনও সমস্যা হলে হেল্পলাইন নম্বরে যোগাযোগ করার সুবিধাও রেখেছিল কমিশন।

২০১৬ সালের এসএসসি পরীক্ষা ঘিরে বিস্তর দুর্নীতি এবং অনিয়মের অভিযোগ উঠেছিল। তাতে স্বাভাবিক ভাবে মুখ পুড়েছিল কমিশন এবং রাজ্য সরকারের। সুপ্রিম কোর্টেও ২০১৬ সালের প্যানেল বাতিল হয়ে গিয়েছে। তাতে চাকরি খুইয়েছেন প্রায় ২৬ হাজার শিক্ষক এবং শিক্ষাকর্মী। শীর্ষ আদালতের নির্দেশে সেই পরীক্ষাই আবার নতুন করে নিতে হচ্ছে এসএসসি-কে। এই পরীক্ষায় যাতে নতুন করে কোনও দুর্নীতি বা ভুল না-হয়, সে দিকে কড়া নজর রেখেছে কমিশন।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement