প্রয়োজনে কেন্দ্রীয় হস্তক্ষেপের সুপারিশ

গত সপ্তাহে ভাটপাড়ায় দু’জন নিহত হওয়ার পরেই অহলুওয়ালিয়ার নেতৃত্বে তিন সদস্যের দলকে রাজ্যে পাঠান অমিত শাহ।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ২৬ জুন ২০১৯ ০১:৪০
Share:

অমিত শাহকে আজ রিপোর্ট জমা দিলেন বিজেপি সাংসদ সুরেন্দ্র সিংহ অহলুওয়ালিয়া। —নিজস্ব চিত্র।

উপদ্রুত ভাটপাড়া ঘুরে এসে বিজেপি সভাপতি অমিত শাহকে আজ রিপোর্ট জমা দিলেন বিজেপি সাংসদ সুরেন্দ্র সিংহ অহলুওয়ালিয়া।

Advertisement

গত সপ্তাহে ভাটপাড়ায় দু’জন নিহত হওয়ার পরেই অহলুওয়ালিয়ার নেতৃত্বে তিন সদস্যের দলকে রাজ্যে পাঠান অমিত শাহ। রিপোর্টে কী রয়েছে, তা নিয়ে বিস্তারিত ভাবে মুখ খুলতে চাননি প্রতিনিধি দলের কোনও সদস্যই। সূত্রের বক্তব্য, লোকসভা ভোটের পর থেকে পশ্চিমবঙ্গে ‘ধারাবাহিক হিংসার’ প্রসঙ্গ তুলে রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির ‘অবনতির’ উল্লেখ করা হয়েছে ওই রিপোর্টে। ভোটের আগে ও পরে রাজনৈতিক হিংসায় একাধিক বিজেপি সদস্যের খুন হওয়ার ঘটনা উল্লেখ করে প্রয়োজনে কেন্দ্রীয় হস্তক্ষেপের দাবি করেছে প্রতিনিধি দলটি। ভাটপাড়ায় নিহত দু’জনের পরিবারকে আর্থিক ক্ষতিপূরণ দেওয়ার সুপারিশও করা হয়েছে রিপোর্টে।

আজ রাষ্ট্রপতির বক্তৃতার ধন্যবাদ জ্ঞাপন বিতর্কে বলতে গিয়ে লোকসভায় দিলীপ ঘোষ ও রাজ্যসভায় স্বপন দাশগুপ্ত এ নিয়ে সরব হন। স্বপনবাবু বলেন, ‘‘রাজনৈতিক হিংসায় দেশে পশ্চিমবঙ্গ এখন এক নম্বর। এ জাতীয় লজ্জা।’’ এরপরেই তৃণমূল সাংসদদের উদ্দেশ্য করে স্বপনবাবুর বক্তব্য, ‘‘তৃণমূল শাসনে পশ্চিমবঙ্গ বিশ্ব বাংলা নয়, বিষাক্ত বাংলায় পরিণত হয়েছে।’’ তিনি পশ্চিমবঙ্গে পঞ্চায়েত ভোটও নির্বাচন কমিশনের প্রত্যক্ষ হস্তক্ষেপে করার দাবি তোলেন। তাঁর কথায়, ‘‘প্রশাসন যেখানে শাসক শিবিরের পক্ষ নেয়, সেখানে নিরপেক্ষ নির্বাচন হতে পারে না।’’

Advertisement

এই অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে তৃণমূল নেতৃত্বের বক্তব্য, ‘রাষ্ট্রপতির মনোনীত এই সাংসদ বাংলায় বিজেপি-কে খুশি করতে চাইছেন। তিনি কী বললেন, তাতে আমাদের কিছু যায় আসে না।’ দলীয় নেতৃত্বের কথায়, ‘রাজ্যসভায় দলের নেতা ডেরেক ও ব্রায়েন তথ্য ও পরিসংখ্যান দিয়ে আজ মোদী সরকারের ব্যর্থতার খতিয়ান দিয়েছেন। আর ওই সাংসদ যা বলেছেন তা নেহাতই বাগাড়ম্বর।’

লোকসভায় আজ বিজেপি সাংসদ দিলীপ ঘোষ বলেন, ‘‘পশ্চিমবঙ্গে সরকার আছে, আইনশৃঙ্খলা নেই। থানা আছে, পুলিশ নেই। ধর্নায় বসে আছে সবাই। দেশের ৫৪২টি আসনে ভোট হয়েছে। খুন-জখম ঘটেছে শুধুমাত্র পশ্চিমবঙ্গের ৪২টি আসনে।’’ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে বাংলা ও হিন্দিভাষীদের মধ্যে বিভাজনের রাজনীতি করার অভিযোগ আনেন দিলীপবাবু। বলেন, ‘‘বিভাজনের রাজনীতির কারণে রাজ্যে হিংসার বাতাবরণ তৈরি হয়েছে। যার জন্য দায়ী শাসক শিবির।’’

এবার শুধু খবর পড়া নয়, খবর দেখাও।সাবস্ক্রাইব করুনআমাদেরYouTube Channel - এ।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন