Education

Joining Problem: স্কুল-প্রধানের পদে যোগ দিতে বাধা শিক্ষককে

নিয়োগ-নির্দেশ থাকা সত্ত্বেও স্কুলের প্রধান শিক্ষকের পদে মনোনীত প্রার্থীকে যোগ দিতে দেওয়া হচ্ছে না কেন, প্রশ্ন উঠছে শিক্ষক শিবিরে

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ২০ সেপ্টেম্বর ২০২১ ০৬:০৯
Share:

প্রতীকী ছবি

সহকারী শিক্ষক হিসেবে দু’যুগেরও বেশি কাজ করার পরে মধ্যশিক্ষা পর্ষদ অবশেষে তাঁকে খাস কলকাতায় নিজের স্কুলেই প্রধান শিক্ষকের পদে নিয়োগ করেছে। কিন্তু দমদম গোরক্ষবাসী রোডের বাসিন্দা শুভজিৎ নন্দী স্কুল-কর্তৃপক্ষের বিরোধিতায় দু’মাস ধরে ঢাকুরিয়ার অ্যান্ড্রুজ হাইস্কুলে প্রধান শিক্ষকের পদে যোগ দিতে পারছেন না বলে অভিযোগ।

Advertisement

অ্যান্ড্রুজ হাইস্কুলে প্রধান শিক্ষকের পদটি কয়েক বছর ধরে খালি। কাজ চালান ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক। সেখানে প্রধান শিক্ষকের পদে তাঁর স্থায়ী নিয়োগের নির্দেশ বেরোনোর পরেই কর্তৃপক্ষের বিরূপতার মুখে পড়েছেন শুভজিৎবাবু। প্রধান শিক্ষকের অভাবে যেখানে রাজ্যের অনেক স্কুলই নানান সমস্যার মুখোমুখি, সেখানে নিয়োগ-নির্দেশ থাকা সত্ত্বেও একটি স্কুলের প্রধান শিক্ষকের পদে মনোনীত প্রার্থীকে যোগ দিতে দেওয়া হচ্ছে না কেন, সেই প্রশ্ন উঠছে শিক্ষক শিবিরেও।

শুভজিৎবাবু জানান, অ্যান্ড্রুজ হাইস্কুলেই তিনি সহকারী শিক্ষকের পদে ২৫ বছর ধরে কাজ করছেন। প্রধান শিক্ষকের পরীক্ষা দিয়েই তিনি ওখানে প্রধান শিক্ষকের পদের জন্য স্কুল সার্ভিস কমিশন (এসএসসি) থেকে সুপারিশপত্র এবং মধ্যশিক্ষা পর্ষদের কাছ থেকে নিয়োগপত্র পেয়েছেন। অথচ তার দু’মাস পরেও তাঁকে এখনও স্কুলের সহকারী শিক্ষক হিসেবেই কাজ করে যেতে হচ্ছে। রাজ্যের শিক্ষা দফতর এবং মধ্যশিক্ষা পর্ষদে অভিযোগ জানিয়েছেন তিনি। অভিযোগ, পর্ষদ সাত দিনের মধ্যে শুভজিৎবাবুকে প্রধান শিক্ষকের পদে যোগ দিতে বলা সত্ত্বেও সমস্যার সুরাহা হয়নি কর্তৃপক্ষের বিরূপতায়।

Advertisement

ওই স্কুলের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক পিন্টু সানা এবং পরিচালন সমিতির সভাপতি শৈবাল চক্রবর্তী জানান, স্কুল সার্ভিস কমিশনের সুপারিশপত্রে লেখা আছে, এই নিয়োগের সুপারিশ করা হচ্ছে বাংলা মাধ্যম স্কুলের প্রধান শিক্ষকের শূন্য পদে। অথচ মধ্যশিক্ষা পর্ষদের নিয়োগপত্র বলছে, খালি পদটি ইংরেজি মাধ্যম স্কুলের। এই তথ্যগত ফারাকের জন্যই সমস্যা হচ্ছে। সেই অসঙ্গতি দূর করার জন্য ইতিমধ্যেই সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করা জানানো হয়েছে।

বিকাশ ভবনের এক শিক্ষাকর্তার বক্তব্য, এই সংশোধন খুব সামান্য কাজ। সেটুকু করতে এত দেরি হওয়ার কথা নয়। তা ছাড়া ওই শিক্ষক তো ওই স্কুলেই শিক্ষকতা করছেন দীর্ঘদিন ধরে। স্কুল বাংলা মাধ্যম হোক বা ইংরেজি, সেখানে প্রধান শিক্ষকের পদে ওঁর নিয়োগে বাধা কোথায়? স্কুল-কর্তৃপক্ষ এই বিষয়ে যথাযথ ভাবে উদ্যোগী ও সক্রিয় হলে বিষয়টির দ্রুত সমাধান হয়ে যাওয়ার কথা।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন