Suvendu Adhikari

কেতুগ্রামে বিজেপি-র সভায় মঙ্গলবার শুভেন্দু

রাজ্য জুড়ে খুন, সন্ত্রাস ও দুর্নীতির প্রতিবাদে এই সভা ডাকা হয়েছে। বিজেপি-র এই সভা ঘিরে প্রস্তুতি তুঙ্গে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কেতুগ্রাম শেষ আপডেট: ২১ ডিসেম্বর ২০২০ ২০:১৬
Share:

মেদিনীপুরে অমিত শাহের সভাতেও পাশাপাশি দেখা গিয়েছিল দিলীপ-শুভেন্দুকে। ছবি: পিটিআই।

বিজেপি-তে আনুষ্ঠানিক ভাবে যোগ দিয়েছেন রবিবার। বিজেপি নেতা হিসেবে মঙ্গলবার প্রথম দলীয় জনসভায় হাজির থাকবেন শুভেন্দু অধিকারী। পূর্ব বর্ধমানের কেতুগ্রামের ওই জনসভায় বিকেল তিনটেয় তিনি হাজির থাকবেন তিনি। সোমবার স্পিকারের সঙ্গে দেখা করে বিধানসভা থেকে বেরনোর সময় নিজেই এ কথা জানিয়েছেন শুভেন্দু।

Advertisement

পশ্চিম বর্ধমানের দুর্গাপুরের পর মঙ্গলবার রাজ্য বিজেপি-র সভাপতি দিলীপ ঘোষের জনসভা কেতুগ্রামের কান্দরার মাঠে। শুভেন্দু এই সভাতেই আসবেন। রাজ্য জুড়ে খুন, সন্ত্রাস ও দুর্নীতির প্রতিবাদে এই সভা ডাকা হয়েছে। বিজেপি-র এই সভা ঘিরে প্রস্তুতি তুঙ্গে। বিজেপি-র সাংগঠনিক জেলা সভাপতি কৃষ্ণ ঘোষ দাবি করেছেন, ওই সভা ঘিরে তাঁদের কর্মীদের মারধর করা হচ্ছে। পোস্টার, ফেস্টুন ছিঁড়ে ফেলা হচ্ছে। ভয় দেখানো হচ্ছে। তাঁর কথায়, ‘‘রবিবার কাটোয়া শহরে দলের কর্মীরা পতাকা বাঁধতে গেলে তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরা মারধর করে। পুলিশ কার্যত নিক্রিয় ছিল।’’ জেলা পুলিশ সুপার ভাস্কর মুখোপাধ্যায় জানিয়েছেন, অভিযোগ পেলে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তৃণমূল যদিও ওই অভিযোগ অস্বাকীর করেছে। দলের রাজ্য কমিটির সদস্য দেবু টুডু বলেন, ‘‘এ সব কাজ আমরা করি না। এ রাজ্যে গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা আছে। যে কেউ সভা করতে পারেন।’’

এই চাপানউতরের মাঝে বিজেপি-র সভাকে কেন্দ্র করে আগ্রহ দেখা দিয়েছে। শনিবার জেলার এক সাংসদ সুনীল মণ্ডল ও দুই বিধায়ক বিশ্বজিৎ কুণ্ডু ও সৈকত পাঁজা তৃণমূল ছেড়ে বিজেপি-তে যোগ দিয়েছেন। জেলার নানা এলাকায় তৃণমূলকর্মীরা তাঁদের ‘বিশ্বাসঘাতক’ বলে প্রচারে নেমেছেন। পোড়ানো হয় তাঁদের কুশপুত্তলিকা। এর আগে বর্ধমান শহর ও সদরে আরও দুই নেতা দলের বিরুদ্ধে মুখ খুলেছেন। দল ছাড়ার ইঙ্গিত দিয়েছেন কেউ কেউ। যদিও তাঁরা মেদিনীপুরে যাননি।

Advertisement

আরও পড়ুন: রাজীব-পার্থ দ্বিতীয় বৈঠকেও ‘অসম্পূর্ণ’ রইল রফাসূত্র, ফের হতে পারে কথা

আরও পড়ুন: ভুল করলে সুজাতা, আমি কি পাপী? স্ত্রী-র দলত্যাগে অশ্রুসজল সৌমিত্র​

পশ্চিম বর্ধমানের মতো না হলেও বিজেপি পূর্ব বর্ধমানের নানা এলাকাতেও নতুন করে থাবা বসাচ্ছে। একের পর এক কর্মসূচি করছে বিজেপি। কালনা ও পূর্বস্থলীতে বিজেপির পুরনো প্রভাব রয়েছে। ফলে কেতুগ্রামের ওই সভা নিয়ে আগ্রহ এখন তুঙ্গে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন