অব্যবস্থায় অসন্তোষ ইতিহাস কংগ্রেসে

একাধিক বার পড়ুয়াদের আন্দোলনের ঝক্কি সইতে হয়েছে যাদবপুরের বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য সুরঞ্জন দাসকে। এ বার ভারতীয় ইতিহাস কংগ্রেসে যোগ দিতে আসা ভিন্‌ প্রতিনিধিদের একাংশের বিক্ষোভের সামনে পড়লেন তিনি। ইতিহাস কংগ্রেসের মঞ্চ ঘিরেও বিক্ষোভের ‘রেওয়াজ’ অব্যাহত রইল যাদবপুরে!

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ৩০ ডিসেম্বর ২০১৭ ০৫:১৬
Share:

একাধিক বার পড়ুয়াদের আন্দোলনের ঝক্কি সইতে হয়েছে যাদবপুরের বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য সুরঞ্জন দাসকে। এ বার ভারতীয় ইতিহাস কংগ্রেসে যোগ দিতে আসা ভিন্‌ প্রতিনিধিদের একাংশের বিক্ষোভের সামনে পড়লেন তিনি। ইতিহাস কংগ্রেসের মঞ্চ ঘিরেও বিক্ষোভের ‘রেওয়াজ’ অব্যাহত রইল যাদবপুরে!

Advertisement

বিশ্ববিদ্যালয়ের খবর, ইতিহাস কংগ্রেসের আয়োজনে নানা ত্রুটির প্রতিবাদে বৃহস্পতিবার উপাচার্যকে কার্যত ঘেরাও করা হয়। রাত ১১টা নাগাদ পরিস্থিতি সামলে বা়ড়ি ফেরেন তিনি। সুরঞ্জনবাবু জানান, সাময়িক সমস্যা হয়েছিল। সঙ্গে সঙ্গেই মিটিয়ে ফেলা গিয়েছে। দেশের শিক্ষা-মানচিত্রে নিজেদের অবস্থান নিয়ে প্রায়ই গর্ব প্রকাশ করেন যাদবপুরের শিক্ষক ও পড়ুয়ারা। কিন্তু ইতিহাস কংগ্রেসে ভিন্‌ রাজ্যের প্রতিনিধিদের অনেকেরই প্রশ্ন, এত বড় অনুষ্ঠানের আয়োজনে এমন ত্রুটি কেন? দায়িত্ব নেওয়ার আগে বিশ্ববিদ্যালয় কি নিজেদের ক্ষমতা যাচাই করেনি? নাকি পরিকল্পনাতেই খামতি ছিল?

কয়েক জন প্রতিনিধি জানান, বুধবার সন্ধ্যায় তাঁদের একাংশকে দক্ষিণ কলকাতার দু’টি হোটেলে পৌঁছে দেওয়া হয়। কিন্তু সেখানে গিয়ে দেখা যায়, হোটেলের বেশির ভাগ ঘরেই অন্য লোক রয়েছে। বুকিং নিয়েও বিভ্রান্তি ছ়ড়ায়। দিল্লি থেকে আসা এক গবেষক জানান, হোটেলের অব্যবস্থা দেখে অনেকেই শহরবাসী আত্মীয়বন্ধুদের সঙ্গে যোগাযোগ করে বিকল্প ঠাঁই জোগা়ড় করে নেন। বৃহস্পতিবার সকালে সেখান থেকেই পৌঁছন যাদবপুরের সম্মেলনস্থলে। রেজিস্ট্রেশনের ক্ষেত্রেও হয়রানির শিকার হতে হয়েছে বলে অভিযোগ। ভিন্‌ রাজ্য থেকে আসা এক বাঙালি গবেষকের কথায়, ‘‘রেজিস্ট্রেশন করার জন্য দু’ঘণ্টা দাঁড়িয়ে থাকতে হয়েছে। এত প্রতিনিধির নথিভুক্তির দায়িত্ব সামাল দেওয়ার জন্য আরও বেশি রেজিস্ট্রেশন কাউন্টার খোলার প্রয়োজন ছিল।’’ এই হয়রানি নিয়ে বলতে গিয়ে স্বেচ্ছাসেবকদের মুখ ঝামটাও খেতে হয়েছে কয়েক জনকে।

Advertisement

অব্যবস্থা যে রয়েছে, তার ইঙ্গিত বৃহস্পতিবার উদ্বোধনেই দিয়েছিলেন সুরঞ্জনবাবু। বক্তৃতার শেষে তিনি বলেন, ‘‘হয়তো কিছু অব্যবস্থা, সমস্যা রয়েছে। হয়তো কেন, নিশ্চয়ই রয়েছে। তার দায় আমার।’’ সম্মেলনে ব্যবস্থাপনার দায়িত্বে রয়েছেন যাদবপুরের ইতিহাস বিভাগের শিক্ষক-পড়ুয়ারাই। লোকাল সেক্রেটারিও ওই বিভাগের শিক্ষক শুভাশিস বিশ্বাস। আয়োজনের ক্ষেত্রে সহকর্মীদের গাফিলতি নিয়ে উপাচার্য অত্যন্ত ক্ষুব্ধ। তবে সেটা প্রকাশ্যে আনতে চাইছেন না তিনি।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন