প্রতীকী চিত্র।
বিশ্বভারতীর বিনয়ভবন ছাত্রাবাস চত্বর থেকে দুই সন্দেহভাজনকে গ্রেফতার করেছে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা। ওই ঘটনার পরে পরেই বিশ্বভারতীর প্রোক্টর অফিস থেকে একটি জরুরি বিজ্ঞপ্তি জারি করে বলা হয়, সন্দেহভাজন কাউকে এলাকায় ঘোরাঘুরি করতে দেখলেই কর্তৃপক্ষকে জানাতে হবে। বিশেষ করে বিশ্বভারতীর ছাত্রাবাসগুলিকে এই নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। ছাত্রদেরও নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, তাঁরা যাতে আবাসিক ছাড়া অন্য কাউকে ছাত্রাবাসের ভিতরে ঢুকতে না দেন।
গ্রেফতারির ঘটনার সঙ্গে নির্দেশিকা জারি হওয়ার কোনও যোগ নেই বলেই দাবি করেছেন বিশ্বভারতীর প্রোক্টর শঙ্কর মজুমদার। তিনি বলেন, ‘‘এখন টানা ছুটি থাকার জন্য ছাত্রাবাসে আবাসিক ছাত্রের সংখ্যা অন্য সময়ের তুলনায় অনেক কম। মাঝে কিছু চুরির ঘটনাও ঘটেছে। সেই জন্যই সকলকে সতর্ক থাকতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।’’
প্রোক্টর এই দাবি করলেও ঘটনাক্রম কিন্তু সেই কথা কোনও ভাবেই বলছে না। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বিনয়ভবন ছাত্রাবাসের আবাসিক একদল ছাত্র এই প্রসঙ্গে জানান, সোমবার দুপুর দেড়টা নাগাদ দু’জন অজ্ঞাতপরিচয় যুবক এসে তাঁদের কিছু জিজ্ঞেস করার চেষ্টা করছিল। এক জনের হাতে একটা ব্যাগও ছিল। কিছু বুঝে ওঠার আগেই তিন ব্যক্তি এসে ওই দুই যুবককে ধরে গাড়িতে
তোলেন। কী কারণে হঠাৎ বিনয়ভবন চত্বরে প্রবেশ করেছিল ওই দুই যবুক, তা তাঁরাও জানেন না না বলে দাবি করেছেন আবাসিক পড়ুয়ারা। তাঁরা জানান, প্রায়ই ক্যাম্পাসে পর্যটক বা অনলাইন বুকিংয়ে ডেলিভারি দিতে আসা কর্মীরা ঢোকেন।সোমবার দুপুরে আসা দু’জন যুবককে সে রকমই কেউ হবে ভেবেছিলেন তাঁরা।
রাজ্য গোয়েন্দা সংস্থার এক কর্তা জানান, তাঁদের এ ব্যাপারে জানা ছিল না। পুরোটাই কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা মারফত হয়েছে। যে দু’জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে, তাঁদের এক জন বাংলাদেশি নাগরিক বলে জানা গিয়েছে। অন্য জনের পরিচয় কিংবা ওই দু’জন বিশ্বভারতীরই ছাত্র কি না, তা এখনও স্পষ্ট নয়। তিনি বলেন, ‘‘খাগড়াগড় বিস্ফোরণের পর থেকেই বীরভূম জেলা এবং শান্তিনিকেতন কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থার নজরে রয়েছে।’’