ফিরোজ দফাদারের পরিবারের সঙ্গে সূর্যকান্ত মিশ্র। সুদীপ ভট্টাচার্যের তোলা ছবি।
দলীয় পঞ্চায়েত প্রধান খুনের ঘটনায় নাকাশিপাড়ার ধনঞ্জয়পুরে মঙ্গলবার সভা করেন সিপিএমের রাজ্য সম্পাদক সূর্যকান্ত মিশ্র। এ দিন তিনি বিভিন্ন বিষয়ে রাজ্যের শাসকদলকে তুলোধনা করেন।
রাজ্যের আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি খারাপ হচ্ছে বলে অভিযোগ করে তিনি বলেন, ‘‘বামপন্থীদের পাশাপাশি এই সরকারের আমলে তৃণমূলেরই ৫০ জন খুন হয়েছেন। তাঁদের খুন করেছে দলের লোকই। মুখ্যমন্ত্রী সাহস থাকলে তাঁদের বাড়িতে যান।’’ পিংলায় বিস্ফোরণ প্রসঙ্গে তিনি শাসকদলকে একহাত নিয়ে বলেন, ‘‘পিংলায় বোমা ফেটে চার-পাঁচটা গ্রাম কেঁপে উঠল। মুখ্যমন্ত্রী বললেন, বিয়ে বাড়ির জন্য বাজি বানানো হচ্ছিল। ষোলো জনের বেশি মারা গিয়েছে। দেহগুলি ছিন্নভিন্ন হয়ে গিয়েছিল। তাদের শনাক্ত করা যায়নি। রাজমিস্ত্রির কাজ শেখানোর নাম করে ওই বাচ্চাগুলোকে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল বাজি কারখানায়। আসলে ওটা বোমা কারখানা। মুখ্যমন্ত্রীকে চ্যালেঞ্জ করছি হিম্মত থাকলে পিংলায় যান। হিম্মত থাকলে আত্মঘাতী কৃষকদের পরিবারের কাছে যান।’’ সিপিএম যে শেষ হয়নি সমবেত লোকজনের কাছে এ দাবি করে সূর্যবাবু এ দিন বলেন, ‘‘মুখ্যমন্ত্রী ভেবেছিলেন পুরভোটে বিরোধীদের শূন্য করবেন। তা হয়নি। বামপন্থীদের ভোট বাড়ছে। জালিয়াতি-রিগিং না হলে বোঝা যেত মানুষ কী চাইছেন। মৃত মানুষেরও নামে ওরা ভোট দিয়েছে।’’
অন্যদিকে তাহেরপুরেও এক সভায় শাসকদলকে আক্রমণ করে সূর্যবাবু বলেন, ‘‘তৃণমূল নেতারা জেলে গেছেন দুর্ণীতি করে। বাম নেতারা জেলে যান মানুষের স্বার্থে আন্দোলন করে।’’ বিজেপি লক্ষ করে তিনি বলেন, ‘‘বিজেপি কালো টাকা ফেরত আনতে পারেনি। মানুষ সে আশা ছেড়ে দিয়েছেন। মানুষ চাইছেন ঘন ঘন বিদেশ সফরে যাওয়া প্রধানমন্ত্রী দেশ ফিরুন।’’