The Governor vs Government issue in West Bengal

সাবধান! সাবধান! সাবধান! ‘রাতের রক্তচোষা’ থেকে রক্ষা পেতে সতর্কবাণী শিক্ষামন্ত্রীর, বোসে-বোসে ফের ঠোকাঠুকি?

টুইটে কারও নাম করেননি ব্রাত্য। তবে তিনি রাজ্যপালের কথা উদ্ধৃত করেছেন। তার পর ‘রক্তচোষা’র হাত থেকে রক্ষা পেতে শহরবাসীকে সতর্ক করে দিয়েছেন তিনি।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ০৯ সেপ্টেম্বর ২০২৩ ১৫:৫৪
Share:

(বাঁ দিকে) রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু। রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস (ডান দিকে)। —ফাইল চিত্র।

‘অ্যাকশন’ দেখার জন্য মধ্যরাত পর্যন্ত অপেক্ষা করতে বলেছেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস। তাঁর সেই মন্তব্যের প্রেক্ষিতেই টুইট করলেন রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু। টুইটে রাজ্যপালের নাম না করে তাঁকে ‘রাতের রক্তচোষা’ বলে উল্লেখ করেছেন ব্রাত্য। তাঁর হাত থেকে রক্ষা পেতে সকলকে সাবধান করে দিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী।

Advertisement

টুইটে কারও নাম করেননি ব্রাত্য। তবে তিনি রাজ্যপালের কথা উদ্ধৃত করে লিখেছেন, ‘‘মধ্যরাত পর্যন্ত দেখুন, অ্যাকশন দেখুন।’’ তার পরেই ব্রাত্যের টুইটে বলা হয়েছে, ‘‘সাবধান! সাবধান! সাবধান! শহরে নতুন রক্তচোষা (ভ্যাম্পায়ার) এসেছে। নাগরিকেরা দয়া করে সতর্ক থাকুন। ভারতীয় পুরাণ অনুযায়ী, ‘রাক্ষস প্রহরের’ জন্য অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করে আছি।’’

উল্লেখ্য, শনিবার সকালে একটি অনুষ্ঠানে যোগ দিতে গিয়েছিলেন রাজ্যপাল। সেখান থেকে বেরোনোর সময় সাংবাদিকেরা প্রশ্ন করলে তিনি বলেন, ‘‘আজ মধ্যরাতের জন্য অপেক্ষা করুন। অ্যাকশন কাকে বলে দেখতে পাবেন।’’ রাজ্যপালের এই মন্তব্যকেই কটাক্ষ করে টুইট করেছেন ব্রাত্য।

Advertisement

রাজ্যের বিশ্ববিদ্যালয়গুলিতে উপাচার্য নিয়োগকে কেন্দ্র করে সরকারের সঙ্গে রাজভবনের সংঘাত সম্প্রতি তীব্র হয়ে উঠেছে। বিশ্ববিদ্যালয়গুলিতে একের পর এক অন্তর্বর্তী উপাচার্য নিয়োগ করেছেন রাজ্যপাল বোস। রবীন্দ্রভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য পদে বসানো হয়েছে অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি শুভ্রকমল মুখোপাধ্যায়কে। মৌলানা আবুল কালাম আজাদ প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যাপক গৌতম মজুমদারকে উপাচার্য করা হয়েছে। উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়েও নতুন উপাচার্য হিসাবে নিয়োগ করা হয়েছে রথীন বন্দ্যোপাধ্যায়কে।

এ প্রসঙ্গে, কিছু দিন আগে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সরাসরি বিরক্তি প্রকাশ করেছিলেন। তিনি রাজভবনকে কার্যত হুঁশিয়ারি দিয়ে জানিয়েছিলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের কাজ চালানোর জন্য অর্থনৈতিক সহায়তা বন্ধ করে দেবে রাজ্য। সেই হুঁশিয়ারিতেও অবশ্য তেমন লাভ হয়নি। সে দিনই রাতে কৃষ্ণনগরের কন্যাশ্রী বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্তর্বর্তিকালীন উপাচার্য হিসাবে অধ্যাপক কাজল দে-কে নিয়োগ করেন রাজ্যপাল।

এর পর রাজ্য সরকারের তরফে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রারদের তলব করা হয়েছিল। অভিযোগ, ডাক পেয়েও উপেক্ষা করেছেন ১৭ জন। অনুপস্থিত এই ১৭ জন রেজিস্ট্রারকে শুক্রবার শোকজ়ের হুঁশিয়ারি দেন শিক্ষামন্ত্রী। পরে অবশ্য তিনি জানান, অনুপস্থিতির কারণ তিনি জানেন। ব্রাত্যের কথায়, ‘‘যাঁরা আসেননি তাঁদের রাজভবন থেকে এসএমএস করে হুমকি দিয়ে বলা হয়েছে যে, তাঁরা যেন এই বৈঠকে না যান। রাজভবন থেকে যে এই হুমকি এসেছে, তার প্রমাণও আছে।’’ রাজ্যপালকে কটাক্ষ করে তিনি বলেন, ‘‘তা হলে হুমকির বাতাবরণ তৈরি করছে কে? হাড় হিম করার ঠান্ডা সন্ত্রাস তৈরি করছে কে? কে তবে ভয় দেখাচ্ছে? রাজার বাড়ি না বিকাশ ভবন?’’ শিক্ষামন্ত্রীর এই মন্তব্য প্রসঙ্গে শনিবার রাজ্যপালকে প্রশ্ন করা হলে তিনি ‘মধ্যরাতের অ্যাকশনের’ হুঁশিয়ারি দেন।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন