WB Panchayat Election 2023

পঞ্চায়েত ভোট ঘিরে চার জনের মৃত্যু হয়েছে এখনও পর্যন্ত, পুলিশের রিপোর্টের ভিত্তিতে জানাল কমিশন

রাজ্য নির্বাচন কমিশনের তরফে জানানো হয়েছে, রাজ্যে কয়েকটি জায়গা ছাড়া এখনও পর্যন্ত তেমন কোনও ঝামেলা হয়নি। মোটের উপর সব জায়গায় আইনশৃঙ্খলা ঠিকই রয়েছে বলে কমিশনের দাবি।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ২২ জুন ২০২৩ ২১:০৯
Share:

পঞ্চায়েত ভোটের প্রক্রিয়া শুরুর পর থেকে রাজ্যে হিংসার অভিযোগ উঠেছে। — ফাইল চিত্র।

পঞ্চায়েত ভোটের দিন ঘোষণার পর থেকেই হিংসার অভিযোগ উঠেছে রাজ্যে। উঠেছে মৃত্যুর অভিযোগও। তবে এত দিন রাজ্য নির্বাচন কমিশনের তরফে মৃত্যুর কথা মেনে নেওয়া হয়নি। ভোট প্রক্রিয়া পর্বে মৃত্যুর কথা এই প্রথম মেনে নিল কমিশন। বৃহস্পতিবার তারা জানাল, পঞ্চায়েত ভোট ঘিরে বুধবার পর্যন্ত চার জনের মৃত্যু হয়েছে। আহত হয়েছেন ২১৩ জন। কমিশনের তরফে জানানো হয়েছে, রাজ্যে কয়েকটি জায়গা ছাড়া এখনও পর্যন্ত তেমন কোনও ঝামেলা হয়নি। মোটের উপর সব জায়গায় আইনশৃঙ্খলা ঠিকই রয়েছে বলে কমিশনের দাবি।

Advertisement

বৃহস্পতিবার ভিডিয়ো কনফারেন্সের মাধ্যমে জেলা প্রশাসন ও পুলিশের সঙ্গে বৈঠক করেন রাজ্য নির্বাচন কমিশনার রাজীব সিংহ। পরে তিনি জানান, ভোটের জন্য রাজ্যে আসা কেন্দ্রীয় বাহিনী কোথায় থাকবে তা ঠিক করবেন সংশ্লিষ্ট জেলার জেলাশাসক। কমিশন সূত্রে খবর, পুলিশ তদন্ত করে রিপোর্ট তৈরি করে। সেই রিপোর্ট কমিশনের কাছে আসে। এখনও পর্যন্ত চার জনের মৃত্যুর রিপোর্ট পুলিশ দিয়েছে।

রাজ্যে পঞ্চায়েত ভোটের প্রক্রিয়া শুরু হওয়ার পর থেকেই বিভিন্ন জেলায় হিংসার অভিযোগ উঠেছে। মনোনয়ন পর্বের হিংসায় উঠেছে মৃত্যুর অভিযোগও। ভাঙড়ে পরিস্থিতি এতটাই উত্তপ্ত হয় যে, তা নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশকে লাঠিচার্জের পাশাপাশি কাঁদানে গ্যাসও ছুড়তে হয়। তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের কর্মসূচির দিনে ভাঙড়-২ ব্লক উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। শাসকদল তৃণমূল এবং আইএএসএফের মধ্যে সংঘর্ষের অভিযোগ ওঠে। তাতে গুলি চালনার অভিযোগও উঠেছে। হতাহতের সংখ্যা নিয়ে শাসক এবং বিরোধী পরস্পর বিরোধী দাবি তোলে। উত্তর দিনাজপুরের চোপড়াতেও মনোনয়ন পর্বে গুলি চালনার অভিযোগ ওঠে। আহতদের হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। তার পর থেকেই বিরোধীদের কেন্দ্রীয় বাহিনী এনে ভোট করানোর দাবি জোরালো হয়। শেষ পর্যন্ত গত ১৫ জুন হাই কোর্ট কেন্দ্রীয় বাহিনী এনে ভোট করানোর নির্দেশ দেয়। সুপ্রিম কোর্টও সেই রায় বহাল রাখে। এই রায়ের পর কেন্দ্রের কাছে ২২ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী চায় নির্বাচন কমিশন। সেই পদক্ষেপের পরেও কলকাতা হাই কোর্টে ধাক্কা খায় কমিশন।

Advertisement

তবে বিরোধীরা দাবি জানায়, ২২ জেলায় স্রেফ ২২ কোম্পানি (জেলাপিছু এক কোম্পানি করে) কেন্দ্রীয় বাহিনী থাকা আর না থাকা সমান। বিরোধীদের সেই বক্তব্যের সারবত্তা আছে বলে মত দেন প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানম। তিনি তাঁর পর্যবেক্ষণে বলেন, ‘‘২০১৩ সালের পঞ্চায়েত নির্বাচনের মতো নিরাপত্তা এই নির্বাচনে দেওয়া প্রয়োজন। আমরা বিস্মিত হয়েছি জেনে যে, সেই সময় কেন্দ্রীয় বাহিনীর জন্য রাজ্যের বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টে গিয়েছিল স্বয়ং কমিশন। আমরা আশা করব, নিরপেক্ষ নির্বাচনের জন্য কমিশন এ বারও স্বাধীন এবং সক্রিয় ভূমিকা পালন করবে।’’ বুধবারের সেই নির্দেশের পরই কমিশন কেন্দ্রকে চিঠি দিয়ে আগের ২২ কোম্পানির পাশাপাশি আরও ৮০০ কোম্পানি বাহিনী চেয়ে চিঠি দেয়।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন