সিআইআইয়ের অনুষ্ঠানে অহলুওয়ালিয়া। — নিজস্ব চিত্র
চা বাগানে ব্যাঙ্কের শাখা খুলে মজুরি অ্যাকাউন্টে দেওয়ার ব্যবস্থা সম্পূর্ণ হওয়ার কথা ৩১ মার্চের মধ্যে। তার পরে হাটেবাজাটে কেনাকাটার সময়ে শ্রমিকদের মোবাইল ওয়ালেট (অর্থাৎ পেটিএমের মতো অ্যাপে লেনদেন) ব্যবহারেও জোর দিতে চাইছে কেন্দ্রীয় সরকার। এ দিন বণিকসভা সিআইআইয়ের প্রতিনিধিদের সঙ্গে বৈঠকে এই কথা জানালেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী সুরেন্দ্র সিংহ অহলুওয়ালিয়া।
অহলুওয়ালিয়া বলেন, শ্রমিকরা কী ভাবে গ্রামের হাটে কেনাবেচা করবেন, এই নিয়ে জানতে চাওয়াও প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী তাঁকে স্পষ্ট করে দেন, চা বাগানের শ্রমিকরাও মোবাইল বা ডিজিটাল ওয়ালেটে কেনাবেচা করবেন। যদিও উত্তরবঙ্গ জুড়ে নগদ সঙ্কট নিয়ে তার আগেই প্রশ্ন তুলেছেন বণিকসভার দুই সদস্য। সিআইআইয়ের প্রাক্তন সভাপতি নরেশ অগ্রবাল বলেন, ‘‘নগদের সঙ্কটে গ্রামে যাঁরা পর্যটন ব্যবসা করেন, তাঁরা সমস্যায় পড়েছেন। ব্যবসা একেবারে কমে গিয়েছে। দ্রুত এই পরিস্থিতির মোকাবিলা করতে হবে।’’ আর এক প্রাক্তন সভাপতি জিএস হোড়ার বক্তব্য, ‘‘চা শ্রমিকদের অ্যাকাউন্টে মজুরি দেওয়া নিয়েই নানা জটিলতা রয়েছে। চা শ্রমিকরা কী ভাবে নগদ ছাড়া লেনদেন করবেন, তা নিয়েও সব সংশয়ের জবাব মেলেনি।’’ এর পরেই অহলুওয়ালিয়া নিজের বক্তব্যে জবাব দেওয়ার চেষ্টা করেন।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ক্ষুদ্র চা চাষি সংগঠনের সর্বভারতীয় সভাপতি বিজয়গোপাল চক্রবর্তী অবশ্য আশা রেখেছেন এই পরিবর্তনের উপরে। বলেছেন, ‘‘আশা করি দ্রুত পরিস্থিতি স্বাভাবিক হবে।’’ মন্ত্রীও বলেন, ‘‘কোনও ভাল পদক্ষেপে সকলের চেষ্টা থাকতে হয়।’’ রিজার্ভ ব্যাঙ্কের কলকাতা শাখার জেনারেল ম্যানেজার শুদ্ধসত্ত ঘোষ ব্যবসায়ীদের অন-লাইন ব্যবস্থা নিয়ে একটি প্রেজেন্টশন দেন। শুরুতে তিনি দাবি করেন পর্যাপ্ত নোট ছাপার চেষ্টা চলছে। কবে সেই নোট বাসিন্দাদের হাতে পৌঁছবে, তা নিয়ে তিনি অবশ্য কোনও মন্তব্য করেননি। তবে স্টেট লিড ব্যাঙ্কের তরফে উপস্থিত মানস ধর রিজার্ভ ব্যাঙ্কের কর্তাকে সামনে পেয়ে গ্রামের সঙ্কটের কথা বলে ফেলেন। তিনি বলেন, ‘‘গ্রামীণ ব্যাঙ্কগুলির হাতে নগদ যথেষ্ট কম যাচ্ছে। তাতে সমস্যা বাড়ছে।’’