Baruipur Jail

বারুইপুর জেলে সংঘর্ষের জের, ছুটিতে পাঠানো হল সুপার ও জেলরকে

বুধবার কারা দফতরের সচিব নীলম মিনা এবং বিশেষ পরামর্শদাতা বংশীধর শর্মা বারুইপুর কেন্দ্রীয় সংশোধনাগার ঘুরে দেখেন।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ০৪ মার্চ ২০২০ ২১:২১
Share:

বারুইপুর জেলের মধ্যেই লাঠিসোটা হাতে মারমুখি বন্দিরা। ভিডিয়ো থেকে নেওয়া ছবি

বারুইপুর কেন্দ্রীয় সংশোধনাগারে সোমবার বন্দিদের সঙ্গে কারারক্ষী ও পুলিশের সংঘর্ষের ঘটনায় জেলের সুপার এবং জেলরকে ছুটিতে পাঠাল কারা দফতর। নবান্ন সূত্রে খবর, জেল সুপার নবীন কুজুরের দায়িত্ব আপাত ভাবে সামলাবেন ডিআইজি (কারা) সুদীপ্ত চক্রবর্তী। জেলর স্বপন দাসের কাজ সামলাবেন আসানসোল কারাগারের সহকারি কম্পট্রোলার উত্তম কুমার।

Advertisement

নবান্ন সূত্রে খবর, সংঘর্ষের ঘটনার তদন্তের সময় বন্দিদের মুখে একাধিক বার ওই দুই আধিকারিকের বিরুদ্ধে অভিযোগ পেয়েছেন কারা কর্তারা। ফলে সুষ্ঠ তদন্তের স্বার্থে ওই দু’জনকে সাময়িক ভাবে দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দেওয়া হল বলে জানা গিয়েছে নবান্ন সূত্রে।

পাশাপাশি কারা দফতর সূত্রে এ দিন জানা গিয়েছে, সংঘর্ষের সময় যখন দীর্ঘ ক্ষণ জেল চত্বর বন্দিদের দখলে চলে যায়, তখন জেল হাসপাতাল থেকে প্রচুর পরিমাণে কাশির সিরাপ এবং ঘুমের ওযুধ খোয়া গিয়েছে। সাধারণত জেলে বন্দিরা ওই ধরনের ওষুধ নেশার জন্য ব্যবহার করেন। কারা কর্তাদের সন্দেহ, বন্দিরাই গায়েব করেছেন বিপুল পরিমাণে ওষুধ।

Advertisement

বুধবার কারা দফতরের সচিব নীলম মিনা এবং বিশেষ পরামর্শদাতা বংশীধর শর্মা বারুইপুর কেন্দ্রীয় সংশোধনাগার ঘুরে দেখেন। প্রাথমিক ভাবে কারা দফতরের অনুমান, ভিডিয়ো কনফারেন্সের সরঞ্জাম এবং জেলের আধুনিক রান্নাঘরে ভাঙচুরের ঘটনায় প্রায় কোটি টাকার বেশি সম্পত্তি নষ্ট হয়েছে।

আরও পড়ুন: দোলের পর ভোটের দিন ঘোষণা, গোলমাল বরদাস্ত নয়, জেলাশাসকদের বার্তা কমিশনের

আরও পডু়ন: রিয়াকে বিয়ে করেছিলেন সাদ্দাম! তার পরেও ঘনিষ্ঠতা মায়ের সঙ্গে, বলছে পুলিশ

এ দিন পুলিশ হাউসিং কর্পোরেশনের ইঞ্জিনিয়াররাও জেল চত্বর ঘুরে দেখেন। এক কারা কর্তা বলেন, ‘‘বারুইপুর ছাড়া অন্য সমস্ত কেন্দ্রীয় সংশোধনাগারে একটি ওয়ার্ড থেকে বন্দিদের ছাড়া হলে সামনে খোলা জায়গা আর তার পরের ফাঁকা জায়গার মধ্যে গেট থাকে। ফলে সব ওয়ার্ডের বন্দিদের ছাড়া হলেও তাঁরা এক জোট হওয়ার সুযোগ পান না।’’ কিন্তু বারুইপুরে ওই ভাবে আলাদা করার কোনও ব্যবস্থা না থাকায় সোমবার সংশোধনাগারের মাঠে প্রায় ১ হাজার বন্দি একসঙ্গে নেমে পড়েছিলেন। যার ফলে কারা কর্তাদের পক্ষে ওই বিশাল সংখ্যক বন্দিকে সামলানো সম্ভব হয়নি। ইঞ্জিনিয়ারদের এই বিষয়টিও জানিয়েছেন কারা কর্তারা, যাতে পরবর্তী নির্মাণের সময় বন্দিদের আলাদা করে রাখার ব্যবস্থা করা সম্ভব হয়।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন