Surinderjeet Singh Ahluwalia

সাংসদ কোথায়, বিরোধীদের প্রশ্ন ওড়ালেন সুরেন্দ্র

পাশাপাশি, সিপিএম দাবি করেছে দুর্গাপুর পূর্বের দলের বিধায়ক সন্তোষ দেবরায়কে প্রায়ই আর্থিক ভাবে পিছিয়ে পড়া মানুষের মধ্যে দলীয় এবং সিটুর খাদ্যদ্রব্য বিলির কর্মসূচিতে দেখা যাচ্ছে।

Advertisement

সুব্রত সীট

দুর্গাপুর শেষ আপডেট: ১৫ জুন ২০২০ ০১:৩৩
Share:

ছবি সংগৃহীত

বিজেপির সাংসদের বিরোধিতায় ঘটনাচক্রে এক সুর তৃণমূল, সিপিএমের! দু’পক্ষেরই দাবি, ‘লকডাউন-পর্বে’ দুর্গাপুরের নানা প্রান্তে বিভিন্ন কাজকর্ম করতে দেখা যাচ্ছে শহরের দুই বিধায়ককে। কিন্তু বিরোধীদের অভিযোগ, কোথাও দেখা যাচ্ছে না বর্ধমান-দুর্গাপুরের বিজেপি সাংসদ সুরেন্দ্র সিংহ অহলুওয়ালিয়াকে। সাংসদ অবশ্য এ সবকে ‘অপপ্রচার’ বলে উড়িয়ে দিয়েছেন।

Advertisement

সাংসদ দাবি করেছেন, ‘‘লকডাউনে পরিযায়ী শ্রমিক-সহ অন্য রাজ্যে আটকে থাকা মানুষদের ফিরিয়ে আনার কাজ তদারক করেছি। তাঁদের কাছে খাদ্যদ্রব্য পৌঁছে দেওয়ার ব্যবস্থা করেছি।’’ সিপিএম, তৃণমূল, দু’পক্ষেরই অবশ্য অভিযোগ, শহরের কোথাও সাংসদকে দেখা যাচ্ছে না।

পাশাপাশি, সিপিএম দাবি করেছে দুর্গাপুর পূর্বের দলের বিধায়ক সন্তোষ দেবরায়কে প্রায়ই আর্থিক ভাবে পিছিয়ে পড়া মানুষের মধ্যে দলীয় এবং সিটুর খাদ্যদ্রব্য বিলির কর্মসূচিতে দেখা যাচ্ছে। ‘লকডাউন-পর্বে’ বিদ্যুৎ বিল মকুব-সহ বিভিন্ন দলীয় কর্মসূচিতেও তাঁর উপস্থিতি নজরে পড়ছে। সেই সঙ্গে দুর্গাপুর পশ্চিমের ‘তৃণমূল ঘনিষ্ঠ’ কংগ্রেস বিধায়ক বিশ্বনাথ পাড়িয়ালকেও খাদ্যদ্রব্য বিলি, কারখানায় শ্রমিক বিক্ষোভ-সহ বিভিন্ন কর্মসূচিতে দেখা যাচ্ছে বলে তৃণমূলের দাবি।

Advertisement

এই পরিস্থিতিতে সম্প্রতি কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের ‘ভার্চুয়াল র‌্যালি’ চলাকালীন দুর্গাপুরের বিভিন্ন জায়গায় প্রতিবাদ কর্মসূচি পালন করেন সিপিএমের কর্মী-সমর্থকেরা। প্ল্যাকার্ডে ‘অমিত শাহ, আমার এমপি কোথায়, খুঁজে দাও!’— এই মর্মে বার্তা লিখে সরব হয়েছিল সিপিএম। বিষয়টি নিয়ে সিপিএম ‘সোশ্যাল মিডিয়া’তেও সরব হয়। সিপিএম নেতা পঙ্কজ রায়সরকারের প্রশ্ন, ‘‘আমাদের বিধায়ক-সহ সবাই রাস্তায় নেমে মানুষের পাশে দাঁড়াচ্ছেন। কিন্তু, আমরা জানতে চাই, আমাদের সাংসদ কোথায়? এই দুঃসময়ে ওই জনপ্রতিনিধি কোথায় গেলেন?’’ একই কথা বলেছেন দুর্গাপুরের তৃণমূল নেতা উত্তম মুখোপাধ্যায়ও। তিনি বলেন, ‘‘ভোটের পরেই তো বিজেপি সাংসদ হাওয়া। মানুষ তাঁকে দেখতে পাচ্ছেন না।’’

যদিও, বিরোধীদের এ সব প্রতিক্রিয়াকে আমল দিচ্ছেন না বিজেপি নেতৃত্ব। তাঁরা এ বিষয়ে ২০১৯-এর লোকসভা ভোটের ফলকেও টেনে আনছেন। তাঁরা জানান, দুর্গাপুরের মানুষের পাশে ‘প্রকৃত’-ই কারা আছেন, তা শহরের মানুষ লোকসভা ভোটে বুঝিয়ে দিয়েছেন। দুর্গাপুর পূর্ব ও দুর্গাপুর পশ্চিম, এই দুই বিধানসভা এলাকায় লোকসভা ভোটে বিজেপির ভোট প্রাপ্ত ছিল যথাক্রমে ৪৬.৬৯ শতাংশ এবং ৫৪.২৯ শতাংশ।

দুর্গাপুরের বিজেপি নেতা অমিতাভ বন্দ্যোপাধ্যায় দাবি করেন, ‘‘আমাদের দলীয় কর্মীরা সাধারণ মানুষের পাশে সাধ্যমতো দাঁড়ানোর চেষ্টা করে চলেছেন। সাংসদ খোঁজ রাখছেন প্রতি মুহূর্তে।’’ বিরোধীদের অভিযোগ প্রসঙ্গে সাংসদ বলেন, ‘‘আমার লোকসভা কেন্দ্রের বাসিন্দারা জানেন, আমি সব সময় তাঁদের পাশে রয়েছি। তাই, বিরোধীরা কী বলছেন, তাতে কিছু যায়-আসে না।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন