গুরুংয়ের বিরুদ্ধে মামলায় কেন্দ্রের জবাব চাইল কোর্ট

রাজ্যের এই হলফনামার পরে আজ সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি অরুণ মিশ্রর বেঞ্চ এ বিষয়ে চার সপ্তাহের মধ্যে কেন্দ্রের বক্তব্য জানতে চেয়েছে। ডিসেম্বরে সুপ্রিম কোর্ট নির্দেশ দিয়েছিল, আজকের শুনানি পর্যন্ত বিমল-রোশনদের বিরুদ্ধে কোনও দমনমূলক পদক্ষেপ করা যাবে না। রাজ্যের তরফ থেকে আজ সুপ্রিম কোর্টের ওই নির্দেশ প্রত্যাহারের আর্জি জানানো হয়। তাতে বিচারপতি মিশ্র প্রশ্ন করেন, ‘এত তাড়াহুড়ো কীসের?’ ফলে সেই নির্দেশ আপাতত বজায় রইল।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ০৮ জানুয়ারি ২০১৯ ০১:৫৪
Share:

—ফাইল চিত্র।

রোশন গিরি, বিমল গুরুং ও গোর্খা জনমুক্তি মোর্চার নেতাদের বিরুদ্ধে যাবতীয় মামলা সম্পর্কে কেন্দ্র অবহিত বলে রাজ্য সরকার সুপ্রিম কোর্টে জানিয়ে দিল। রাজ্য সরকারের বক্তব্য, বিস্ফোরণ ঘটানো, স্বয়ংক্রিয় আগ্নেয়াস্ত্র মজুতের মতো অপরাধে ইউএপিএ-র ধারায় যে সমস্ত মামলা রয়েছে, সেগুলি সবই কেন্দ্রকে জানানো হয়েছে। গোয়েন্দা রিপোর্টও কেন্দ্রকে পাঠানো হয়েছে। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তা দফতরের যুগ্মসচিবের সঙ্গে রাজ্যের কর্তাদের এ বিষয়ে বৈঠকও হয়েছে।

Advertisement

রাজ্যের এই হলফনামার পরে আজ সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি অরুণ মিশ্রর বেঞ্চ এ বিষয়ে চার সপ্তাহের মধ্যে কেন্দ্রের বক্তব্য জানতে চেয়েছে। ডিসেম্বরে সুপ্রিম কোর্ট নির্দেশ দিয়েছিল, আজকের শুনানি পর্যন্ত বিমল-রোশনদের বিরুদ্ধে কোনও দমনমূলক পদক্ষেপ করা যাবে না। রাজ্যের তরফ থেকে আজ সুপ্রিম কোর্টের ওই নির্দেশ প্রত্যাহারের আর্জি জানানো হয়। তাতে বিচারপতি মিশ্র প্রশ্ন করেন, ‘এত তাড়াহুড়ো কীসের?’ ফলে সেই নির্দেশ আপাতত বজায় রইল।

রোশন গিরি সুপ্রিম কোর্টে মামলা করে ইউএপিএ-এর বিভিন্ন ধারায় করা মামলাগুলি এনআইএ-কে দিয়ে তদন্তের দাবি জানিয়েছিলেন। রাজ্য প্রশাসন সূত্রের যুক্তি, আইন অনুযায়ী ইউএপিএ-তে করা যে কোনও মামলা এনআইএ চাইলেই নিজের হাতে তুলে নিতে পারে। তার জন্য রাজ্যের অনুমতি বা আদালতের নির্দেশের প্রয়োজন নেই। গুরুংদের বিরুদ্ধে কোথায় কী মামলা রয়েছে, তা কেন্দ্রীয় সরকার জানে। এনআইএ-কর্তারা এক দফায় পাহাড়ে সফরও করেছেন। তাই এনআইএ চাইলেই যে কোনও সময় তদন্ত শুরু করতে পারে। কিন্তু সুপ্রিম কোর্ট কোনও দমনমূলক ব্যবস্থা নেওয়া যাবে না বলায়, ইউএপিএ-র বাইরে যে সব মামলা রয়েছে, সেগুলির কাজও এগোচ্ছে না।

Advertisement

বিমল-রোশন এখন ফেরার। আজকের মামলার শুনানির জন্য তাই রাজ্যের গোয়েন্দা দফতর, সিআইডি ও দার্জিলিং জেলার পুলিশকর্তারা সুপ্রিম কোর্টে এসেছিলেন। এর আগে গুরুং নিজে তাঁর বিরুদ্ধে যাবতীয় মামলায় কেন্দ্রীয় সংস্থার নিরপেক্ষ তদন্তের দাবিতে সুপ্রিম কোর্টে মামলা করেন। রোশনও আলাদা ভাবে মামলা করেন। সুপ্রিম কোর্ট গুরুংয়ের বিরুদ্ধে মামলা খারিজ করে দেওয়ার পরে রোশন নিজের মামলাটিকে জনস্বার্থ মামলায় বদলে ফেলেন। সেই মামলাতেই শীর্ষ আদালত রাজ্যের বক্তব্য জানতে চেয়েছিল।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন