মামলায় আটকে মেধা-তালিকাও

মামলা করেছেন চার প্রার্থী। তাঁদের আইনজীবী সুবীর সান্যাল, দিব্যেন্দু চট্টোপাধ্যায়েরা এ দিন আদালতে অভিযোগ জানান, এসএসসি-কর্তৃপক্ষ প্রার্থীদের শিক্ষাগত যোগ্যতা যাচাই (ভেরিফিকেশন) করেননি।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ০২ জুলাই ২০১৯ ০২:৪১
Share:

উচ্চ প্রাথমিক স্কুলে শিক্ষক নিয়োগের জন্য আজ, মঙ্গলবার ‘পার্সোনালিটি টেস্ট’ বা ব্যক্তিত্ব যাচাইয়ের কাজ শুরু হচ্ছে। তবে ওই নিয়োগ নিয়ে মামলায় কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি মৌসুমী ভট্টাচার্য সোমবার জানিয়ে দিয়েছেন, ‘পার্সোনাসিটি টেস্ট’ চলতে থাকলেও স্কুল সার্ভিস কমিশন (এসএসসি) আপাতত চূড়ান্ত মেধা-তালিকা প্রকাশ করতে পারবে না। মামলার নিষ্পত্তি হলে সেই তালিকা প্রকাশ করতে হবে আদালতের অনুমতি নিয়ে। আজ, মঙ্গলবার সেই মামলার শুনানির কথা আছে।

Advertisement

মামলা করেছেন চার প্রার্থী। তাঁদের আইনজীবী সুবীর সান্যাল, দিব্যেন্দু চট্টোপাধ্যায়েরা এ দিন আদালতে অভিযোগ জানান, এসএসসি-কর্তৃপক্ষ প্রার্থীদের শিক্ষাগত যোগ্যতা যাচাই (ভেরিফিকেশন) করেননি। নিয়ম অনুযায়ী শিক্ষাগত যোগ্যতা যাচাই করে ইন্টারভিউয়ে ডাক পাওয়া প্রার্থীদের তালিকা প্রকাশ করতে হয়। সেই তালিকাও প্রকাশ করা হয়নি। গুরুত্বপূর্ণ দু’টি ধাপ না-পেরিয়ে কী করে পার্সোনালিটি টেস্টে প্রার্থীদের ডেকে পাঠানো হচ্ছে, প্রশ্ন তোলেন আইনজীবীরা। তাঁদের আশঙ্কা, নিয়োগে স্বজনপোষণ হতে পারে।

সুবীরবাবু আদালতে জানান, নিয়ম অনুযায়ী প্রশিক্ষিত প্রার্থীদেরই ব্যক্তিত্ব যাচাইয়ে ডাক পাওয়ার কথা। কিন্তু সেই নিয়ম না-মেনে প্রশিক্ষণহীন প্রার্থীদের ডেকে পাঠানো হচ্ছে। আদালতে একটি নথি পেশ করে ওই আইনজীবী জানান, আয়েশা খাতুন নামে এক প্রার্থীকে ইতিহাসের শিক্ষিকা হিসেবে নিয়োগের জন্য পার্সোনালিটি টেস্টে ডেকে পাঠানো হয়েছে। ওই প্রার্থী প্রশিক্ষিত নন বলে দাবি করেন ওই আইনজীবী।

Advertisement

এসএসসি-র পক্ষে আইনজীবী সুতনু পাত্র আদালতে দাবি করেন, সোমবার সকালেই ইন্টারভিউয়ে ডাক পাওয়া প্রার্থীদের তালিকা প্রকাশ করা হয়েছে। প্রশিক্ষণহীন কোনও প্রার্থীকে পার্সোনালিটি টেস্টে ডাকা হচ্ছে না। এসএসসি-র আইনজীবী হিসেব দিয়ে আদালতে জানান, ৩৩ হাজার প্রার্থীর যোগ্যতা যাচাই করা হয়েছে। তাঁদের মধ্যে পার্সোনালিটি টেস্টে ডাক পেয়েছেন ২৪ হাজার ৫৬৪ জন।

বিভিন্ন জেলা থেকে আসা উচ্চ প্রাথমিকের কয়েকশো অস্থায়ী পার্শ্বশিক্ষক এ দিনই সল্টলেকের করুণাময়ীতে এসএসসি-র সদর দফতরে বিক্ষোভ দেখান। তাঁদের ডিএলএড (ডিপ্লোমা ইন এলিমেন্টারি এডুকেশন) প্রশিক্ষণ আছে বলে দাবি করেন তাঁরা। বিক্ষোভকারীরা জানান, স্থায়ী পার্শ্বশিক্ষকের চাকরির জন্য তাঁরা আবেদন করেছেন। তৃতীয় দফার নথি যাচাইয়ের জন্য এসএসসি-কর্তৃপক্ষ তাঁদের ডেকেছিলেন। এসএসসি-র দাবি অনুযায়ী তাঁরা সব নথিপত্র জমা দিয়েছেন। কেন তাঁদের ইন্টারভিউয়ে ডাকা হয়নি, সেই প্রশ্নের জবাব এসএসসি-কর্তৃপক্ষ দেননি বলে বিক্ষোভকারীদের অভিযোগ। ওই পার্শ্বশিক্ষকদের দাবি, এত দিন নথি যাচাইয়ের পরে ইন্টারভিউয়ে ডাকা হত সকলকেই। এ বার তাঁদের সকলকে ইন্টারভিউয়ে ডাকতে হবে।

‘‘যাঁদের নথিপত্র যাচাই করা হয়েছে, পার্সোনালিটি টেস্টে তাঁদের সকলকেই ডাকতে হবে, এমন কোনও নিয়ম নেই,’’ বলেন এসএসসি-র চেয়ারম্যান সৌমিত্র সরকার।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন