প্রশাসনিক এবং রাজনৈতিক ভাবে সাঁড়াশি আক্রমণের চাপে বেকায়দায়। রেহাই পেতে আদালতে শরণাপন্ন হয়েও লাভ হল না বিমল গুরুঙ্গের। পাহাড়ে রাজ্য সরকার বা প্রশাসনের ভূমিকাকে চ্যালেঞ্জ করে গুরুঙ্গের আর্জি শুক্রবার খারিজ করে দিল সুপ্রিম কোর্ট।
এ দিন বিচারপতি এ কে সিক্রির নেতৃত্বাধীন বেঞ্চে মামলাটি ওঠে। বেঞ্চ স্পষ্ট জানিয়ে দেয়, পাহাড়ে ক্ষমতার কোনও অপব্যবহার করেনি রাজ্য সরকার। যা করেছে, তা সাংবিধানিক এবং আইনি গণ্ডির মধ্যে থেকেই করেছে। পাশাপাশি, সংবিধানের ৩২ নম্বর ধারার কথা তুলে পিটিশনার যে ব্যক্তিগত অধিকারের প্রসঙ্গ তুলেছেন, তাও এ ক্ষেত্রে প্রযোজ্য নয় বলে পিটিশন খারিজ করে দেওয়া হয়। শীর্ষ আদালতের এই রায়ের ফলে, আরও বেকায়দায় পড়ে গেলেন পালিয়ে বেড়ানো গুরুঙ্গ।
সুপ্রিম কোর্টে গুরুঙ্গের আইনজীবী অভিযোগ করেন— গায়ের জোরে বিনয় তামাঙ্গ, অনীপ থাপাদের জিটিএ-র শীর্ষপদে বসানো হয়েছে। বিভিন্ন মিথ্যে মামলায় ফাঁসানো হয়েছে গুরুঙ্গকে। পাহাড়ে শেষ দফায় কয়েক মাসের অশান্তি, হানাহানি নিয়ে সিবিআই বা এনআইএ তদন্তের আর্জিও রাখেন বিমলের আইনজীবী। কিন্তু তাঁর কোনও আবেদনেই কান দেয়নি শীর্ষ আদালত।
আরও পড়ুন: চেনা টাইগার হিলে স্বস্তি
আরও পড়ুন: নলকূপে তেজস্ক্রিয় বিষ শুশুনিয়ায়
এ দিনের সুপ্রিম কোর্টের রায়ের পর তৃণমূল সাংসদ তথা আইনজীবী কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “শীর্ষ আদালতের এই রায় শুধু রাজ্য নয়, দেশের জন্যও মঙ্গলজনক।”