হিন্দু হস্টেল চালু করার দাবিতে ধর্না

প্রেসিডেন্সির পড়ুয়াদের ওই হস্টেল ২০১৫ সালের জুলাইয়ে সংস্কারের জন্য বন্ধ করে দেওয়া হয়। আবাসিকদের থাকার ব্যবস্থা করা হয় রাজারহাটে। কথা ছিল, ১১ মাসের মধ্যে সংস্কার শেষ করে চালু হয়ে যাবে হিন্দু হস্টেল। কিন্তু তিন বছরেও কাজ শেষ না-হওয়ায় পড়ুয়াদের মধ্যে  ক্ষোভ ছড়িয়েছে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ০৪ অগস্ট ২০১৮ ০৩:৫৯
Share:

হিন্দু হস্টেল।

প্রেসিডেন্সি বিশ্ববিদ্যালয়ে আন্দোলন যেন আর শেষই হচ্ছে না! স্নাতকের মেধা-তালিকা প্রকাশ, সিবিসিএস বা পছন্দসই মিশ্র পাঠ নিয়ে দাবির পরে এ বার হিন্দু হস্টেল অবিলম্বে পুনরায় চালু করার দাবি নিয়ে অবস্থান-বিক্ষোভ শুরু করলেন পড়ুয়ারা।

Advertisement

প্রেসিডেন্সির পড়ুয়াদের ওই হস্টেল ২০১৫ সালের জুলাইয়ে সংস্কারের জন্য বন্ধ করে দেওয়া হয়। আবাসিকদের থাকার ব্যবস্থা করা হয় রাজারহাটে। কথা ছিল, ১১ মাসের মধ্যে সংস্কার শেষ করে চালু হয়ে যাবে হিন্দু হস্টেল। কিন্তু তিন বছরেও কাজ শেষ না-হওয়ায় পড়ুয়াদের মধ্যে ক্ষোভ ছড়িয়েছে। ১৩২ বছরের পুরনো ওই হস্টেলে সংস্কারের কাজ চলছে। কিন্তু দ্রুত ঢুকতে চাইছেন পড়ুয়ারা। কারণ ১১ মাসের কথা বলে পেরিয়ে গিয়েছে তিনটি বছর।

উপাচার্য অনুরাধা লোহিয়া সম্প্রতি বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবসাইটে জানান, ছাত্রদের নিয়ে ১৪ জনের একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে। তারা পুরো বিষয়টির তদারক করবে। এমনকি পূর্ত দফতরকে যে দায়িত্ব দেওয়া হল, সেটাও জানানো হয়। কিন্তু আন্দোলনকারীদের প্রশ্ন, মাস কয়েক আগে যেখানে উপাচার্য বলেছিলেন, ১৫ জুলাইয়ের মধ্যে পড়ুয়াদের হস্টেল ফেরত দেবেন। তা হলে এই ব্যর্থতা কেন? আন্দোলনকারী পড়ুয়া শুভজিৎ সরকারের বক্তব্য, আর কোনও কমিটি নয়। এ বার হস্টেল পড়ুয়াদের হাতে তুলে দিতে হবে। এটাই একমাত্র দাবি। তা মানার আগে পর্যন্ত আন্দোলন চলবে।

Advertisement

উপাচার্য এ দিন জানান, তিনিও চান পড়ুয়ারা দ্রুত হস্টেল ফিরে পান। জানুয়ারিতে তিনি পড়ুয়াদের কথা দিয়েছিলেন, জুলাইয়ের মধ্যে হস্টেল ছাত্রদের থাকার উপযোগী করে দেওয়া হবে। ‘‘কয়েকটি সরকারি নিয়ম বদলের ফলে হস্টেলের কাজ এখনও সম্পূর্ণ করা যায়নি। হস্টেল সংস্কারে একটি কমিটি গড়ে দিয়েছি। তাতে ছ’জন ছাত্র-প্রতিনিধি নেওয়া হয়েছে, যাতে ওরা বাস্তব পরিস্থিতি বুঝতে পারে,’’ বলেন উপাচার্য।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন