SSC

SSC Recruitment: স্কুলপ্রধানের পদের দাবি আগে উত্তীর্ণ প্রার্থীদের

প্রধান শিক্ষকের পদের জন্য ২০১৭ সালে পরীক্ষা দেওয়া বেশ কিছু সহকারী শিক্ষক এবং অন্য কিছু প্রার্থী লিখিত নিয়োগ পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়েছেন।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ০৯ মে ২০২২ ০৫:১৯
Share:

প্রতীকী ছবি।

স্কুল সার্ভিস কমিশন বা এসএসসি-র পরীক্ষায় উত্তীর্ণ তালিকাভুক্ত বহু প্রার্থী নিয়োগপত্র না-পাওয়া সত্ত্বেও নতুন করে স্কুলশিক্ষক নিয়োগের উদ্যোগ চলছে। বিভিন্ন স্কুলে প্রধান শিক্ষক-শিক্ষিকা নিয়োগের ক্ষেত্রেও ছবিটা হরেদরে একই রকম। পরীক্ষা পাশ করেও অনেক প্রার্থী এখনও স্কুলপ্রধানের পদে নিয়োগপত্র পাননি। অথচ প্রধান শিক্ষক-শিক্ষিকার পদেও নতুন নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরু হবে বলে শিক্ষা দফতর সম্প্রতি বিজ্ঞপ্তি দিয়েছে। অপেক্ষমাণ প্রার্থীদের দাবি, আগে তাঁদের স্কুলপ্রধানের পদে নিয়োগ করা হোক।

Advertisement

শিক্ষক-শিক্ষিকাদের একাংশ জানান, ইতিমধ্যে প্রধান শিক্ষকের পদের জন্য ২০১৭ সালে পরীক্ষা দেওয়া বেশ কিছু সহকারী শিক্ষক এবং অন্য কিছু প্রার্থী লিখিত নিয়োগ পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়েছেন। চার দফায় কাউন্সেলিংয়ের মাধ্যমে তাঁদের কারও কারও প্রধান শিক্ষকের পদে নিয়োগও হয়েছে। তার পরে প্রধান শিক্ষকের পদের বেশ কিছু প্রার্থী এখনও প্রতীক্ষা-তালিকায় আছেন। ওই প্রার্থীদের দাবি, বিভিন্ন স্কুলে প্রধান শিক্ষক-শিক্ষিকার বহু পদ শূন্য রয়েছে। প্যানেলের মেয়াদ বাড়িয়ে প্রতীক্ষা-তালিকায় থাকা প্রার্থীদের কাউন্সেলিংয়ের মাধ্যমে নিয়োগের ব্যবস্থা করা হোক। তা হলে প্রধান শিক্ষক-শিক্ষিকার পদে নতুন করে নিয়োগের আগেই বহু স্কুলে ওই স্তরের খালি পদ পূরণ হয়ে যাবে।

বিভিন্ন স্কুলের যে-সব সহকারী শিক্ষকের ১০ বছর শিক্ষকতা করার অভিজ্ঞতা রয়েছে, তাঁরা স্কুলের প্রধান শিক্ষক-শিক্ষিকার পদে আবেদন করতে পারেন। সেই নিয়ম মেনে কিছু নিয়োগ হয়েছে ইতিমধ্যেই। এ ছাড়া ২০১৭ সালে প্রধান শিক্ষকের পদে নিয়োগের জন্য পরীক্ষাও হয়।

Advertisement

পরীক্ষায় সফল প্রার্থীদের ২০১৯ সালের ২২ জানুয়ারি কাউন্সেলিং শুরু হওয়ার কথা থাকলেও কলকাতা হাই কোর্টের নির্দেশে তা প্রথমে স্থগিত হয়ে যায়। তার পরে, ওই বছরের ২৬ জুন প্রথম কাউন্সেলিং হয়। শেষ ও চতুর্থ পর্বের কাউন্সেলিং হয় ২০২০ সালের ১৭ জানুয়ারি। ওই চারটি পর্যায়ে কাউন্সেলিংয়ের পরে প্রধান শিক্ষকের পদে নিয়োগও হয়। কিন্তু তার পরেও প্রতীক্ষা-তালিকায় এখনও বেশ কিছু প্রার্থী রয়ে গিয়েছেন বলে অভিযোগ।

দক্ষিণ ২৪ পরগনার দাঁড়িয়া যমুনা লক্ষ্মীনারায়ণ বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক অচিন দাসের অভিযোগ, “আমরা প্রধান শিক্ষকের পদের জন্য গত দু’বছর ধরে ওয়েটিং লিস্টে রয়েছি। দিন কয়েক আগে শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু নবম ও দশম শ্রেণির শিক্ষক নিয়োগের ক্ষেত্রে প্যানেলের মেয়াদ বাড়িয়ে আসন-সংখ্যা বর্ধিত করে ওই স্তরের প্রার্থীদের কাউন্সেলিংয়ের সুযোগ দেওয়ার ঘোষণা করেছেন। আমরাও প্রধান শিক্ষকের প্যানেলের মেয়াদ বাড়ানোর দাবি জানিয়ে কাউন্সেলিংয়ের মাধ্যমে অপেক্ষমাণ প্রার্থীদের নিয়োগের দাবি জানাচ্ছি।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন