পূর্ণেন্দু বসু।
রাজ্যের সব কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্র সংসদের পরিবর্তে অরাজনৈতিক স্টুডেন্টস কাউন্সিল গড়ার নির্দেশিকা জারি হয়েছে আগেই। একই ধাঁচে সব সরকারি পলিটেকনিক ও আইটিআই কলেজেও ছাত্র সংসদ নির্বাচন হবে না বলে নির্দেশিকা জারি করেছিল রাজ্য। অসীমা পাত্র কারিগরি শিক্ষা দফতরের মন্ত্রী থাকাকালীন চলতি মাসের গোড়ায় কলেজে কলেজে পৌঁছেও যায় নির্দেশিকা। এ মাসেই অসীমাদেবীর থেকে মন্ত্রকের দায়িত্ব নেন পূর্ণেন্দু বসু। তিনি দায়িত্বে আসার পর নয়া নির্দেশ পুনর্বিবেচনা করে দেখা হচ্ছে বলে দফতর সূত্রে খবর।
নির্দেশিকা অনুযায়ী, সরকারি পলিটেকনিক ও আইটিআইগুলিতে ভোটের মাধ্যমে কোনও ছাত্র সংসদ গঠন করা যাবে না। নবীন বরণ, বার্ষিক সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, ক্রীড়া প্রতিযোগিতার মতো বিভিন্ন অনুষ্ঠান পরিচালনার জন্য কলেজগুলিতে আলাদা কমিটি গঠন হবে। কমিটিতে শিক্ষক, শিক্ষাকর্মীর সঙ্গে থাকবেন ছাত্রছাত্রীরাও। প্রতিটি অনুষ্ঠানের আগে কলেজের অধ্যক্ষই এই কমিটি গঠন করবেন। অনুষ্ঠান হয়ে যাওয়ার পর ভেঙে দেওয়া হবে সেই কমিটি। প্রতিটি কমিটি যাতে ঠিকভাবে কাজ করতে পারে, সেই দিকটিও অধ্যক্ষকেই দেখতে হবে। বার্ষিক অনুষ্ঠানের জন্য কলেজপিছু প্রতি বছরে ২৫,০০০ হাজার টাকা দেওয়ার কথাও জানানো হয়েছে নির্দেশিকায়।
নির্দেশিকা নিয়ে মন্তব্য করতে চাননি কারিগরি শিক্ষামন্ত্রী পূর্ণেন্দু বসু। কারিগরি শিক্ষা দফতরের খবর, পূর্ণেন্দুবাবু দায়িত্ব নেওয়ার পরেই পলিটেকনিক কলেজে ছাত্র সংসদ নির্বাচন চালু রাখা নিয়ে দরবার করেন টিএমসিপি-র একাধিক নেতা। এর পরই পরিস্থিতির বদল হয়। দফতরের জারি করা নির্দেশিকাই বহাল থাকবে না কি আগের মতোই ছাত্র সংসদ নির্বাচন হবে, তা নিয়ে ফের আলোচনা শুরু হয়েছে বলে দফতর সূত্রে খবর। মেদিনীপুরের এক আইটিআইয়ের অধ্যক্ষও বলছেন, ‘‘কলেজে ছাত্র সংসদ নির্বাচনের পরিবর্তে কমিটি গঠনের নির্দেশিকা পেয়েছি। এর পরে নতুন নির্দেশ আসেনি।’’